বৌদির সাথে ফার্নিচার দেখতে গিয়ে

in Incredible India8 hours ago

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করেছিলাম বৌদির সাথে আমার ফার্নিচার শোরুমে যাওয়ার কথা ।ফার্নিচার নিয়ে আমার নিজস্ব বক্তব্য আমি সেখানে লিখেছি। আজকে তার পরের থেকে শেয়ার করছি।

20250806_231746.jpg

ফার্নিচারের শোরুমে নেমে। ঢুকতেই দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর সুন্দর কয়েকটা বেড। কিন্তু আমার বেড নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই ।যেহেতু আমার ঘরে অলরেডি একটা বেড রয়েছে। আর এই বেডগুলো শুনলাম রবার উডের। তাও দেখতে ভালো ছিল। যাইহোক আস্তে আস্তে ভেতরের দিকে গেলাম ।তারপর ড্রেসিং টেবিল গুলো দেখতে থাকলাম। বেশিরভাগটাই বলা চলে mdf বোর্ডে তৈরি। জিনিসগুলো পছন্দ হলেও রঙটা দেখে আমার মন মানছিল না।

20250806_231848.jpg

আমি আমার ঘরের টাইলসের কালার এবং ঘরের রংটা এতটাই হালকা রেখেছি, যে ঘরে ঢুকলে একটা আলাদা শান্তি লাগে। প্রত্যেকটা রং আমি নিজের মতন করে ভেবেচিন্তে চুস করেছি ।এমনকি বিছানার চাদর থেকে জানালার পর্দা পর্যন্ত এখনো আমি বুঝে শুনে ইউজ করি। আমার কাছে মনে হয় রঙ একটা বড় ম্যাটার করে।

আপনি নিজেও খেয়াল করে দেখবেন, কোন কোন জায়গায় অন্ধকার লাগে আবার কোন কোন জায়গায় আলো লাগে। শুধুমাত্র এই রংয়ের কারণের। আবার যদি খেয়াল করেন বুঝতে পারবেন ,কোন একটা রং পড়লে আপনাকে একটু বেশি ব্রাইট লাগে। আবার কোন রং এ আপনাকে একটু বেশি ফেড লাগে ,তো আমার মনে হয় রং একটা বড়সড় ব্যাপার।

যাই হোক এ কারণে কাল এমডিএফ বোর্ডের এরকম জিনিসপত্র আমার নিজের ঘরের জন্য অন্তত পছন্দ হচ্ছিল না। আমি একটু হালকা কালারের সাদা ধরনের কিছু চাইছিলাম।

20250729_121105.jpg

ওদের শোরুমটা বাইরে থেকে ওইটুকুনি দেখতে হলেও ,তিনটে টোটাল গোডাউন আছে। বলতে গেলে তিনটে ফ্লোর। আমি ভাবতেই পারিনি ওদের নিচের দিকেও একটা গোডাউন রয়েছে এবং দোতলার দিকেও রয়েছে। ওরা ঘুরে ঘুরে আমাদের সবকিছুই দেখালো। আমরা সোফা থেকে শুরু করে ডাইনিং টেবিলেও দেখলাম।

20250806_231947.jpg

যেহেতু মা-বাবার সাথে যাইনি, তাই একা একা কোনরকম ভাবেই ডিসিশন নেয়া যাবে না। তার ওপর আমার কিছুতেই রঙ পছন্দ হচ্ছে না। এ কারণে ওনাদের একটি ভিজিটিং কার্ড নিয়ে আমরা বেরিয়ে আসলাম সমস্ত কিছু শুনে। ওনাদের ওখানে ছবি তোলা এলাও ছিল বলে, ছবিটা তুলতে পেরেছি।

20250729_125433.jpg

আসলে সব দোকানে ছবি তুলতে এলাও করে না। যদিও আমি ওনাদের জিজ্ঞেস করেই ছবি তুলেছি। বাড়িতে দেখাবো বলেই ছবিগুলো তুলে এনেছিলাম। সেক্ষেত্রে আপনাদেরও দেখানো হয়ে গেল। ওখান থেকে বেরিয়ে আমরা চলে গিয়েছিলাম বৌদির আরেকটা কাজে । এলআইসি অফিসে বৌদির কাজ ছিল। আমি তাই বৌদির সাথে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে মোটামুটি তিন তলা চারতলা ওঠানামা করতে করতেই আমরা দুজন হাপিয়ে গিয়েছিলাম।

20250729_123329.jpg

ওখানে কাজ সারতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট গেল। তারপর বাড়ি ফেরার পালা। তাই বাইরে বেরিয়ে যখন মিও আমরের আউটলেট দেখলাম, সেখান থেকে একটা পেস্ট্রি খেয়ে নিলাম। দুজন মিলে হাফ হাফ করে খেয়েছি, কারণ দুজনেরই পেট ভার হয়েছিল। তারপর তো ওখান থেকে ডাইরেক্ট টোটো করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

আজকে এখানেই শেষ করছি। অন্যদিন নতুন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হব।

Sort:  
Loading...
Loading...