Incredible India monthly contest of May #1| How do we control the loneliness of our parents?

in Incredible Indialast month

সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন এজন্য আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটি কে এবং অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি।

1000372144.jpgPexels:

সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা আশা করি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন বেশি কথা না বলেন চলুন আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যায়।

✅Do you hold the view that, over time, parents develop a longing for the presence of their children? Please elaborate.

প্রতিটা পিতা-মাতা তার সন্তানের উপস্থিতির জন্য অবশ্যই থাকে এবং সর্বদা আশা করে যে তার সন্তান যেন তার কাছে থাকে এবং তার আশে পাশেই বা তার দুচোখের সামনেই দেখতে পায় বিশেষ করে যখন তাদের বয়স বৃদ্ধি পায়।

পিতামাতার একাকীত্ব কারণ প্রভাব এবং করণীয়।

সময় যেমন সামনে এগিয়ে চলে তেমনি বদলে যায় জীবনের সম্পর্কের ধরনও একটা সময় ছিল যখন যৌথ পরিবার ছিল সমাজের মূল কাঠামো বাবা-মা দাদা-দাদি সবাই একসাথে থাকতাম কিন্তু আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা কাজের চাপে ভিন্ন শহরে বা দেশে চলে যাওয়া এবং পারিবারিক কাঠামোর পরিবর্তনের কারণে অনেক পিতামাতা এখন একা বসবাস করছেন সময়ের সাথে সাথে তারা শুধু সন্তানদের শারীরিক উপস্থিতির জন্য নয় বরং মানসিক সংযোগের জন্যও আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেন এই একাকীত্ব অনেক সময় মানসিক চাপ হতাশা এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

1000372145.jpgPexels:

পিতামাতারা কেন সন্তানদের উপস্থিতি কামনা করেন?

বয়স বাড়ার সাথে মানুষের শারীরিক দুর্বল হতে থাকেন এবং মানসিক দিক থেকেও অনেক বেশি সহানুভূতি যত্ন খোঁজেন পিতামাতার মনে থাকে স্মৃতির ভাণ্ডার সন্তানদের ছোটবেলার মুহূর্ত সংসারের লড়াই ভালোবাসার দৃশ্যপট যখন সন্তান বড় হয়ে দূরে চলে যায় বা খুব কম সময় দেয় তখন তাদের মনে হয় যেন সেই জীবনটা তারা শুধু দিয়েই গেছে ফিরে পায়নি তারা অনুভব করেন সন্তানদের উপস্থিতি থাকে তাদের জীবনের পূর্ণতা।

এছাড়া বয়স্ক মানুষদের সামাজিক যোগাযোগ অনেকটাই সীমিত থাকে। তারা আগের মতো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না, কাজের জগতে যুক্ত থাকেন না, ফলে তাদের সময়টা অনেকটা ফাঁকা থাকে। এই ফাঁকা সময়ে সন্তানদের একটু কথা, একটু সময় তাদের কাছে মহার্ঘ্য হয়ে ওঠে।

বাবা-মায়ের একাকীত্বের পেছনের প্রধান কারণগুলো

প্রতিটা মাতা পিতা তার সন্তানকে সুশিক্ষিত করার জন্য সন্তানকে অনেক দূরে সরিয়ে দেয় সন্তানের দূরে থাকা পড়াশোনা চাকরি কিংবা নিজের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে অনেক সন্তান বাবা-মার সঙ্গে থাকেন না ফলে দৈনন্দিন জীবনে একা থাকেন পিতামাতা।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে হয়তোবা যোগাযোগের অভাব সন্তানরা যদি নিয়মিত খোঁজ না নেয় বা খুব কম কথা বলে তাহলে বাবা-মা মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন অনুভব করেন সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বন্ধু-বান্ধব হারান কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কমে আসে। এতে একাকীত্ব বাড়ে।

বয়স যত বৃদ্ধি পায় ঠিক অসুস্থতার হার তত বৃদ্ধি পেতে থাকে স্বাস্থ্যগত সমস্যা অসুস্থতা চলাফেরার সীমাবদ্ধতা কিংবা স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার মতো সমস্যার কারণে অনেক সময় বাবা-মা নিজেরাই অসহায় হয়ে পড়েন।

1000372148.jpg
Pexels:

হয়তোবা আমাদের পিতা-মাতা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সাথে চলতে পারে না তবে আমাদেরকে সচেতন হওয়া উচিত প্রযুক্তির ব্যবধান আজকের পৃথিবী ডিজিটাল হলেও অনেক প্রবীণ মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন না ফলে সন্তানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল যোগাযোগ করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

বিচার-ভিত্তিক মনোভাব কখনো কখনো সন্তান ও পিতামাতার মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক তৈরি হয়। বাবা-মা যদি সন্তানদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করেন তবে দূরত্ব বেড়ে যেতে পারে। আবার সন্তানরাও সবসময় বুঝতে পারেন না পিতামাতার আবেগ।

পিতামাতার একাকীত্বের প্রভাব

মানসিক স্বাস্থ্য একাকীত্ব থেকে হতাশা উদ্বেগ ও ডিপ্রেশন হতে পারে অনেকে আত্মসম্মান হারান বা নিজেকে বোঝা মনে করতে থাকেন।

শারীরিক স্বাস্থ্য গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘদিন একাকী জীবনযাপন করলে হার্টের সমস্যা উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় সম্পর্কের দুরত্ব যখন বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে তখন পারিবারিক বন্ধন নড়বড়ে হয়ে যায়।

✅How do we control the loneliness of our parents?

আমরা কীভাবে বাবা-মায়ের একাকীত্ব কমাতে পারি?

নিয়মিত যোগাযোগ রাখা প্রতিদিন অন্তত একবার বাবা-মার সাথে ফোনে কথা বলা ভিডিও কল করা বা মেসেজ পাঠানো তাদের মন ভালো রাখতে পারে সময় দেওয়া সপ্তাহে বা মাসে একদিন সময় বের করে বাবা-মার সঙ্গে সময় কাটানো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছোট একটি ভ্রমণ বা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া অনেক প্রশান্তি দেয় তাদের কথা শোনা বাবা-মা অনেক সময় শুধু নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিতে চান। তাদের না থামিয়ে মনোযোগ দিয়ে শোনা তাদের মানসিক শান্তি দেয়।

তাদের প্রযুক্তিতে যুক্ত করা যদি সম্ভব হয় বাবা-মাকে স্মার্টফোন ট্যাব বা অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহারে সহায়তা করা তারা ভিডিও কল ছবি দেখা বা মেসেজ পাঠানো শিখলে আপনাকে আরও কাছের মনে হবে স্থানীয় সামাজিক বা সাংস্কৃতিক ক্লাবে যুক্ত করা অনেক এলাকায় প্রবীণদের জন্য ক্লাব লাইব্রেরি বা সকালের হাঁটাচলার গ্রুপ থাকে সেখানে যুক্ত হলে তারা নতুন বন্ধু পান পারিবারিক মিলন আয়োজন উৎসব জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকীতে সবাই মিলে একত্র হওয়া পিতামাতার কাছে অনেক বড় উপহার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সময়মতো চিকিৎসা ওষুধ চেকআপের ব্যবস্থা করে দেওয়া পিতামাতার শারীরিক স্বস্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

পিতামাতারা আমাদের জীবনের প্রথম আশ্রয়স্থল। তারা আমাদের হাসি কান্না সফলতা ও ব্যর্থতার নীরব সাক্ষী। তাই বয়সের এই প্রান্তে এসে তারা আমাদের কাছে ভালোবাসা ও সহানুভূতির প্রত্যাশা করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমরা যদি একটু মনোযোগ দেই একটু সময় দেই তাহলে পিতামাতার একাকীত্ব অনেকটাই কমে যেতে পারে যখন মানুষের বয়স হয়ে যায় তখন তাদের মনও শিশুর সমন্বয় হয়ে ওঠে আর তাদের মুখে যদি আবার হাসি ফিরে আসে তাহলে সেই হাসিই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন লেখার ভেতর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে নিজ গুণে ক্ষমা সুন্দর্য দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। @idayrus @jannat7 @tuhin002

1000351974.gif

Sort:  
Loading...
 23 days ago 

প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার লেখাটি অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী এবং বাস্তব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে যা আমাদের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্ত অনুযায়ী অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততায় আমরা অনেক সময় ভুলে যাই যে, আমাদের বাবা মা বয়সের সাথে সাথে শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা আমাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তাদের একাকীত্ব শুধু দুঃখের বিষয় নয়, বরং এটি একটি বড় সামাজিক সমস্যা।

যা তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। আমাদের মত প্রতিটা সন্তানদের উচিত নিয়মিত মা বাবা রং সাথে যোগাযোগ রাখা, তাদেরকে সময় দেওয়া, এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে হলেও তাদের সাথে সংযুক্ত থাকা। তাদের জন্য ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করা যেমন একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করা, ভ্রমণ, কিংবা শুধু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। আপনার এই ছোট ছোট কাজ গুলোই তাদের মনে আশার আলো জ্বালাতে পারে। আপনার লেখাটির মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আমাদের সামনে এসেছে। একটা বয়সের পর বাবা-মায়ের হাসিই আমাদের জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হয়ে উঠে। চমৎকারভাবে প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।