ফার্নিচারের শোরুমে
নমস্কার বন্ধুরা । আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন ।আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আমাদের কৃষ্ণনগরের একটি ফার্নিচার শোরুমের কিছু ছবি এবং ওখানে যাওয়ার গল্প।
সাধারণত আমাদের শহরের বৌবাজার নামক জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার কিনতে পাওয়া যেত। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন তাই শুনতাম। মায়ের সাথে ওই দোকানগুলোতে ছোটবেলায় অনেক গিয়েছি ।
ছোটবেলায় কিনে আনা স্টিলের আলমারিটাও মায়ের সাথে গিয়ে কেনা। এটা আমি অনেক ছোটবেলাকার কথা বলছি ।
তারপর কৃষ্ণনগরে এখন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ফার্নিচারের শোরুম হয়েছে।। তবে বিনা কারণে ফার্নিচারের শোরুমে যাওয়ার কোন মানে হয় না। তাই এই কয় বছরে ফার্নিচারের শোরুমে যাওয়া পড়েনি।
এর ওপর আমার বাবা মা সকলেই একটু পুরনো জিনিস বেশি পছন্দ করে ।বলতে গেলে কাঠের জিনিস বেশি ভালো লাগে। তাই বেশিরভাগ সময় আমাদের বাড়ির সবকিছুই কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে। নিচের ঘর গুলোর সমস্ত কিছুই কাঠের ।
ড্রেসিং টেবিল থেকে শুরু করে , আলনা ,বেড সবকিছুই। আগেকার দিনে যেমন হত আর কি।
এখন তো মানুষ বেশিরভাগ ফ্ল্যাট এ থাকে ।কাজের সূত্রে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ট্রান্সফার নিতে হয়।। এ কারণে সকলেই এখন প্লাই অথবা mdf বোর্ডের ফার্নিচার ব্যবহার করে।
কিন্তু বাবা মা - এদের সময়ে সেগুন কাঠের বিছানা, আকাশমনি বা মেহগনি কাঠের ড্রেসিং টেবিল ,আলনা এগুলোই বেশি চলত। তাই আমাদের বাড়িতে আমাদের একতলাতে যা আসবাবপত্র আছে, সব কিছুই কাঠের। কাঠের দরজা জানলা সবকিছুই। উপরেও আমার বাবা সেরকমই করেছে। উপরের ঘরের বিছানাটাও সেগুন কাঠের। এবার বাকিগুলো বাবা আস্তে আস্তে বানিয়ে নিতে চাইছিল ।কিন্তু আমি আমার ঘরের জন্য একটু রেডিমেড কোন কিছু খুঁজছিলাম।
কাঠের জিনিসের উপর আর কোন ফার্নিচার হয় না। কাঠের জিনিসের একটা আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। এটা কিন্তু খুব স্বাভাবিক কথা। যারা পুরনো যুগের মানুষ, তারা কাঠ ছাড়া কিছু বোঝেনা ।আমারও কিন্তু কাঠের জিনিস বেশ পছন্দের। তবে আমার ঘরে আমি খুব হালকা জিনিস রাখতে চাইছি। ফার্নিচার দিয়ে জিনিসপত্র ঢেকে দিলে ঘরটা কেমন যেন বদ্ধ বদ্ধ লাগে।
প্রথম থেকে তাই বাবাকে বলেছি ঘরের মধ্যে বেশি যেন জিনিসপত্র না থাকে। শুধুমাত্র একটা বিছানা আর বাকি যদি আমার ড্রেসিং টেবিল বা ওয়ারড্রব লাগে। সেটা আমি বানিয়ে নিতে চাই। অথবা রেডিমেড কিনে নেব। কাঠের অত বড় বড় জিনিসপত্র নেওয়ার দরকার নেই।। এ কারণেই আমার ঘরের জন্য কিছু ফার্নিচার দেখতে গিয়েছিলাম।
আমার ক্ষেত্রে সব সময় এটাই হয়েছে যে যখন তখন ডিসিশন নিয়ে বেরিয়ে পড়া। আর এই প্রত্যেকটা সময়ে আমার পাশে থাকে ,আমার পাশের বাড়ির মৌসুমী বৌদি। এ সম্পর্কে আপনারা আমার বিগত এতগুলো দিনের পোস্টে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সেদিনকেও তাই হয়েছিল। আমাদের যাওয়ার কথা ছিল আরো দুদিন আগে। কিন্তু ঝমঝম করে কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হওয়াতে, আমি আর বৌদি বেরোতে পারছিলাম না।
বৌদিরও কিছু কাজ ছিল আর আমারও। ওই দোকানটা একটু দেখার ছিল জানার ছিল ।যে ওই শোরুমে কি কি জিনিস রয়েছে ।ওই রাস্তা দিয়ে যখনই যেতাম ।রাস্তা থেকে দোকানের বাইরেটা দেখে মনে হতো যে ভালো জিনিসপত্রের কালেকশন রয়েছে। তাই সেদিনকে গিয়েছিলাম।
মোটামুটি বারোটা পর আমি আর বৌদি টোটো করে চলে গেলাম। এখান থেকে যেতে বেশ ১০-১৫ মিনিট সময় লাগলো।
এসব কথা বলতে বলতে দোকানের কিছু ফার্নিচারের কালেকশন আপনাদেরকে দেখিয়ে দিলাম ।পরবর্তী পোস্টে বাকি কথা শেয়ার করব।