এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ৪৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। অনেকদিন ধরে কোনো এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করা হয় না। এই আলোকচিত্রগুলো যদিও অনেক। প্রথমত এই আলোকচিত্রগুলো তুলেছিলাম ইকো পার্কের থেকে। ইকো পার্ক সম্পর্কে আপনারা ইতোমধ্যে অনেক কিছুই জানেন, কারণ কলকাতার একমাত্র এই সুবিশাল পার্ক নিয়ে আমাদের কমিউনিটিতে প্রচুর পোস্ট করা হয়েছে। আমি নিজেও অনেক পোস্ট করেছিলাম আগে। এখানে এই আলোকচিত্রগুলো একদম ইকো পার্কের প্রথম গেটে ঢুকেই তুলেছিলাম। এটা একটা বড়ো গ্রাউন্ড এর মতো, এখানে খেলাধুলাও করার জন্য পারফেক্ট, বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে বল নিয়ে নামিয়ে দিলে বেশ আনন্দ করে। এছাড়া এখানে গ্রাউন্ড এর আশেপাশে প্রচুর ফুলের গাছ লাগানোও আছে, এইগুলো প্রায় সময় পরিচর্যার উপরে থাকে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপরে এই চিত্রগুলো তুলেছিলাম মায়াপুর ইস্কন মন্দির থেকে। এখানে আমরা বাইক পার্কিং করে গেটের ভেতর দিয়ে সোজা প্রবেশ করে গিয়েছিলাম। এখানে অনেক গুলো গেট আছে, তবে আমরা ৪ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম। মায়াপুর ইস্কন মন্দির বিশাল বড়ো। মন্দির পুরো ঘুরে দেখতে গেলে একদম সকালে না গেলে সম্পূর্ণ দেখে শেষ নামানো যায় না। আর এই মন্দিরের ভেতরে কি নেই, যাবতীয় সবকিছুই আছে বলা যায়। এখানে একটা ভজন কুটির আছে, যেটা শ্রীল প্রভুপাদের ভজন কুটির। এখানে সবসময় ভজন চলতে থাকে আর শুনতেও বেশ ভালো লাগে। আর এই কুটিরগুলো এমনভাবে তৈরি করা, যে এখানে গরমের সময়ে ভেতরে একদম শীতল থাকে। ইস্কন এর এই যে মন্দিরটি দেখছেন, এটা নতুন একটা তৈরি করছে, যদিও এর কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। আসলে এই মন্দিরটি অনেক উচ্চতা এবং বিশাল এরিয়া নিয়ে হচ্ছে, তাই তৈরি হতে অনেক সময়ও লাগছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এরপরে একধরণের ফুলের আলোকচিত্র দেখতে পাবেন। এখানে এই ফুলগুলো হলুদ বর্ণের এবং এর উজ্জ্বলতাও অনেক। এই ফুলগুলো সাধারণ নাম হিসেবে সিঙ্গাপুরে ডেইজি বলা হয়। আবার অনেক জায়গায় ওয়েডেলিয়া বলে। এই ফুলগুলো সাধারণত সব জায়গাতেই দেখা যায়। আর এই ফুল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আজবা জায়গা বা রাস্তার আশেপাশে হয়ে থাকতে দেখা যায়। এরা সপুষ্পক উদ্ভিদ হওয়া সত্বেও এদের বেশ কিছু প্রজাতি আছে এবং এদের গঠন ভিন্ন ভিন্ন ধরণের। তবে এই ফুলের কালার একই এরকম উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। তাছাড়া এদের পাপড়িগুলো একইভাবে মেলে থাকে। তবে এই ফুলের উদ্ভিদের কান্ড খুবই নরম হয়ে থাকে এবং এরা খাড়াভাবে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। দেখতে অনেক সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে থাকে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলোও তুলেছিলাম ইকো পার্কের থেকে। এই যে ভিউটা দেখতে পাচ্ছেন, এটা সন্ধ্যার সময়ে অনেক আকর্ষণীয় লাগে, কারণ এখানে এই লাইটিং এর দৃশ্যটা মন কেড়ে নেয়। এখানে লেকের ঠিক কিনারা বরাবর এই উদ্ভিদ এবং এখানে কিছু প্রাণীর ভাস্কর্য মতো করা আছে। যা গাছ ছেটে ছেটে ডিজাইন করা। এই প্রাণীগুলোকে এমনভাবে তৈরি করা আছে, যা অবিকল প্রাণীর মতো। এখানে ময়ূর, হাতি সবকিছুই যেন অরিজিনাল এর মতো দেখতে তৈরি করা। আর সব থেকে আকর্ষণীয় ব্যাপারটা হলো এই লাইটিং এর বিষয়টা। এইগুলো যেন মনকে এমনভাবে আকৃষ্ট করে, যে এই দৃশ্য ফেলে আর কোথাও যাই। লাইটিং এর কালারই পরিবেশটাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রগুলো তুলেছিলাম একটি ঘেরের সাইট থেকে। গতবার একদিন বিকালে গিয়েছিলাম এই ঘেরের দিকে। এখানে পরিবেশটা বেশ মনোরম আর শান্ত। আসলে গ্রামের পরিবেশে সবকিছুই অনেক ভালো লাগে। এই জায়গাটা খড়িবাড়ির দিকে। এই জায়গাটা সম্পর্কেও অনেক আগে বেশ কয়েকবার ছবি শেয়ার করেছিলাম। এখানে এখন আগের থেকে অনেক ডেভেলপ হয়ে গেছে। পার্ক, রেস্টুরেন্ট প্রায় সবকিছুই হয়ে গেছে। একপ্ৰকার বলা যায়, এখানে পর্যটকদের জন্য একটা ভালো পরিবেশ গড়ে উঠেছে। তবে এখানে একটা সমস্যা হলো, আগে যেমন একটা খোলামেলা পরিবেশ ছিল, সেটা নষ্ট হয়ে গেছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফিগুলো। ইকোপার্কটি অনেক বড় জায়গা নিয়ে করা তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। এখন খোলা মেলা জায়গার বড়ই অভাব । সব জায়গায় কোন না কোন ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তবে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য।