মা-বাবার বিবাহ বার্ষিকীর খাওয়া-দাওয়া
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি ।মা-বাবার বিবাহ বার্ষিকী সেলিব্রেশানের শেষ পর্ব টুকু। বন্ধুরা মিলে কেমন ভাবে সারপ্রাইজ দিয়েছিল, আর তারপরই সেলিব্রেশানের মুহূর্তগুলো বেশ ভালোভাবে পোস্টে শেয়ার করেছিলাম। তারপরে খাওয়া দাওয়াটুকু বাকি ছিল। সেটাই আজকে শেয়ার করে নিচ্ছি।
মে মাসের ৩ তারিখে যেদিনকে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। সেদিনকে শুধুমাত্র বাবার বন্ধুদেরই বলা হয়। সাথে ছিল আমার পাশের বাড়ির মৌসুমী বৌদি এবং ওর বর। যেহেতু ওরা এভাবে সেলিব্রেশনটা জমজমাট করে তুলেছে ,স্বাভাবিকভাবেই ওদের একটা ট্রিট দিতেই হত।
আর ওরা নিজে থেকেই বলেছিল ওই দিনকে ওরা খাওয়া-দাওয়া করবে। এমনকি বাজারঘাট করাতেও ওরা হেল্প করে দিয়েছে। আমি পোস্টে সেদিনকে যিনি রান্না করেছেন ,সেই ঠাকুমার কথা উল্লেখ করেছি। ঠাকুমা যে এত ভালো রান্না করতে পারে, সেদিনকে আমি না খেলে বুঝতে পারতাম না।
ঠাকুমা যেমন পরিশ্রমী, তেমন তার স্পিড এবং এর সাথেই হাতের রান্না দুর্দান্ত।। সন্ধ্যাবেলায় জেঠুর সাথে কেক কিনে আনার পরে ঠাকুমার হাতের পনির পাকোড়া খেয়ে ফেললাম। পনির পাকোড়া আমার জন্য একটা ছোট্ট বাটিতে ওয়েট করে বসেই ছিল। বাড়িতে ঢোকার সাথে সাথে মা হাতে ধরিয়ে দিল। আমি আর জেঠু মিলে পনির পকোড়া খাবার পরে। তারপরে সেলিব্রেশন শুরু হয়েছিল।
সেলেব্রেশন কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর আমরা সবাই কে খেতে বসিয়ে দিলাম। যেহেতু ২০ থেকে ২৫ জন মতো ছিল। তাই আলাদা করে খাওয়ার জায়গা করা হয়নি ।আমাদের বারান্দা জুড়ে এবং বড় ঘর জুড়েই খাওয়া-দাওয়ার বসার আয়োজন করা হয়েছিল।। আর আমরাই একে অপরকে হেল্প করেছি। যারা যারা কাছে পিঠে বাড়ি, তারা অনেক রাত অব্দি সেদিনকে ছিল।
যাদের যাদের খাওয়া হয়ে যাচ্ছিল ,তারা আবার পরবর্তী ব্যাচকে সার্ভ করে দিচ্ছিল। প্রথমেই বাচ্চাদেরকে বসিয়ে দিয়েছিলাম ।কারণ অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল। আর বাচ্চাদেরও খিদে পেয়ে গিয়েছিল। আর ঠাকুমা যিনি রান্না করেছেন, তিনি তো তার অনেকক্ষণ আগেই বেরিয়ে গেছেন। যাওয়ার সময় তাকেও খাবার প্যাক করে দিয়ে দেয়া হয়। সাথে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হয়।
বাবা ঠাকুমাকে দেখে এত ইমপ্রেস হয়ে গিয়েছিল যে ,পারিশ্রমিকটা একটু বেশি করে দিয়েছিল। আর যাতায়াত করার জন্য হাত খরচার টাকাও ধরিয়ে দিয়েছিল। এতে ঠাকুমা কিন্তু অনেক খুশি হয়েছে।আর সেটা একদম তার প্রাপ্য ছিল।
যাইহোক সেদিনকে মেনুতে ছিল প্রথমেই পনির পকোড়া সেকথা তো আগেই বলেছি, তারপরে কেক তো সকলেই খেয়েছে ।খেতে বসেই ছিল সাদা ভাত, ভেজ ডাল ,ঝুড়ি আলু ভাজা, চিকেন পকোড়া ,কাতলা মাছের কালিয়া ,মটন কষা, চাটনি, পাপড় ।
আমাদের কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মিষ্টি সরপুরিয়া এবং রসগোল্লা এবং খাওয়া-দাওয়ার পরে ছিল পান। সাথে ছিল মাসালা কোক।
ভর পেট খাওয়া দাওয়া করেছে সকলেই। রান্নাও হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আমি শুধুমাত্র ডাল দিয়ে আর শেষ পাতে একটু মাংস দিয়ে খেয়েছি । রাতের বেলা মাছ খেতে ভালো লাগে না বেশি। এই সাথে আপনারা যারা আমার পোস্ট মাঝে মধ্যেই পড়ে থাকেন, তারা জানবেন আমি মাছ মাংস একটু কম খেতেই ভালোবাসি। আমার ডাল ভাত হলেই হয়ে যায়, আর সাথে যদি চাটনি থাকে। আর মিষ্টি তো আমার সর্ব প্রিয়।
সবাই মিলে চলে যাবার আগে মা আর বাবাকে এবং আমাদেরকে সকলে হেল্প করে গেছে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে। বাবার বন্ধুদের এদিক থেকে সাধুবাদ দিতে হয়। একে অপরের সমস্যাগুলো এরা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে।
সেলিব্রেশানের পুরো ডিটেলস আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার বেশ ভালো লাগছে। সকলে ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন। আজ এখানেই শেষ করলাম।
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
সত্যি এ বছরে তোমার মা-বাবার অ্যানিভার্সিটি খুব সুন্দর করে পালন করা হয়েছে। অ্যানিভারসারি সমস্ত খাবার দাবার খুব ভালো হয়েছিল। সকলে মিলে ভীষণ আনন্দ করে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। তবে খেতে খেতে কখন আমাদের ছবি তুলেছো, সেটা বুঝে উঠতেই পারিনি। যাইহোক সকলের ছবিগুলো দেখে আবারও সেই দিনের কথা আরো একবার মনে পড়ে গেল। সুন্দর মুহূর্তগুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যাই।