বর্ষা দিনে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে এক মেঘময় অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরো একটি নতুন দিনের সূচনা হলো।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
বর্ষার দিনে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ যেন এক ভিন্ন জগতের গল্প বলে। কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ, গুমোট হাওয়া, আর সাগরের উত্তাল ঢেউ — সব মিলে এক অপার্থিব আবহ সৃষ্টি করে। এমন দিনে যখন গাড়ির জানালায় টুপটাপ বৃষ্টির শব্দ পড়ে, মনের ভেতরেও যেন একটা সুর বাজে — শীতল, মায়াময়, নরম।
চকরিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেরিন ড্রাইভ সড়ক, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রঘেঁষা সড়কগুলোর একটি। বর্ষার দিনে এই পথ যেন আরও জীবন্ত হয়ে ওঠে। রাস্তার এক পাশে সাগরের গর্জন, অন্য পাশে সবুজ পাহাড় আর ঝরনাধারা। কখনো হালকা বৃষ্টি, আবার কখনো ঝেঁপে আসা একপশলা ঝড়ো ধারা— পুরো যাত্রাটাকেই করে তোলে রোমাঞ্চকর।
বর্ষাকালে মেরিন ড্রাইভে গাড়ি চালানো একদিকে যেমন রোমাঞ্চকর, অন্যদিকে তেমনই চ্যালেঞ্জিং। রাস্তা ভিজে থাকে, ধোঁয়াটে আবহে চারপাশ ঝাপসা হয়ে আসে। কিন্তু তবুও প্রকৃতির এমন রূপ দেখতে যে কোনো দুর্ভোগই তুচ্ছ মনে হয়। পথে পথে ছোট ছোট চা-স্টলে থেমে গরম চায়ের কাপে চুমুক, ভেজা হাওয়ায় চুল এলোমেলো করে বসে থাকা — এসব মুহূর্তগুলো রয়ে যায় আজীবনের স্মৃতিতে।
মেরিন ড্রাইভের সবচেয়ে মনকাড়া দিক হলো এর খোলামেলা পরিবেশ। বৃষ্টিভেজা এই রাস্তা ধরে চলতে চলতে মনে হয়, আপনি প্রকৃতির একেবারে কোলঘেঁষে চলেছেন। মাঝেমাঝে দেখা মেলে বৃষ্টিতে স্নানরত গরু-মহিষের দল কিংবা দূরে পাহাড়ি বস্তিতে বসবাসরত মানুষের দৈনন্দিন দৃশ্য।
আর সবচেয়ে চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা হলো, যখন হঠাৎ বৃষ্টি থেমে গিয়ে সূর্য উঁকি দেয়। তখন সাগরের পানিতে রং ধরে সোনালি ঝিলিক, আর আকাশজুড়ে ইন্দ্রধনু। মনে হয়, প্রকৃতি যেন তার পুরো রূপ এক ঝলকে উপহার দিতে চায়।
বর্ষার দিনে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ শুধু একটা রাস্তা নয়, এটা অনুভবের একটা জায়গা। এখানে বৃষ্টি শুধু ভেজায় না, মনকেও ধুয়ে-মুছে এক নির্মল প্রশান্তি এনে দেয়। যারা প্রকৃতিকে কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখতে চান, বর্ষাকালের এই মেরিন ড্রাইভ যাত্রা হতে পারে জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত পুরো লেখাটি পড়ার জন্য। আবারও এমন কোন নতুন লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)