মা এর সাথে ঘোরাঘুরি - ১ ম পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি মায়ের সাথে ঘুরতে বেরোনোর কিছু মুহুর্ত।
সচরাচর আমার মা বাড়ি থেকে কিছুতেই বার হতে চায় না ।ঘুরতে বেরোতে মার অতটা পছন্দ নয়। আমার ঠিক উল্টো প্রকৃতির মানুষ আমার মা, অন্তত এই দিক দিয়ে।
তাই বলে এমন নয় যে আমি আর আমার বাবা মাকে একেবারে ছেড়ে দিই ।আমরা যখনই বার হই ,মাকে হাত-পা ধরে জেদ করতে থাকি ,যেন মাও আমাদের সাথে বার হয়। কিন্তু মা কিছুতেই রাজি হতে চায় না। মায়ের কাছে বেরোনোর আগে রেডি হওয়া ,শাড়ি পরা, সাজুগুজু করা, ফ্রেশ হওয়া, এসব করতে প্রচন্ড বিরক্ত লাগে। যেটা আবার আমার কাছে বেশ আনন্দদায়ক ।আমার তো ঘুরতে যাওয়ার নাম শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়।
বেশ কিছুদিন আগে জুলাই মাসের ১৯ তারিখে মায়ের সাথে একটু বার হয়েছিলাম ।সেদিনকে ছিল শনিবার। আমি আর মা বার হচ্ছে শুনে আমার বাবা আর কিচ্ছু বলল না ,কারন মা বার হচ্ছে শুনলে মাকে কখনোই বাবা বাধা দেয় না। যেহেতু মা বেরোতে চায় না এ কারণে ।
সেদিন তো আমার বাবা নিজের কাজ বন্ধ করে দিয়ে দুপুর থেকে বাড়িতে ঈশানের সাথে ছিল। আপনারা বুঝতেই পারছেন এর পিছনে কারণ, একটাই কারণ আমার মা বার হতে চায় না, আর যখন বার হয়েছে, সেটাতে আমাদের সকলেরই আনন্দ।
মায়ের সাথে বেরিয়ে অনেকগুলোই কাজ করেছি সেদিনকে। প্রথমেই চলে গিয়েছিলাম সোনার দোকানে, ঈশানের জন্য একটা সোনার চেন কেনার ছিল। তাই চলে গিয়েছিলাম আমরা যেখান থেকে বেশিরভাগ সময় সোনার জিনিস কিনি ।সেই দোকানে। সেটা হল আধুনিক জুয়েলার্স।
এই দোকানটির মেইন ব্রাঞ্চ বগুলাতে রয়েছে। এখানে আমাদের অনেকগুলো সোনার জিনিস কেনা হয়েছে। তাই দোকানটার সাথে বেশ জানাশোনা হয়ে গেছে।। শোরুমের দোতলা আর একতলা জুড়ে এত সুন্দর সুন্দর কালেকশন যে চোখ আপনাদের ধাঁধিয়ে যাবে।। সাথে এদের সোনা র মজুরিতে সেদিনকে অফারও চলছিল। এ কারণেই সেদিনকে যাওয়া হয়েছিল।
আসলে ঈশানের অন্নপ্রাশনে আমার দিদা ঈশানকে একটা সুন্দর চেন গিফট করেছিল ,কিন্তু সেটা এসটা ভেঙে গেছে এবং ওই হারের ডিজাইনটা মায়ের পছন্দ না। তাই মা চেয়েছিল ওটার বদলে অন্য আরেকটা কিছু কিনবে ।তাতে আর একটু যদি বেশি টাকা দিতে হয়, সমস্যা নেই।
দোকানে গিয়ে আমরা সোজা চলে গেলাম সোনার চেনের সেকশনে। তারপর ঈশানের জন্য অনেক ধরনের চেইন দেখতে থাকলাম ।অনেকক্ষণ দেখার পরে মার আর আমার তিনটে চেইন নিয়ে প্রচণ্ড পরিমাণে কনফিউশন হচ্ছিল ।অনেক ভেবেচিন্তে তারপরে গিয়ে একটা সিদ্ধান্তে দাঁড়ালাম এবং সেই চেন কিনে নিলাম।
সেদিনকে সোনার মূল্য ছিল প্রতি গ্রামে ৯৩০০ করে। ঈশানের চেইনটা সাড়ে সাত গ্রামের । এখন যেহেতু ও ছোট আছে ,তাই বেশি বড় ধরনের আমরা নিইনি, ও যাতে এখন ব্যবহার করতে পারে, সেরকমই কেনা হলো। জি এস টি ,প্লাস মজুরি ধরে ওই দাম ৮০,০০০ টাকা ছুঁয়ে গেল । প্রায় ৬৬৬৬ steem.যদিও পুরনো চেনটাকে এক্সচেঞ্জ করা হয়েছে। তাই পুরোপুরি ক্যাশ দিতে হয়নি।
দিদার দেওয়া ওই চেইনটা ওরকম হয়ে যাওয়ার পর থেকে ও পড়তে পারতো না। এবং মাও খুব দুঃখ করতো। যেহেতু দিদা দিয়েছে তাই। সঙ্গে যে এক্সচেঞ্জ করে এত সুন্দর একটা চেইন নিয়ে নেয়া হলো, তাতে আমি আর মা দুজনেই খুশি।
এরপরেও মায়ের সাথে আরো অনেক জায়গায় ঘুরেছি ।আর কেনাকাটা করেছি। সেটা নিয়ে আপনাদের সাথে পরের পোস্টটা শেয়ার করব।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟