অপ্রতিরোধ্য ভারত আবারো চ্যাম্পিয়ন!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতদিন এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ ছিল। আর চিরপ্রতিদন্দী সেই পাকিস্তানের সাথে খেলা ছিল। তবে এই ফাইনাল ম্যাচটা একদম পুরো ফাইনাল ম্যাচের মতো খেলা হয়েছে। দুবাইয়ের এই পিচে এতো সুন্দর একটা খেলা উপভোগ করা যাবে আশা করিনি, কারণ প্রত্যেকবার এই ফাইনাল ম্যাচে এসে হয় এক টিম খুব ভালো খেলে আর অন্য টিম একদম নেতিয়ে পড়ার মতো। তবে এটা খুবই টানটান উত্তেজনাময় একটি খেলা হয়েছে। পিচ হালকা একটু জটিল ছিল এখানে। তারপরেও সুন্দর ব্যাটিং হয়েছে। ভারত টসে জিতে আগে বোলিং নিয়েছিল, আর এটা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত ছিল।
কারণ ভারতের এই টি২০ স্কোয়াডে বর্তমানে যে বাজে ফিল্ডিং আর বোলিং লাইন খারাপ হয়েছে, তাতে আগে ব্যাট করলে সমস্যা খুব। পাকিস্তানের আগে ব্যাটিং দিলে তাদের ব্যাটিং ছিল মারাত্মক গতি সম্পন্ন। প্রথম ৬ ওভারে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে আর বিনা উইকেটে। এটা একটা সবার জন্য সংকটাপন্নপরিস্থিতি ছিল, কারণ এই গতিতে রান হতে লাগলে ২০০ এর কাছে চলে যাবে। আর ফাইনালে এই বিষয়টা খুবই রিস্কের একটা বিষয়। প্রথম ১০ ওভারে বেশ ভালো রান করে পাকিস্তান। পরে ১১-১৩ ওভারের মধ্যে কয়েকটা উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রান অনেকটা চেপে যায়।
আর এই চেপে যাওয়ার পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান, লাস্ট ৬-৭ ওভারে মাত্র ৩০ এর মতো রান হয়েছে। পরপর পাকিস্তানের সব উইকেট ১৯ ওভারের মধ্যে শেষ হয়ে গেলো আর ১৪৭ রানের টার্গেট দেয়। এটা ইন্ডিয়ার জন্য অনেকটা সহজ একটা ম্যাচ ছিল। কিন্তু আসলে ইন্ডিয়া আজকে ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রে ক্যাচ একটাও মিস না করলেও ব্যাটিং এর দিকে এইভাবে ধস নামাবে বুঝতে পারিনি। ওপেনে তো একদম শুরুতেই ধস নামলো, কারণ অভিষেক এর প্রতিটা ম্যাচে একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকে পাওয়ার প্লে তে। সেই প্লেয়ার পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে পরপর আরো ৩ টা উইকেট পড়ে গেলো।
ইন্ডিয়া এক মহা সংকটের মধ্যে পড়ে যায়, কারণ পাওয়ার প্লে ওভারে রানই হয়নি, অথচ উইকেট ৩ টা চলে গেলো। এদিকে ১০ ওভারের পরের থেকে রান রেট ৭ এর থেকে ১০ এর উপরে চলে যায়। মাঝে এমন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ালো যে, প্রতি ওভারে ১০ না নিলে হবেই না। এদিকে বাউন্ডারি যাচ্ছেই না, মারাত্মক উত্তেজনাময় খেলা ছিল লাস্ট মুহূর্তে। আমার তো মনে হচ্ছিলো, ম্যাচ সুপার ওভারে গড়াবে। কিন্তু আমাদের তিলক একাই ম্যাচ বের করে দিয়েছিলো ৬ মেরে। এখানে এই ম্যাচ জেতার পেছনে অনেক বড়ো অবদান তিলক আর স্যামসন এর। স্যামসন পরে আসলেও তিলক ম্যাচটাকে বের করেছে অনেক কষ্টে। এ না থাকলে ভেসে যেত পুরো। এই নিয়ে ৯ বারের মতো এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ভারত। অপ্রতিরোধ্য ম্যাচ খেলেছে ভারত প্রথম থেকে, যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ বের করে নিয়ে জিতেছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


পাকিস্তানের প্রথম থেকেই খেলা দেখে আমি ধরে নিয়েছিলাম যে এইবারের মতো আবারও ভারত এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে। তবে ফারহান মোটামুটি ভালই খেলেছে পাকিস্তানের হয়ে যদি কুলদীপ যাদব এর বলে আউট না হতো তাহলে হয়তো আরো রান হয়ে যেত। এদিকে আবার অভিষেক প্রতি ম্যাচেই মোটামুটি ভালোই খেলেছে পাওয়ার প্লেতে কিন্তু আজকে একেবারে করুন অবস্থা তারপরেও তিলক এর অবদানে ভারত জয় লাভ করেছে এটাই সবকিছুর মূল যদিও বা সাঞ্জু samsung এর অবদানও রয়েছে। আপনার পোস্টে পুনরায় রিভিউ করে ভালই লাগলো দাদা। অভিনন্দন ভারত টিম।