গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে ভালো আছি তবে বর্তমানে আমাদের উত্তরবঙ্গে এবং নীলফামারীতে মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়ছে। যার কারণে এখানে বেঁচে থাকাই দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে। এইতো গতকাল আমাদের এলাকারই একজন মানুষ বাজারের মধ্যে এই হিটস্টক করে মারা গিয়েছে। হিটস্কট করার পরে তাকে হাসপাতাল নিয়ে আসা হয় পরবর্তীতে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে তাপমাত্রা চেক করলে দেখাচ্ছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু সেখানে ফিল হচ্ছে প্রায় ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই যে তাপমাত্রার প্রভাব এবং মাত্রা অতিরিক্ত ভ্যাবসা গরমের কারণে বর্ধমানের জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। এবং সাধারণ মানুষদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করাটাও অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নীলফামারী শহরে দিনে ২-৩ বার গোসল করাটা অনেক স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। তা না হলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবার মাত্রা অতিরিক্ত গরমের কারণে যদি বেশি বার গোসল করা হয়। তাহলে জ্বর এবং ঠান্ডা কাশির মতো বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে, যেটা আসলেই অনেকটাই কষ্টকর একটি বিষয় এই গরমের মধ্যে।
গরমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হয়ে থাকে। তার মধ্যে এই গরমের কারণে মাত্রা অতিরিক্ত থেমে যাচ্ছি। যার কারণে চুলকানি এবং ঘামাচির মত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে নীলফামারীতে এখন একটুকুও ঠান্ডা বাতাস নেই, ঠান্ডা বাতাস বললে ভুল হবে। কোন ধরনের বাতাসেই নেই, এতটাই ভ্যাপসা গরম পড়েছে। আমি কিছুদিন আগেই ঢাকা থেকে আসলাম। ঢাকায় তখন তাপমাত্রা বেশ ছিল কিন্তু তারপরও এই ধরনের গরমের অনুভূতি আর কখনোই হয়নি এবং আমি তো ছোটবেলা থেকেই এই অঞ্চলে বড় হয়েছি তবে এই ধরনের গরম আমার জীবনে কখনো আমি দেখিনি এবং অনুভব করিনি।
আজকের পোস্ট লিখতে অনেকটা লেট হয়ে গেল। কারণ সারাদিন মাত্রা অতিরিক্ত গরমের কারণে বাসা থেকে খুব একটা বেশি বের হওয়া হয়নি এবং এই গরমের কারণেই আম্মু হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যায়। আরো কিছু সমস্যার কারণে বর্তমানে রাত সাড়ে দশটার পরেই আম্মুকে হাসপাতাল নিয়ে আসতে হয়েছিল। যার কারণে আমার সব ধরনের কাজই একটু লেট হয়ে গেছে। আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ গরম ঠান্ডা কিংবা বর্ষাকাল সব বিষয়ে আমরা ভালোই মানিয়ে নিতে পারি। তবে এবার যে পরিমাণ গরম পড়েছে এটা আসলেই কোন বারেই পড়েনি এবং এই রৌদ্রজ্জ্বল আর দিনগুলোতে টিকে থাকা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য এই দিনগুলো যেন এক একটা অভিশাপের মত কাজ করছে।
একটু আগেই খবর দেখলাম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। সবমিলিয়ে এখন সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা সেই ঝড়-বৃষ্টি যেন এই নীলফামারী অঞ্চলে দান করেন। তা না হলে এখানে মানুষ মরতেই থাকবে এবং অসুস্থ হতেই থাকবে। বর্তমানে হাসপাতালে বসে থেকেই এই পোস্টটি লিখছি, তাই আর বেশি কিছু লিখতে পারছি না। যাই হোক আপনাদের অঞ্চলের কি অবস্থা তা অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। আজকের মতো এখানে মেসেজ করছি আপনার সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
@alsarzilsiam, আপনার পোস্টটি পড়ে নীলফামারীর অসহনীয় গরমের তীব্রতা অনুভব করতে পারছি। আপনার অঞ্চলের হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর খবর এবং মায়ের অসুস্থতার কথা জেনে খারাপ লাগলো।
ছবিগুলো পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এটা সত্যিই উদ্বেগের বিষয় যে, সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা কতটা কঠিন হয়ে পড়েছে। গরমের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগব্যাধি এবং দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাবের বর্ণনা খুব বাস্তবসম্মত।
আশা করি, সৃষ্টিকর্তা जल्दी আপনাদের উপর রহমত বর্ষণ করবেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আপনার এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকলাম। নিজের এবং পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন।
৩/৪ দিন আগে অর্থাৎ গত সপ্তাহের বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আমাদের এখানেও প্রচন্ড গরম পড়েছিল। তবে কালকে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে, আবহাওয়া মোটামুটি শীতল হয়েছে। আসলেই তীব্র গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ। তীব্র গরমে হিটস্ট্রোক করে অনেক জায়গাতেই মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই সবার উচিত বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।