প্রশান্তি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাড়ি থেকে এসেছিলাম সেই তিন মাস আগে। ঈদের ছুটির পরে আর ঐভাবে বাড়িতে যাওয়া হয় নাই। আমার বাড়িতে যাওয়ার প্লান ছিল মূলত গত মাসের ২৮ তারিখে। কিন্তু আমার বন্ধুর বিয়ের জন্য সবমিলিয়ে এক সপ্তাহ পরেই গেলাম। আমি সাধারণত ছুটি কাটাই না। এইজন্যই আমার অনেকগুলো ছুটি জমে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম বাড়ি যেহেতু যাব একটু বেশি দিন সময় নিয়েই যায়। এইজন্যই গত মঙ্গলবার অসুস্থতার ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠলাম সকাল এগারোটাই। এবং বাড়ি যখন গেলাম তখন বেলা ৩ টা। অনেক দিন পরে বাড়িতে এক অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করছিল। বর্ষার পানিতে বাড়ির পাশের মাঠটা পুরো ভরে গিয়েছে।
বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নেয়। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়। তখন কী করব ভাবছিলাম। একবার আমার বন্ধু লিখনকে ফোন দেয় কিন্তু যার পরশুদিন বিয়ে সে যে ফ্রি থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। ও একটু ব্যস্ত ছিল। সেজন্য আর ওকে খুব একটা বিরক্ত করি নাই। এরপর আমার ফুফাতো ভাইকে ফোন দেয়। টুটুল ভাইয়া আমার থেকে ১২ বছরের বড়। কিন্তু তারপরও উনার সাথে আমার ভালো একটা বোঝাপড়া আছে। যার ফলে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক বড় ভাই ছোট ভাইয়ের মতো না। যাইহোক ভাইয়াকে ফোন দিয়ে কোন লাভ হলো না। ভাইয়া ফোন ধরল না। কী আর করার আমি চলে তৈরি হয়ে বের হলাম বাড়ি থেকে। গন্তব্য তো একটাই। সমস্যা টা ছিল যাব ঠিক কার সাথে এমন।
বাড়ি থেকে বের হয়ে শরিফ ভাইয়ের দোকানে গিয়ে দেখি টুটুল ভাইয়া বসে আছে। আর কী টুটুল ভাইয়াকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম। গন্তব্য আমার সেই পছন্দের জায়গাটা। আমাদের কুমারখালী এম এন স্কুলের পাশে নদীর ধারে। এখন বর্ষা মৌসুমে অনেক পানি হয়েছে। জায়গাটা বেশ দারুণ লাগে। বিশেষ করে বিকেলের সময় টা এখানে বসে থাকলে সময় টা খুবই দ্রুত কেটে যায়। সুন্দর মলিন বাতাসে মনের বিষাদ দূর হয়ে যায়। ওখানে বসে থেকেই টুটুল ভাইয়ার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। সময় টা বেশ দ্রুতই কেটে গেল। সাধারণত অন্য দিনের তুলনায় মানুষ একটু বেশি ছিল। কারণ নদীর সেই সৌন্দর্য। যা সকল মানুষ কে সহজেই আকৃষ্ট করে। আর এইরকম এতো কাছে থেকে অন্য কোথাও নদীটা দেখাও যায় না।
কিছু সময়ের মধ্যেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো। চারিদিক অন্ধকার হতে শুরু করল। তখন আমরাও উঠে আসলাম। এরপরের গন্তব্য কুমারখালী বাজার। কুমারখালী বাজারে আমার কিছু পছন্দের খাবার আছে। যেগুলো একপ্রকার ফাস্টফুড। ঢাকাতে কোথাও আমি ঐরকম ফাস্টফুড দেখিনি। আমার কাছে এগুলোই বেশি ভালো লাগে। এইজন্য যখনই বাড়ি আসি কোনভাবেই এগুলো মিস করি না। এরপর কিছু কেনাকাটা ছিল। সেগুলো শেষ করে যখন বাড়িতে গেলাম তখন রাত ৯ টা। অর্থাৎ প্রথম দিনটা দেখতে দেখতে অতিবাহিত হয়ে গেল। সব শেষ করে রাতে যখন ঘুমালাম তখন একটা প্রশান্তি কাজ করছিল। শুধুমাত্র মনে হচ্ছিল ইস যদি পুরোপুরি বাড়িতে চলে আসতে পারতাম কতই না ভালো হতো।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1964967527131521270?t=bqNTTm8znMR_Ooi9A2jTMQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1964968997679759847?t=EJqdtn3bvt6RFE7aGkvSjg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1964969104575795496?t=dR35kQaeBiwxXRvQEZ-Tww&s=19