Better Life With Steem || The Diary game || 21/9/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন,,আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম,আজকের ব্যস্ততার দিনের মুহূর্তগুলো নিয়ে চলুন শুরু করি দিনের মুহূর্তগুলো ।।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি সকালের আবহাওয়াটা অনেক সুন্দর এবং নিঝুম একটা মুহূর্ত। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ছেলের পাশে শুয়ে থাকি। শুয়ে থাকার পর যখন শুনি বাসার নিতে তরকারি ওয়ালা তরকারি নিয়ে আসলো তারপর আমি সেখান থেকে এক কেজি ছিচিঙ্গা নিলাম।
দেখি আজকে সাহেবও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে গেল, উঠে হাতমুখ ধুয়ে। বাসায় বেশিক্ষণ সময় না দিয়ে আজকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ল। সকালে নাস্তাটুকু খেয়ে যেতে পারিনি, এরপর একেক করে ছেলে মেয়ে তারা উঠে গেল । তাদের জন্য সকালের নাস্তা নুডুলস রান্না করে দিলাম।
তাদের সকালের নাস্তা খাওয়া হয়ে গেলে, আমি আমার কিছু কাজে লেগে পড়ি। সকালে কাজবাজ করা হয়ে গেলে এরপর 11 টার সময় দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পড়ি।
রান্না গুছিয়ে নিতেই দেখি পাশের বাসা ফ্ল্যাটের ভাবি। সে সামনের মাসে আমাদের পাশের বাসার রুমে উঠবে। সেই, জন্য একবার বাসা দেখে গিয়েছিল আজকে আবার দেখে এডভান্স টাকা দিয়ে গেল। এবং সেই সময় আমার সাথেও দেখা করে গেল আর অনেকক্ষণ কথা বলল।
তাকে চা নাস্তা বিস্কুট খেতে দিলাম । আর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুজনে অনেকক্ষণ কথা বললাম। তখন বাজে দুপুর সাড়ে বারোটা আমার রান্নাটা ও শেষ হয়নি, তার কথার ভিতরে পড়ে গেলাম।
যাইহোক, অনেকক্ষণ কথায় সময় কাটিয়ে তারপর আবার রান্না নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমার রান্না শেষ হতে না হতেই সাহেব দুপুর একটা ভিতরে বাসায় চলে আসলো। এরপর অনেকক্ষণ বিশ্রাম নিল ছেলের সাথে দুষ্টুমি করলাম। তারপর গোসলে গেল এদিকে আমার রান্নাটা শেষ হয়ে গেল।
আমার রান্না ঘরে সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার পর সমস্ত রুমগুলো ঝারু দিলাম এবং আমিও গোসলে চলে গেলাম। মা ছেলে গা গোসল করে আমি জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। এরপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করি।
এরপর দেখি বাহিরে চার দিকে অন্ধকার আর বাতাস। বাতাস হওয়ার কিছুক্ষণ পর মাশুল ধারা এমন বৃষ্টি হলো যে একদম এক ঘন্টার মত বৃষ্টি পরছিল। শুয়ে বসে রইলাম ফোন দেখলাম। সাড়ে চারটায় আসরের আজান দিল নামাজ পড়ে নিলাম। এদিকেও সাহেব ঘুম থেকে উঠে সে আবার বেরিয়ে পড়ল।
![]() |
---|
সন্ধ্যা হয়ে গেল মাগরিবের আযানটাও দিয়ে দিল। আজানটা শেষ হওয়ার পর অজু করে নামাজ পড়তে গেলাম এবং ছেলেও আমার সঙ্গে নামাজ পড়ল। নামাজ পড়া শেষ করে ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম কিছু খাবে কিনা সে বলছে ললিপপ খাবে তারপর একটা ললিপপ দিলাম। আর আমি একটা কদবেল খেলাম বাসার নিচ থেকে নিয়েছিলাম।
এরকম করতে করতে আজকে সন্ধ্যাটা পার হয়ে গেল তারপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসাই। ছেলেকে পড়ানো আটটা বাজে শেষ করি। ওর পড়া শেষ করে তারপর আমি পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। পোস্ট লিখতেও খানিকটা সময় লেগে গেল। লেখার সবকিছু কমপ্লিট করে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দি।এইতো এরকম করে আজকের দিনের মুহূর্তগুলো পার করি।।।
thank you @aviral123