Better Life With Steem || The Diary game || 23/6/2025
হ্যালো গায়েজ,,
![]() |
---|
আসসালামু আলাইকুম সবার সুস্থ এবং ভালো আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই আছি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে খুব সুন্দর একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
চোখের ঘুম ভাঙ্গে সকাল পাঁচটার সময়, চোখে প্রচন্ড ঘুম ভাবছি আর ৫ মিনিট ঘুমাই তারপর উঠে ফজরের নামাজ পড়বো। ৫ মিনিটের কথা বলে ২ ঘন্টা ঘুমালাম। যখন ঘুম থেকে উঠে পড়ি তখন দেখি সাতটার বেশি বেজে গেল। এরপর মুখ হাত ধুয়ে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠাতে থাকি মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য, তার চোখের ঘুম ভাঙ্গে না এরপর আটটার সময় ওঠে।
তারপর আর মাদ্রাসায় যায়নি, সময় ছিল না। তারপর আর বসে না থেকে রান্নাঘরে চলে যাই নাস্তা বানালাম। সবার জন্য নাস্তা বানিয়ে রেখে আমি আর ওগুলো খাইনি। পাতিলে অল্প কিছু পান্তা ভাত ছিল কাঁচা পেঁয়াজ এবং পোড়া মরিচ দিয়ে ভাতগুলো খেয়ে নিলাম খেয়ে মনে, হয় একটা তৃপ্তি পেয়েছি। পানি মাখা ভাতগুলো খাওয়ার পর শরীরটা খুব ঠান্ডা লাগছে।
যাইহোক, এরপর ছেলেকে ঘুম থেকে উঠালাম মুখ হাত ধুয়ে দিলাম তারপর সকালে নাস্তা খাইয়ে দি। ছেলেকে খাইয়ে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ বসে থাকি এরপর যখন দেখি সকাল 11:30 টা বেজেছে তখন উঠে যায়।
সাহেব ততক্ষণে ঘুম থেকে ওঠেনি। বারোটার দিকে ঘুম থেকে উঠলো তারপর শুনি আজকে দোকানে যাবে না শরীরটা তেমন ভালো লাগছে না । তারপর সকালে নাস্তা খেয়ে শুয়ে রইলো।
এদিকে আমার রান্নাবান্না প্রায় শেষের দিকে কারণ আজকে তেমন একটা রান্না ঝামেলা ছিল না। রান্নাটা শেষ করে তারপর রুম গুলো ঝাড়ু দিলাম।এরপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে ঢুকবো ছেলে বলে আমি এখন গোসল করব না তারপর আমি গোসলটা করে নিলাম।।।
আমি গোসল করলাম জোহরে নামাজ পড়লাম তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে দি। ছেলে আজকে গোসল করতে চাইনি তার কারণ হলো পাঁচ তলার বাসা থেকে একটা ছেলে এসেছে আমার ছেলের সাথে খেলতে। দুই জনের খেলা এতটা ব্যস্ত ছিল যে নাওয়া খাওয়ার কথা কিছুই তাদের মাথায় নেই।
তারপর গোসল করে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম এবং আমরাও সবাই খেয়ে নিলাম। আজকে দুপুরে খাবার খেয়ে মেয়ে এবং ছেলে ওরা দুইজন একজনের দুষ্টুমি করতে পারেনি কারণ আজকে ওদের বাবা বাসায় ছিল । সাহেব ওদের দুই ভাই বোনকে নিয়ে শুয়ে পড়ল আমারও এটা ভালো লাগছিল না তাই আমিও ঘুমালাম।
![]() |
---|
এই দুই দিন ধরে আবার খুব গরম পড়ছে। গরমের ভিতরে কারেন্ট বারবার আসা যাওয়া করছে। আজকে বিকালে ঘুমালাম তিন থেকে চার বার কারেন্ট আসা যাওয়া করলো আমার আর ঘুম হয়নি। সজাগ থেকে তাদেরকে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করি আর তারা ঘুমোচ্ছে।
এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেল মাগরিবের নামাজ পরি। নামাজ পড়ে চানাচুর মুড়ি আর পপন তাদেরকে সন্ধ্যায় খেতে দি,,আমি ওদের সাথে খেলাম। খাওয়া শেষ করে তারপর পোস্ট লিখতে বসে পরি। ভাবছিলাম ছেলেকে সন্ধ্যায় পড়তে বসাবো কারেন্ট যাওয়ার কারণে আর পড়াতে পারিনি। এরকম করে আজকের সন্ধ্যাটা এবং সারাদিন গুলো পার করি।।।