হসপিটাল ভিজিট, বৃষ্টি আর একটা শান্ত দুপুরের গল্প।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। কিছু কিছু দিন থাকে যা মন ছুঁয়ে যায়, সাধারণ দিনের মাঝেও বিশেষ কিছু হয়ে ওঠে। এমনই এক দিনের গল্প আজ শেয়ার করছি, যেদিন আমি, আমার স্ত্রী এবং আমাদের একমাত্র মেয়ে নুশাইবা মিলে হসপিটাল গিয়েছিলাম। সকালটা শুরু হয়েছিল কিছুটা ব্যস্ততা আর অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে। আমাদের তিনজনেরই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন ছিল, তাই সময়মতো রওনা দিয়েছিলাম।
হসপিটালে পৌঁছে দেখি সিরিয়াল বেশ বড়। ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে প্রায় সাড়ে দশটা বেজে যায়। সেই সময় নুশাইবার দুষ্টুমি, হাসি-ঠাট্টা আর মাঝে মাঝে বিরক্তি, সব মিলিয়ে সময়টা কেটেছে নানা রঙে। অবশেষে ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু টেস্টের নির্দেশনা পেলাম। টেস্টের জন্যও আবার সিরিয়াল! জীবনটা মাঝে মাঝে কতটা ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়, তাই না? তাছাড়া বাংলাদেশের যেখানেই যাওয়া হয় সেখানেই সিরিয়াল লেগে থাকে।
সব কাজ শেষ হতে হতে দুপুর গড়িয়ে ২টা। পেটের ভেতর তখন ধুকপুকানি চলছে। সিদ্ধান্ত নিলাম, পাশের রেস্টুরেন্ট থেকে লাঞ্চ করে নিই। রেস্টুরেন্টটা বেশ ছিমছাম, শান্ত পরিবেশ। বৃষ্টি ছিল বলে মানুষের ভিড় কম ছিল। আমাদের একটু আলাদা, নিরিবিলি সময় কাটানোর সুযোগ হলো।
মেনু কার্ড হাতে নিয়ে দেখি বেশ কিছু অপশন। শেষে আমরা দুজনেই একটি করে সেট মেনু নিলাম। সেট মেনুতে ছিল সুস্বাদু ফ্রাইড রাইস, মচমচে ফ্রাইড চিকেন, সবজি দিয়ে তৈরি দারুণ এক বেজিট্যাবল আইটেম আর সাথে সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস। খাওয়ার পর মনে হলো, পরিমাণে যেমন যথেষ্ট, তেমনি স্বাদেও অসাধারণ। নুশাইবাও ছোট ছোট কামড় দিয়ে খেতে লাগল। সত্যি বলতে, অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে এমন আরামদায়ক ও পরিপূর্ণ একটি লাঞ্চ উপভোগ করেছি।
বিশেষ একটি মুহূর্ত ছিল, যখন দেখি আমাদের পাশের টেবিলে একটি বিদেশী দম্পতি বসে খাচ্ছে। জানতে পারলাম, তারা জাপান থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছে। বৃষ্টিভেজা দিনে আমাদের দেশের আতিথেয়তা আর খাবারের স্বাদ উপভোগ করছিল তারা। এমন দৃশ্য ভালো লাগা ছড়িয়ে দেয় মনে।
খাওয়া-দাওয়া শেষে বাসার দিকে রওনা দিলাম। ততক্ষণে বিকেল তিনটা। বাইরে তখনও বৃষ্টি পড়ছে। জানালা দিয়ে ভেজা রাস্তাঘাট, গাড়ির আলো, আর সেই মৃদু বৃষ্টির শব্দ, সব মিলিয়ে অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করছিলাম।
সেই দিনটা আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়ে গেল, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করা উচিত, যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন। পরিবার, একটু হাসি, একটু ভালো খাওয়া আর প্রকৃতির ছোঁয়া, এই ছোট ছোট জিনিসগুলোই জীবনের আসল সুখ।
সময় যতই কম থাকুক, পরিবারের সাথে একটু সময় কাটানো খুব দরকার। সুস্বাদু খাবার শুধু পেট নয়, মনকেও আনন্দ দেয়। প্রকৃতি বিশেষ করে বৃষ্টি, স্মৃতিকে আরো মধুর করে তোলে। অন্য সংস্কৃতির মানুষদের সাথে ছোট ছোট মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া জীবনকে সমৃদ্ধ করে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ , ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1943520523897495816?t=KW7w_VMkCqKdpqm2Do44zQ&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1943521488935751838?t=907vXvEFKGcvNqGBZBGp9A&s=19