শ্মশান থেকে ফেরা চিঠি ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "শ্মশান থেকে ফেরা চিঠি" গল্পটির চতুর্থ পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো এরপরে সেই ছায়াটি রাহুলের কাছে এসে রাগের স্বরে গর্জে উঠলো এবং বললো-এই ডায়েরি তুমি এখনই ফেরত দাও, এটা তোমার কোনো দরকারি বিষয় নয়। রাহুল ডায়েরি দিলো না বরং আরো বুকে আঁকড়ে ধরলো। এর কিছুক্ষন পরে রাহুল নিজের জীবন বাঁচানোর মতো দৌড় দিলো। এমনিতেই ভয়ে তার শরীর কাঁপা কাঁপা অবস্থা। এরপরে সে ওই অবস্থায় দৌড়ে সোজা বাড়িতে এসে উঠলো। এরপর সে ঘরে ঢুকতেই দেখলো আরেক কান্ড অর্থাৎ যে খামের চিঠির থেকে এতো কিছু ঘটে গেলো, আবারো সেই খাম টেবিলের উপরে দেখলো। কিন্তু আগেও একটা ছিল আর এই খামটা তার কাছে একদম নতুন আরেকটা মনে হতে লাগলো।
রাহুলের সাথে এইভাবে বেশ কিছুদিন বিভিন্ন ধরণের অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকলো। প্রথম কয়েকদিন তো রাহুল বিষয়গুলোকে সাধারণ স্বপ্নের মতো হেয়ালি করে চালিয়ে দিলো, কিন্তু দিন দিন বিষয়টা আরো বাড়তে থাকে অর্থাৎ দরোজায় টোকা দেওয়ার ব্যাপারটা আছেই, কিন্তু বাইরে দেখতে গেলে কেউ নেই। আবার রাহুল যখন আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখছে, তখন তার সমস্ত মুখে যেন পোড়া পোড়া দাগ, যেন একদম সেই ছায়ামূর্তিটির মতো। কখনো অদ্ভুত অদ্ভুত নাম্বার থেকে কল আসে আর ফিসফিস করে অদ্ভুত কথা বলতে থাকে অর্থাৎ-তুই মরে যাবি, সত্যি ঘটনা জানার আগেই। এইরকম ভ্যাকি ভ্যাকি কথা। রাহুল এই সমস্ত বিষয়ের সাথে সাথে থাকতে থাকতে মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়ে এবং অনেক ভয়ও পায়।
তবে ভয় পেলেও রাহুল নিজেকে অনেক বুঝিয়ে মনটাকে দৃঢ় করতে চায়, কারণ সে নিজে একজন সাংবাদিক আর তার পেশায় সত্য ঘটনাটা তুলে ধরাই কাজ। রাহুল অনেক ভয় পাওয়ার পরেও সে ডিসাইড করে এই সত্য ঘটনাটা সে সবার সামনে আনবেই। এইবার তার লক্ষ্য ছিল এই ডায়েরির পাতায় যেসব অপরাধীর নাম ছিল, তাদের খুঁজে বের করা। আর তাদের নাম বের করা বেশি একটা কঠিন কিছু ছিল না, কারণ রাহুল এমনিতেই বুঝতে পেরেছিলো এরা এতদিনে অনেক বিত্তশালী আর সমাজের চোখে একটা সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে। তাই সে এক-দুই দিনের মধ্যেই এই নামগুলো বের করে ফেলে। আর এই তিন ব্যবসায়ী এখনো বেঁচে আছে আর এই কলকাতা শহরেই আছে।
এরপরে রাহুল এই তিন ব্যবসায়ীর ব্যাপারে কয়েকদিন ধরে আরো ডিটেলস খোঁজ-খবর নিতে লাগলো এবং তারা কলকাতা শহরে থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো পার্টনারশীপ নেই, তারা এখন এক একজন নিজস্ব ইন্ডাস্ট্রি খুলে বসে আছে। এইভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরে একদিন অনেক রাতে রাহুল কাজ সেরে ঘরে ঢুকতেই দেখলো আবার একটা চিঠি। এইবার চিঠির ভেতরে লেখা ছিল-যত দ্রুত সম্ভব তাদের সত্যটা সমাজের সামনে তুলে ধরো, নাহলে একদিন তুমিও আমার মতো পুড়ে মরবে। এই কথাটা রাহুলকে স্মরণ করানোর একটাই কারণ হলো, তাদের এখন অনেকদূর পর্যন্ত হাত, তাই যদি টের পায়, তাদের নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র বা কিছু করার চেষ্টা করছে, তাহলে তাকে মেরে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।......
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


@winkles, this latest installment of "শ্মশান থেকে ফেরা চিঠি" is gripping! The suspense is masterfully built as Rahul delves deeper into the mystery, facing increasingly terrifying events. The imagery of the burnt face in the mirror and the whispered threats is genuinely chilling. I'm eager to know what happens next as Rahul confronts the corrupt businessmen. Your storytelling has me on the edge of my seat!
The integration of the OpenAI-created image adds a fantastic visual element. আপনার লেখার ধরণ খুব সুন্দর। Keep up the fantastic work; I am waiting for the next পর্ব with bated breath! I'm sure others are eager to share their thoughts too – what are your theories about the three businessmen and the original letter, readers? Let's discuss!