হাসির কিছু মুহূর্ত…[১৫]

জীবনে হাসি-ঠাট্টা কতটা দরকারি, তা তো আর বলে দিতে হবে না। মন খারাপের দিনে হুট করে কারো বলা একটা দুষ্টুমি, কিংবা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া কোনো মজার কাণ্ড মুহূর্তেই আমাদের মন ভালো করে দেয়।তাই ভাবলাম, আগের সপ্তাহের মতো আজকেও আপনাদের জন্য নিয়ে আসি কিছু হাসির মুহূর্ত। মানে পুরাই দম ফাটানো কিছু কৌতুক।

চলুন তবে আর দেরি না করে শুরু করা যাক...

সোর্স

পাগলা ঘড়িওয়ালা করিম ভাই ⏰😂

আমাদের শহরে একটা মানুষ আছে, নাম করিম ভাই। বয়স হবে চল্লিশের কাছাকাছি, কিন্তু তার শখ একটু আলাদা। তিনি পৃথিবীর সব কিছুতেই ঘড়ি ব্যবহার করতে চান।

শুরু হলো একদিন হাটের দোকান থেকে। তিনি হঠাৎ দেখলেন সুন্দর একটা ডিজিটাল ঘড়ি। দামও কম। কিনে আনলেন। ঘরে এসে গলায় ঝুলালেন। কিন্তু সমস্যা হলো ঘড়ি গলায় দেওয়ার জন্য বানানো হয়নি। সবাই দেখে অবাক।

পাশের লোকজন জিজ্ঞেস করল,
“করিম ভাই, গলায় ঘড়ি কেন?”
তিনি গম্ভীর ভঙ্গিতে বললেন,
“যেন সময় সবসময় আমার বুকের কাছে থাকে।”

এরপর থেকে তিনি সব জায়গায় সেই ঘড়ি নিয়ে যেতেন। বাজারে গেলে দোকানদাররা বলত,
“কত বাজে ভাই?”
করিম ভাই গর্ব করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে উত্তর দিতেন,
“আটটা বেজে সতেরো মিনিট... আর আধা সেকেন্ড!”

একদিন তিনি ভাবলেন শুধু গলায় রাখলেই হবে না, আরেকটা কিনে পায়ের গোড়ালিতে বেঁধে রাখলেন। সবাই হেসে বলল,
“এটা আবার কেন?”
তিনি গম্ভীরভাবে বললেন,
“সময় তো থেমে থাকে না, তাই আমি পায়ে বেঁধেছি, যেন সময়ের সাথে পা মেলাতে পারি।”

কেউ কেউ হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়ে পড়ল।

সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটল শুক্রবারে। জুমার নামাজের আগে মসজিদের ভেতরে বসেছেন। হঠাৎ গলার ঘড়ির অ্যালার্ম বাজতে শুরু করল “টিং টং টিং টং।” সবাই চমকে গেল। ইমাম সাহেবও অবাক হয়ে তাকালেন।

করিম ভাই শান্ত গলায় বললেন,
“আরে ভয় পাবেন না, এটা আমার ব্যক্তিগত আজান ঘড়ি। সময় হলে আমাকেই আগে ডাকে।”

লোকজন তখন হাসতে হাসতে পাগল হয়ে গেল।

আরেকবার গ্রামের স্কুলে গিয়েছিলেন। বাচ্চারা জিজ্ঞেস করল,
“চাচা, এত ঘড়ি কেন?”
তিনি উত্তর দিলেন,
“তোমরা পড়াশোনায় সময় নষ্ট করো না বলে আমি সময়কে বেঁধে রেখেছি।”

শিশুরা তখন হাততালি দিয়ে হেসে উঠল।

এরপর থেকে গ্রামের সবাই তাকে নতুন নামে ডাকতে শুরু করল
“পাগলা ঘড়িওয়ালা করিম ভাই।”

সোর্স

আসলে জীবনটা অনেক ছোট। সবসময় সিরিয়াস হয়ে থাকা যায় না। মাঝেমধ্যে এমন হাসি-ঠাট্টা, পাগলামি দরকার। তাতে মনও ভালো থাকে, দিনটাও জমে যায়।তাই বলব - হাসুন, খুশি থাকুন। কারো খারাপ দিনটা একটুখানি ভালো করে দিতে পারলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় আনন্দ।

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ। _{আমি ঘোরাফেরা, লেখালেখি এবং ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন জায়গা ও সংস্কৃতি আবিষ্কার করতে আমার আনন্দ লাগে। বিভিন্ন মুহূর্ত ও দৃশ্যকে ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করা আমার শখ। লেখালেখির মাধ্যমে আমি আমার ভাবনা, অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে ভালোবাসি। প্রকৃতির সৌন্দর্য, মানুষের জীবনধারা এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আমার লেখার মূল অনুপ্রেরণা। আমি প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং সেগুলোকে স্মৃতিতে ধরে রাখি। এসব অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন করে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।}