মেঘলা বিকেলে অচেনা ডাক ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "মেঘলা বিকেলে অচেনা ডাক" গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো অরিত্র ওই বৃষ্টি মাথায় হাঁটতে হাঁটতে পুরোনো ফ্যাক্টরির কাছে পৌঁছে যায়। এরপর ওখানে গিয়ে কিছুক্ষন দেরি করতে থাকে, কারণ সে অনেক আগেই ওখানে চলে আসে। এরপর ঘড়ির কাঁটায় যখন সন্ধ্যা ৬ টা বাজে, তখন আরেকটু সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখে, ওখানে একটি কালো কালারের বড়ো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। অরিত্র গাড়ির কাছে তড়িঘড়ি করে ছুটে চলে যায়, কারণ অরিত্র ভেবেছিলো, হয়তো তার ভাই এই গাড়ির মধ্যেই আছে। কিন্তু কাছে যেতেই গাড়িটি সাথে সাথে চলে গেলো। সেখানে আশেপাশে আর কিছুই নেই, শুধু নির্জন পরিবেশ খাঁ খাঁ করছে।
ওখানে ওভাবে ছটপট করতে করতে হঠাৎ তার চোখ যায় ফ্যাক্টরির ভেতরের দিকে। ওখানে সে দেখতে পায়, কি যেন একটা পড়ে আছে নিচে। তৎক্ষণাৎ অরিত্র সেখানে দৌড়ে চলে যায়। এরপর ওখানে দেখতে পায় আবারো একটি চিঠির খাম। সে চিঠিটা তুলে নেয় এবং সেখানে একটা কিছুটা ধমক ভরা মেসেজ ছিল, যেমন- অরিত্রকে বলে যে, সে যদি তার ভাইকে ফিরে পেতে চায়, তাহলে তার প্রিয় জায়গায় যেন কাল সকালে চলে আসে। অর্থাৎ যেখানে তারা দুইজন ছবি আঁকতো। আবার একা আসতে বলে, নাহলে তার ভাইকে মেরে ফেলবে। অরিত্র অনেকটা ভয়ে কাতর হয়ে যায়। তার মনে এখনো একটাই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে, যে কেউ মজা করছে না তো এই বিষয়টা নিয়ে!
রাতে বাড়ি ফিরে এসে তার মনটা যেন অস্থিরতায় কাটতে থাকে। রাতে ঘুমতো আসেই না, তার উপর যেন রাত শেষ হতেই চায় না। পুরো রাতটা তার ভাইয়ের চিন্তায় আর চিঠির রহস্যময় ডাক এর কথা ভেবে ভেবে পার হয়ে যায়। সকাল হতেই অরিত্র আর একদমই দেরি করেনি, চিঠিতে যে জায়গার কথা লেখা ছিল, সেখানে পৌঁছে যায় দ্রুত। এই জায়গাটা ছিল, কলকাতা শহরের বাইরে একটা ছোট্ট মাঠ, যেখানে তাদের দুই ভাইয়ের শৈশব কেটেছিল। অরিত্র এর সেখানে গিয়ে তাদের শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যায় এবং তার মধ্যেই যেন কিছুক্ষনের জন্য হারিয়ে যায়। কিন্তু আজ সেই জায়গাটা যেন একটা নির্জনতায় পরিপূর্ণ। যাইহোক, এরপর অরিত্র দেখতে পায়, দূরে একজন লোক মুখ ঢাকা হুডি পড়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে।
অরিত্রও সাহস করে লোকটার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর লোকটা আবারো একটা খাম ভরা চিঠি দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর অরিত্র অনেকবার চিৎকার করে তাকে ডাকতে লাগলো, কিন্তু সেই লোকটা আর সাড়া দিলো না। এই চিঠিতে আবার অন্য কথা লেখা ছিল, যেমন- তার ভাই বেঁচে আছে, কিন্তু সে এখন যা হয়ে উঠেছে তা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। এখন শুধু তোমার সাহায্য আমাদের দরকার। তাই তুমি সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাগুইআটির ফ্লাইওভারের নিচে চলে এসো। সেখানে আবার একটা কোড ওয়ার্ড বলে লেখা ছিল-"সাদা পাতা"।
অরিত্র একটা বিষয় বুঝতে পেরেছে এই ঘটনা বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়ার থেকে, যে- কেউ এই বিষয়কে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত মাফিক একটা গেম খেলছে তার সাথে। আর এই খেলায় তার ভাইকে ব্যবহার করছে। যাইহোক, পরের চিঠির স্থান অনুযায়ী সেখানে পৌঁছে যায় এবং সেখানে আবার সেই কালো গাড়ি অর্থাৎ যে গাড়িটা পুরোনো ফ্যাক্টরির কাছে দেখেছিলো। এরপর গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে একটা অর্ধ বয়স্ক লোক বলে "সাদা পাতা "? অরিত্র হ্যাঁ বলে তার ভাইয়ের কথা জিজ্ঞাসা করে।.....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.