মানুষের বড় আদালত হচ্ছে বিবেক
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
★আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব★। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মানুষের বড় আদালত হচ্ছে বিবেক এই বিষয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো।তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
![]() |
---|
বিবেক হলো সেই অদৃশ্য অভ্যন্তরীণ কণ্ঠস্বর, যা আমাদের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য শেখায়। যখনই আমরা কোনো ভুল করতে যাই, সেই কণ্ঠস্বর ভেতর থেকে সতর্ক করে—"এটা ঠিক নয়!" আবার, কোনো ভালো কাজ করতে গিয়ে যখন সংকোচ আসে, তখন সেই কণ্ঠই সাহস জোগায়।সমাজের আদালত একজন মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রমাণ চায়, সাক্ষী চায়, সময় চায়। কিন্তু বিবেক তা চায় না।
সে বিচার করে তাৎক্ষণিকভাবে। কেউ না জানুক, সমাজ না জানুক, বিবেক জানে তুমি কী করেছো।অনেকে সমাজের চোখ ফাঁকি দিয়ে অন্যায় করে পার পেয়ে যায়। কিন্তু তারা নিজের বিবেকের চোখ ফাঁকি দিতে পারে না। রাতে বিছানায় শুয়ে সে কণ্ঠস্বর বারবার তার ভিতর গর্জে ওঠে—"তুমি ঠিক করো নি!" এই যন্ত্রণা অনেক সময় সমাজের সাজার চেয়েও অনেক বেশি তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী।সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো তখন, যখন একজন মানুষের বিবেক ঘুমিয়ে পড়ে বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তখন সে মন্দ কাজ করেও বিন্দুমাত্র অনুশোচনা বোধ করে না।ধীরে ধীরে সে মানুষের খোলসে লুকিয়ে নির্মম এক যন্ত্রে পরিণত হয়।একটা সময় সেই ব্যক্তি আর নিজের কর্মের ভালো-মন্দও অনুভব করতে পারে না। এটা সমাজের জন্য, পরিবারের জন্য, এমনকি তার নিজের জন্যও ভয়ানক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।একজন বিবেকবান মানুষ কখনোই কারও ক্ষতি করতে পারে না। কারণ তার ভেতরেই এক শক্তিশালী বিচারক বসে আছে, যে ভুলের মাশুল তার মনকে দিতে বাধ্য করে। এমন ব্যক্তি সমাজের জন্য এক আশীর্বাদ।
তাঁর সিদ্ধান্তগুলো হয় মানবিক, তার কর্মগুলো হয় ন্যায়নিষ্ঠ। বিবেকবান মানুষ মানেই সত্যবাদী, দায়িত্ববান, সহানুভূতিশীল, ন্যায়পরায়ণ।বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধ এবং বিবেকের ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত হয়ে পড়ছে। প্রতিযোগিতা, লোভ, স্বার্থপরতা মানুষকে বিবেকহীন করে তুলছে। কিন্তু এই সংকট কাটাতে হলে সমাজের প্রত্যেক মানুষকে নিজের ভিতরের আদালত—অর্থাৎ বিবেককে জাগ্রত করতে হবে।
একটা জাতি তখনই এগিয়ে যায়, যখন তার নাগরিকরা বিবেকবান। আর একটা জাতি তখনই ধ্বংসের দিকে যায়, যখন তার মানুষেরা বিবেকহীন হয়ে পড়ে।আইনের বিচার থেকে হয়তো কেউ রেহাই পেতে পারে, কিন্তু বিবেকের বিচার থেকে নয়। দিনের শেষে আমরা সবাই আমাদের নিজের অন্তরের আদালতে দাঁড়াই—যেখানে মিথ্যা, অজুহাত কিংবা ফাঁকি চলে না।সত্যিকারের ন্যায় ও শান্তির পথে চলতে হলে, আমাদের সকলের দরকার বিবেকবান হওয়া। কারণ মানুষের সবচেয়ে বড় আদালত হলো তাঁর বিবেক।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ্ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
X-promotion
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
মানুষের বিবেক জাগ্রত না হলে সে কখন ভালো মানুষ হতে পারবেনা। আপনি অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। আপনার লেখাগুলো পড়ে খুবই ভালো লেগেছে
আমরা যদি কখনো অপরাধ করি তাহলে নিজেদের বিবেকের কাছেই অপরাধী হয়ে সারা জীবন বেঁচে থাকবো। নিজের বিবেক হচ্ছে সবচেয়ে বড় আদালত। অসাধারণ লিখেছেন আপনি।