গাছ মেলায় মা এর সাথে
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন।গতকাল আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করছিলাম আমার মায়ের সাথে ঘুরতে বেরোনোর কিছু মুহূর্ত। বেরিয়ে ঈশানের জন্য একটা সোনার চেন কেনা হয়েছে, সেটাও আপনাদের সাথে গতকাল শেয়ার করেছি, তারপর থেকে আজকের পোস্ট শুরু করছি।
যাই হোক সেদিনকে ঈশানের কাজ হয়ে যাওয়ার পর আমরা চলে গিয়েছিলাম গাছ মেলাতে। বেশ কিছুদিন ধরে শুনছি কৃষ্ণনগরের হাইস্কুলের মাঠে নাকি গাছ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।সেখানে গাছ কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। আমার মা আর আমি কতটা গাছ ভক্ত, তা আপনারা হয়তো সকলেই জানেন ।তাই যখনই জানতে পেরেছি ,সেদিনকে প্ল্যান করেই বেরিয়ে ছিলাম ,ঈশানের কাজটা মিটে গেলে আমরা সোজা চলে যাব গাছ দেখতে। যদি কোন কিছু পছন্দ হয়, অবশ্যই কিনে নেব।
সেইমতো সোনার দোকান থেকে টোটো নিয়ে আবার চলে গেলাম কৃষ্ণনগর হাই স্কুলের মাঠে ।কৃষ্ণনগর হাই স্কুলের অপজিটেই এই মাঠটি এবং দেখলাম বেশ সুন্দর করে ছোটখাটো ভাবে গাছের মেলা বসেছে।
মাঠের মধ্যে ঢুকতেই বাঁ হাতে পরে একটা বিরাট কদম গাছ ।কদম গাছে কদম ফুল গুলো যেভাবে ফুটে আছে, যেন মনে হচ্ছে গাছে লাইট জ্বলছে, আর ওই দিকে জারুল গাছটা ল্যাম্পপোস্টের আলোতে এত চকচক করছে ,যেন মনে হচ্ছে নিজের সৌন্দর্যের অহংকার করে বেড়াচ্ছে সকলের কাছে।
আমরা গাছ দেখতে থাকলাম মা আর মেয়ে মিলে। বেশিরভাগ আমরা ইনডোর প্ল্যান্ট দেখছিলাম ,কারণ বাকি সমস্ত গাছগুলো আমাদের বাড়িতে মোটামুটি আছে। খুব একটা যে ভালো কালেকশন আমি পেয়েছি সেখানে ,তা আমি বলতে পারব না ।স্টল গুলো যে বেশি বসেছিল তাও নয়। ছোটখাট একটা উদ্যোগ বলা যেতে পারে ।গাছ সম্পর্কে পরিবেশের সচেতনতা বৃদ্ধি করানোর জন্য এবং বাচ্চাদের মধ্যে গাছের অবদান সম্পর্কে একটা বিশেষ পরিচয় দেওয়ার জন্যই এই মেলার উদ্যোগ।
আমার ওখানে গিয়ে রবার গাছ খুব পছন্দ হয়েছিল, ভেবেছিলাম কিনে আনব এবং আমার ঘরে ইনডোরে রাখবো ,কিন্তু প্রচণ্ড পরিমাণে দাম বলছিল ।আমি এই গাছ নার্সারিতেও দেখেছি , স্বাভাবিকভাবে নার্সারিতে দাম কম ছিল, আমরা আরও বিভিন্ন রকমের গাছ দেখলাম ।
অ্যাডেনিয়াম গাছের এত সুন্দর সুন্দর কালার দেখলাম, সত্যি কথা বলতে এডেনিয়াম আমার কাছে রয়েছে একটা। তবে আমার ইচ্ছা আছে আরো কিছু অ্যাডেনিয়াম কিনে আনার।
ওখানে বিভিন্ন ধরনের পদ্ম গাছ ছিল , পদ্ম গাছের টিউবার বিক্রি হচ্ছিল। বিভিন্ন ধরনের রঙের পদ্মের টিউবার একটা গামলাতে তে রাখা ছিল।
এরিকা গাছ ছিল। মা আমাকে বলল এখান থেকে কোন কিছু কিনতে যাস না, তোর যেটা পছন্দ হয়েছে নার্সারিতে গিয়ে কিনে নিস ,আমরা ওখানে বেশিক্ষণ থাকিনি। মোটামুটি ১০-১৫ মিনিট হবে।
দেখলাম বাচ্চাদের অনুষ্ঠান হচ্ছে। গাছ সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি নাটক পরিবেশন করছে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা ।কিছুক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে থেকে তারপর মায়ের সাথে আবার রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
গাছগুলোর দাম বেশি হলেও কিছুক্ষণ গাছ নিয়ে থাকতে পেরে এবং মায়ের সাথে বিশেষ করে সময়টা কাটাতে পেরে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল। আমার মা তো আমার মায়ের এক বান্ধবীকে ফোন করে করে গাছের দাম জিজ্ঞেস করছিল ,কারণ সত্যি বলতে ওখানে দামটা অত্যাধিক ছিল।। যে গাছ ৫০-৭৫ টাকার মধ্যে কমপ্লিট হয়ে যায়, সেই গাছের দাম ১৫০ টাকার কাছাকাছি বলছিল। আশা করছি আমার আজকের এই পোস্টটা সকলের ভালো লেগেছে।
আমি মনে করি আমাদের শহরে প্রত্যেক বছরে অন্তত একবার এরকম গাছ মেলা হওয়া দরকার ।তবে,আমার মনে হয় সাজানোর দিক থেকে এই মেলায় একটু অভাব পড়েছে।
যেমন ইনডোর প্লান্ট একেবারে আলাদা স্টল হওয়া উচিত ছিল। আবার অন্যান্য গাছের আলাদা স্টল হওয়া উচিত ।গাছ ভিত্তিক স্টল গুলো আলাদা হলে বেশ দেখতেও সুন্দর লাগবে ।যেমন অ্যাডেনিয়াম গাছের শুধুমাত্র স্টল একটাই থাকবে ,যেখানে অনেক রকম অ্যাডেনিয়াম থাকবে। অথবা বিভিন্ন ধরনের গাছের স্টল একদম আলাদা থাকবে। আমি এমনটা বলছি। স্টলের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
আশা করছি ধীরে ধীরে এটা বড় উদ্যোগ নিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষ অবশ্যই পরের বছর কিংবা ভবিষ্যতে ব্যবস্থা করবে। এটা একান্তই আমার মতামত। আপনারা কি বলেন। আপনাদের মতামত কমেন্টে দেখতে চাই। আজকে এখানেই শেষ করলাম ।সকলে ভালো থাকুন।
💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/9) Get profit votes with @tipU :)
কথায় বলে গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষেরা গাছ লাগানো তো দূরের কথা গাছ কাটার চিন্তা অনেক আগে করে থাকে যেটা করা মোটেও ঠিক না আপনাদের ওখানে স্কুলে এমন সুন্দর একটা ইভেন্ট তৈরি করেছে যেটা দেখে আসলে বেশ ভালো লাগলো।
যারা গাছ লাগাতে পছন্দ করে তারা গাছ যেখানে বিক্রি হয় সেখানে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতেও পছন্দ করে আপনার রবার গাছ পছন্দ হয়েছিল কিন্তু দাম অনেক বেশি হওয়ার কারণে কিনতে পারেননি যেটা খুবই দুঃখের একটা বিষয় যাইহোক পরবর্তী সময়ে অবশ্যই আপনি আপনার পছন্দের কাজ কিনতে পারবেন ধন্যবাদ মায়ের সাথে মেলায় ঘুরতে যাওয়ার আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।