জীবন ও জীবিকা একে অপরের পরিপূরক
কিছু কিছু ব্যক্তির কাছে জীবন মানে নিরন্তর উপভোগের বিষয়, তেমনি কিছু কিছু মানুষের কাছে জীবন মানে নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। এমন কোন কিছু হতেই পারে না যা মানুষের জীবনের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষের জীবনধারণের জন্য জীবিকার প্রয়োজন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সেই জীবিকা সম্মানজনক হওয়াটা বিশেষ প্রয়োজন। বেশিরভাগ ব্যক্তি সামাজিক সম্মানকেই সম্মান মনে করে থাকেন। তবে আমরা যদি এভাবে বলি, দেশের সামাজিক মর্যাদা যেসব মানদন্ডের উপর নির্ভরশীল সেটিতে জীবিকার ধরনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে।
একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো উন্নত বিশ্বে ব্যক্তির জীবিকার চাইতে মানবিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী অনেক বেশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের রেস্তোরাঁ গুলোতে যারা খাবার পরিবেশন করেন তাদের সামাজিক মর্যাদা কতটুকু? রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে কতটুকু সুবিধা তারা অর্জন করে থাকে?
অপর দিকে একজন মার্কিন নাগরিক একই পেশায় থেকে কোন বৈষম্যের শিকার হন না। কাজ যেমনি হোক না কেন নীতি বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের মধ্যেই প্রকৃত সম্মান।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা অনুসরণ করলে বলা যায় যে টাকা একটা অন্ধকার জিনিস। কবি মন এ অন্ধকার জিনিসের পিছনে কখনো ছুটতে পারে না। অপর দিকে একজন ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকারী বলবেন যে টাকা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বস্তু,টাকা ছাড়া পৃথিবীর কোন সুখ স্বাচ্ছন্দ্য মিলতেই পারে না। দুটোই কিন্তু গূঢ়গম্বীর সত্য।
টাকার জন্য ভাই ভাইকে খুন করছে সম্পদের জন্য ছেলে বাবাকে খুন করছে। এসব দৃষ্টান্ত যখন সামনে আসে তখন আমরা শিউরে ওঠি।অর্থের কারণেই মানুষ নীতিচুত্য হচ্ছে, বন্ধন ছিড়ে যাচ্ছে রক্তের সম্পর্কের।
তাই আসুন পারিবারিক বন্ধন টিকিয়ে রাখার উপর আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিই,,মানুষের আশ্রয়ের জায়গা যদি আশ্রমে পরিনত না হয়ে জল্লাদ খানায় রূপ নেয় তাহলে বুঝতে হবে সমাজ এক গভীরতম ব্যাধিতে আক্রান্ত। ব্যাধি মুক্তির উপায় সম্মিলিতভাবে ভাবতে হবে।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দেবেন