অনিশ্চিত অপেক্ষা...!!
"হ্যালো বন্ধুরা"
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশাকরি আমার আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে!
সেদিন আমি আর আমার বাড়িওয়ালী আপা দুজন মিলে গল্প করছিলাম!আমরা মুখোমুখি বসে ছিলাম আমি সোফায় আর উনি দুই হাত দূরে বিছানায় বসা ছিলো।গল্পের ফাঁকে কখন যে ওনার চোখ আমার গলার দিকে পড়েছে তা আমি খেয়াল করিনি!উনি অনেকক্ষণ ধরে আমাকে গলাটা লক্ষ্য করছিলো কিন্তু সেটা আমি বুঝতে পারিনি।হঠাৎ তিনি গল্পেে মাঝেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন!বৌদি আপনার গলাটা কেমনজানি ফোলা ফোলা লাগছে!তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায়? উনি বললেন গলার ডানপাশে দেখেন!ওনার কথা মতো আমি হাত দিয়ে গলাটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলাম হ্যাঁ সত্যিই তো ডানপাশে বেশ বড়সড় একটা গোটা অনুভব করলাম!তারপর আয়না দিয়ে দেখলাম খু্ব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে।এটা দেখার পর মনের মধ্যে শুরু হয়ে গেলো অশান্তি!!
দীর্ঘ বারো বছর ধরে রোগ ডাক্তার চিকিৎসা ঔষধের উপরেই আমার জীবন চলছে,তাই এখন মনে হয় আমার নিজেকে নিজেই একজন ছোটখাটো ডাক্তার মনে হয়।😅আমি নিজে নিজে উপলব্ধি করলাম এটা টিউমার টাইপের কিছু একটা হবে তাই আর দেরি না করে পরেরদিনই চলে গেলাম ইবনে সিনায় আমার রেগুলার চেক-আপ যিনি করেন সেই ডাক্তার আসিফ রব্বানী স্যারের কাছে প্রথম আমার আগের টেস্ট গুলো করিয়ে নিয়েই তাঁর কাছে গেছি তার কারণ এটা আমার রেগুলার রুটিন।প্রেসক্রিপশনে যে টেস্ট গুলো লেখা আছে সেগুলো করিয়েই ডাক্তার দেখাতে হয় আমাকে সেই বারো বছর ধরে একই নিয়ম।আমি যে ঔষধ গুলো খাই তাতে করে কোনো জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে কি-না সেটা দেখার জন্যই তিন মাস পর পর এগুলো টেস্ট করাতে হয়।
যাইহোক আমার রিপোর্ট দেখে স্যার বললেন মোটামুটি এগুলো ঠিকঠাকই আছে!তখন আমি তাঁকে আমার নতুন সমস্যার কথা জানালাম,তখন স্যার আমাকে থাইরয়েড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিলেন এবং বললেন এটা অবশ্যই পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকেই করাতে হবে।থাইরয়েড বা এই জাতীয় এবং বড় বড় রোগ নির্ণয়ের জন্য পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র হচ্ছে বেস্ট।স্যারের কথামতো আমি পরেরদিন সকালে চলে গেলাম শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রে।
কথামতো পরেরদিন স্যারের কথামতো থাইরয়েড টেস্ট করতে দিলাম।তারপর চার দিন পর টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলাম।রিপোর্ট নিয়ে সোজা চলে গেলাম আসিফ রব্বানী স্যারের কাছে উনি রিপোর্ট দেখে বললো থাইরয়েড তো একদম ঠিকঠাক আছে, আর তাই বলে আমাকে এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে দেখাতে বললেন।লম্বা লাইনে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয় হাসপাতালে।প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পর টিকিট হাতে পেলাম।তারপর সোজা চলে গেলাম ১১৬ নম্বর রুমে মুকল রায়হান স্যারের কাছে।উনি আমাকে আমার সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলেন আমি বিস্তারিত সবকিছু বললাম। প্রথমে আমার সব রিপোর্ট গুলো দেখলেন তারপর হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে গলা ঘাড় কানে চারপাশে দেখে গলার ডানপাশে হাত দিয়েই বললেন এটা টিউমার।আপনাকে একটা গলার স্ক্যান এবং NFAC টেস্ট করাতে হবে।এগুলো শুনেই তো আমার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মতো অবস্থা...!!! NFAC টেস্ট কিসের তা আমি খুব ভালো করেই জানি কারণ আমার মায়ের বেশ কয়েকবার করানো হয়েছিলো তাই এটা সম্পর্কে আমার ধারণা আছে।
ডাক্তারের রুম থেকে বেড়িয়ে আমি প্রথমে আমার হাসবেন্ড কে কল দিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সেই কান্নাকাটি শুরু করে দিলাম আমি কোনোভাবেই নিজেকে শান্ত রাখতে পারছিলাম না আমি শুধু এটা ভাবছিলাম যে যদি আমার NFAC রিপোর্ট খারাপ আসে তখন আমার কি হবে এবং আমার মেয়ে দুইটার কি হবে? এগুলো মনে হচ্ছে আর সমানে কান্না করছিলাম!😭
চলবে...
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডেইলি টাস্ক -https://x.com/chakiatoshi/status/1954127133556813895?t=FsN_fmYUTxktBJzDQcZpaw&s=19