শান্তিনিকেতন ভ্রমন ( পর্ব ২৮)

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে "শান্তিনিকেতন ভ্রমণ" এর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এখানে প্রথমে কিছু গ্রামের কিছু দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যেটা অনেক প্রাচীন। এখানে কিছু ডিঙ্গি নৌকা ও বৈঠা আছে, যা প্রাচীন গ্রামে ব্যবহার হতো। এইগুলো কাঠের মাধ্যমে একদম গ্রামীণ মানুষের হাতে তৈরি করা। আর এইসব নৌকাগুলো যেমন মজবুত, তেমন আবার এখানকার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। এইসব ডিঙ্গি নৌকাগুলো ছোট নদী বা খালের দিকে চলতে বেশি দেখা যায়। তবে যাইহোক, এই দৃশ্যের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রূপে বাংলার নদীভিত্তিক গ্রামীণ জীবনের প্রতীক ফুটে উঠেছে। তবে এইসব নৌকা তখনকার দিনে বেশিরভাগই মাছ ধরার কাজে ব্যবহার হতো এবং খুব কম বাজারে যেতে ব্যবহার হতো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

মোট কথা তখনকার সময়ে গ্রামীণ জীবনে পরিবহন সবকিছুই নৌকার উপর নির্ভরশীল ছিল। এরপরে রয়েছে কুটুম কাঠাম এর দৃশ্যসমূহ। এইগুলো এক বিশেষ ধরণের লোকশিল্প। এই যে কুটুম কাঠাম, এর মূল বিষয় হলো-প্রাকৃতিক কাঠের গুড়ি অর্থাৎ কোনো কাঠ বা গাছের ডালপালা প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন আকৃতির রূপ নেয়। যেমন অনেক সময় দেখা যায় কোন কাঠের গুড়ি প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো মানুষের মুখের রূপ নিয়েছে বা কোনো প্রাণীর যেকোনো অংশের রূপ নিয়েছে। তখন এই কাঠের গুঁড়িগুলোকে সংগ্রহ করে শুধু তাতে পালিশ করে কালার দেওয়ার পরে সংগ্রহ করে রাখা হয়ে থাকে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আকৃতিগুলোর উপর ভিত্তি করেই মূলত এইসব শিল্পকর্ম। অনেক গাছের শেকড় এর বিষয়টাও পরিলক্ষিত করা যায়। অনেক কিছু আছে যা প্রাকৃতিক মাধ্যমে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আর এইসব প্রাকৃতিক উপায়ে হওয়া আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগে। এখানে যেমন আলোকচিত্রে বেশ কিছু অস্বাভাবিক আকারে বৃদ্ধি পাওয়া প্রাণীর মতো দৃশ্য রয়েছে। এক কথায় যাকে বলে "প্রকৃতির সাথে মানুষের কল্পনার মেলবন্ধন" . প্রকৃতি যেভাবে দেখতে তৈরি করেছে, সেটাকেই চিহ্নিত করে তুলে ধরা। এখানে আরো বিভিন্ন প্রকারের কুটুম কাঠাম এর দৃশ্য রয়েছে, যা এই একইভাবে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া। এইগুলো কোনো খোদাই বা কেটেকুটে তৈরি করা না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এখানে সব শেকড় আর গাছের ডালপালার মাধ্যমে তৈরি হওয়া বিশেষ ঐতিহ্যগত ভাস্কর্য। এখানে কিছু মূর্তি আকৃতির দেখতে পাবেন, যা মানুষের অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখানে বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্যও আছে, যা সব এই কাঠের গুঁড়ির মাধ্যমে হয়ে আসা। যেমন-এখানে কিছু দৃশ্য এমন দেখতে পাবেন, যা মানুষের আকৃতি এবং হাতে কুঠার ধরে আছে। মূলত এখানে এই দৃশ্যের মাধ্যমে এমন একটি লোকশিল্পকে ফুটিয়ে তুলেছে, যা একটি কর্মরত কৃষককে বোঝানো হয়েছে। এছাড়াও বন্যপ্রাণী এবং জলজ প্রাণীরও ভাস্কর্য আছে এই পদ্ধতিতে।

Photo by @winkles

কিছু গাছের শেকড়ের মাধ্যমে এমন দৃশ্য ফুটে উঠেছে, যেখানে কিছু নাচের ভঙ্গিমাও ফুটে উঠেছে। প্রকৃতির রূপ বড়োই অদ্ভুত, যা মানুষের কল্পনার বাইরে। এরপরে রয়েছে সেই তাঁত শিল্পের আরো একটি অংশ। এখানে সব সুতা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বুনছে, যেমন কাপড় ইত্যাদি। এইরকম আরো নানা পদ্ধতি আছে তাঁত শিল্পের, যা এখানে সব বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছে। এখানে এরা তাঁত শিল্পকে হারিয়ে যেতে দেয়নি, সংগ্রহ করে ঐতিহ্যকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.