Better Life With Steem || The Diary game || 21/9/2025

in Incredible India14 hours ago (edited)

হ্যালো গায়েজ,,

1000170659.jpg

আসসালামু আলাইকুম আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন,,তবে আমি মোটেও ভালো নেই, আল্লাহতালা কপালে সুখ না দিলে কখনো জোর করে আনা সম্ভব না এই কথাটি খুব ভালো করেই সবাই জানে । তার মধ্য হয়েছি আমি একজন। চলুন আজকে ডাইরী গেমের ভিতরে নিজের কিছু ব্যক্তিগত আপনাদের সাথে শেয়ার করি।।


নিত্যদিনের মতন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে, নিচে গিয়ে কিছুক্ষন হেটে আসি আর কাঁচা সবজি নিয়ে আসি। বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই দেখি সাহেব বের হয়ে যাচ্ছে তখন বাজে সকাল সাড়ে আটটা । বলছি এ কি না খেয়ে তুমি যাচ্ছো আর পাঁচটা মিনিট বসে যাও।তারপর সে বলছে আমার হাতে মোটেও সময় নেই বাইরে যেয়ে কিছু খেয়ে নেব।

1000170600.jpg

সে যাওয়ার পর আমি ওদের জন্য সকালে নুডুলস রান্না করে দিলাম এবং সাথে আমিও খেলাম। খেয়ে দেয়ে কিছুক্ষন বসে তারপর সকালে কিছু কাজ ছিল ওগুলো করে নিলাম। কাজটুকু শেষ করে রান্নার ঘরের দিকে আবার চলে যাই।

রাজা রান্না যা করবো তা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে করে রান্নাটাও বসিয়ে দি। আজকে দুপুরে রান্না করলাম পুঁইশাক, আর ঢেরস, বাজি। তবে রান্না করতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি, বারোটার ভিতরে রান্না হয়ে গেল । রান্নার সবগুলো গুছিয়ে নিয়ে তারপর ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে গোসল করিয়ে দি। এবং আমিও গোসল করি আর এদিকে দেখি সাহেব এসে সে বিশ্রাম নিচ্ছে।।

1000170607.jpg

এরপর গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি। আর দুপুরে খাবারটা সবাই খেয়ে নিয়েছি। এই প্ল্যাটফর্মে কমবেশি সবাই জানেন আমার একটা ছেলে এবং মেয়ে আছে। আর মেয়ে নামে যাকে চিনেন সে আসলে আমার মেয়ে না। কথাটা খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি। কোনদিনই কাউকে বুঝতে দেই না যে, ও আমার মেয়ে না এমনকি আমার ভালোবাসা এবং আচরণ দেখে কেউ বুঝতে পারিনি ও আমার নিজের মেয়ে না।

কিন্তু ওর আচরণ আর স্বভাব চলার অঙ্গী ভঙ্গি দেখে লোকেরা বাজে মন্তব্য করে। আসলে আমি আমার নিজের ধৈর্য দেখে অবাক হয়ে যাই যে, আল্লাহ তাআলা আমাকে এতটা ধৈর্য দিছে।

1000170639.jpg

আমার হাজব্যান্ড আমাকে বিয়ে করার আগে আর একটা বিয়ে করছিল এবং সেই ঘরের মেয়ে ও। তবে ওর মা এখন আবার একটা বিয়ে করে সংসার করছে। আমি ওকে কখনো নিজের ছেলের থেকে কম বুঝেনি।। আসলে আপনারা যে যে আমার পোস্টটা পড়েন না কেন পরে বুঝতে পারেন যে নিজের বেলাই সবাই একটু বেশি ভালো বলে থাকে। কিন্তু মোটেও বলছি না। আমার আশেপাশের লোক দেখে বলে তুমি এতটা সহ্য করো কিভাবে।

আমার ওপর দিয়ে কি বয়ে যাচ্ছে আটটা বছর একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর আমি ছাড়া কেউ জানে না। আমার জীবনে এটা একটা সিক্রেট ব্যাপার ছিল কিন্তু সিক্রেট ব্যাপারটা আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর আমার বিয়ের ব্যাপারটা বলতে গেলে অনেক লম্বা বলে শেষ করা যাবে না।

আপনারা বুঝে নিন আমার বিয়ে হয়েছে ১৬ বছরে আর সঙ্গে সাত বছরের একটা মেয়েও পেয়েছি।

ও এমন একটা মেয়ে প্রত্যেকটা কাজে প্রত্যেকটা মুহূর্তে ছোটবেলা থেকেই আমার সঙ্গে রিস এবং জিদ করে যাচ্ছে। আমি এগুলো কখনো পরোয়া করিনি। কিন্তু এখন আর পাচ্ছিনা। ওর আচরণের স্বভাব চলাচলতির কারণে বাসায় প্রত্যেকটা মুহূর্তে কোন না কোন সমস্যা লেগেই থাকে। আমার কলিজার পিত্তটা এখন তিতার চেয়েও তিতা থেকে হয়ে গেছে।

আর মুখের ভাষা তো মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর। আমি আর কিছু বলতে চাই না নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন আমার মনের ব্যাপারটা। তবে আমার ব্যাপারটা আপনাদের সাথে কখনো আমি শেয়ার করতে চাইনি। আর চাপিয়ে রাখতে পারছি না তাই বলে ফেললাম।।

1000170651.jpg

যাইহোক, আপনাদের সঙ্গে আমার জীবনের কিছু কথা শেয়ার করলাম। এরপর আসরের নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি আর সময় কাটায়। মোটেও ভালো লাগছিল না মনটা ভীষণ খারাপ ছিল। আজকেও একটা ঝামেলার মুখে পড়তে হয়েছে।

সন্ধ্যা হল আজান দিল নামাজ পড়ে ছেলেকে সন্ধ্যার নাস্তা করিয়ে পড়তে বসাই। ছেলেকে আজকে পড়াতে বসিয়ে তেমন একটা সময় দেই নি, ভালো লাগছিল না উঠে গিয়ে এশার নামাজটা পড়ে নিলাম। থাক তবে আজকের এতোটুকুই লেখা সমাপ্ত।।

বন্ধুরা, আজকের লেখায় এখানেই শেষ করছি, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...