রাখি পূর্ণিমা - ২ য় পর্ব

in Incredible Indiayesterday

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি, রাখি পূর্ণিমার পরবর্তী অংশ।

রাখি পূর্ণিমা দুদিন পড়েছিল। অর্থাৎ পূর্ণিমা লেগেছিল শুক্রবার দুপুর বেলা থেকে। আর পূর্ণিমা শেষ হয়েছে শনিবার দুপুর বেলা। তবে বেশিরভাগ সকলেই শনিবার রাখি পূর্ণিমা পালন করেছে সেদিনকে নাকি সময়টা ভালো ছিল শনিবার সূর্য ওঠার আগে অবধি ভদ্রকাল থাকায় শুক্রবারে রাখি পূর্ণিমার উৎসব কেউ পালন করেনি বললেই চলে। কিন্তু এই বিষয়টি আমি জানতাম না।

1000287915.jpg

যেহেতু ঈশানের পরীক্ষা চলছে। তাই প্রথমে আমি ভেবেছিলাম ওকে শনিবার পড়াবো না। শুক্রবারে পূর্ণিমার লাগার পরেই সন্ধ্যেবেলার দিকে পড়াবো।
আসলে শনিবারও ওর পরীক্ষা ছিল। পরে শুনলাম শনিবারটাই ভালো হবে,এ কারণে শনিবারে রাখির উৎসব পালন করব, ঠিক হলো। তবে যেহেতু ও স্কুলে যাবে, তাই তার আগেই সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করতে হবে।।

1000287914.jpg

ঈশানের এখন পরীক্ষা চলছে বলে ওকে এগারোটা পনেরোর আগে স্কুলে ঢুকে যেতে হয়। সাড়ে এগারোটা থেকে ওর পরীক্ষা থাকে। স্কুলটা যেহেতু বাড়ির ৫-১০ মিনিটের মধ্যে , তাই এগারোটার সময় বার হলেই হয়।

সেদিনকে সকালবেলায় তাড়াতাড়ি স্নান করে উঠে পূজোর করার কথা তো আপনাদের বলেছি। পুজো করার পর আমার গোপু আর গোনুকে রাখি পড়ানোর কথাও বলেছি।

আমি যখন পূজোর ঘরে এসব করছিলাম আমার মা তখন লুচি আর আলুর চচ্চড়ির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।। মিষ্টি আমি আগের দিন কিনে রেখে দিয়েছিলাম। আর ঈশানের জন্য গিফট আমি অনলাইনে অর্ডার করেছিলাম। আমি জানতাম রাখির দিন এসে পৌঁছাবে না, তবে ওর পছন্দনেইসই জিনিস, তাই একটু দেরি হলেও সমস্যা নেই।

20250809_103118.jpg

একটু পরে দেখলাম আমার পিসতুতো দাদা চলে এসেছে। ওকেও আমি আগের দিন সকালবেলায় ফোন করে নিমন্ত্রণ করেছিলাম আমার বাড়িতে আসার জন্য। আমার পূজো হয়ে যাবার পরে সমস্ত কিছু গুছিয়ে আমাদের দোতলার বারান্দায় ওদের বসতে দিলাম। তারপর আমি রাখি পড়ানো শুরু করলাম। পুজোর থালায় গুছিয়ে রাখা সিঁদুর এবং হলুদের ফোটা দিয়ে তারপর আতপ চাল দিলাম ছিটিয়ে। এরপর প্রদীপের তাপ ওর মাথায় এবং বুকের কাছে ছুঁয়ে নিলাম। তারপর ওর জন্য প্রার্থনা করে ওর হাতে রাখি পরিয়ে দিলাম।। তারপর মিষ্টি খাইয়ে দিলাম।

প্রত্যেকবার আমি ফুলের রাখি কিনি। আর এর সাথে একটা নরমাল এরকম রাখি থাকে। এবার আর ফুলের রাখি কিনে ওঠার সময় হয়নি। সকাল থেকে এত ব্যস্ততার মাঝে কেনার টাইম পাইনি। আগের দিন কিনে রাখা এই স্টোন এর কাজ করা রাখিটাই পড়িয়েছি।

20250809_103450.jpg

তারপর ঈশান আমার হাতে ধরিয়ে দিল দুটো চকলেট। আমার বেশ পছন্দের একটা ডেয়ারি মিল্ক আর একটা ফাইভস্টার। আমি ভাবতে পারিনি ও আমার জন্য এই দুটো চকলেট কিনবে। আমি তো ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছি ও যখন আমার হাতে এটা ধরিয়ে দিল। রাখি পরানোর আগে ও যখন বসতে যাচ্ছিল তখন ওর স্কুলের জামার প্যান্টের পকেটে আমি চকলেটের প্যাকেটের আওয়াজ পাচ্ছিলাম। তখনই আমি ওকে বলেছি আমাকে কিন্তু আধখানা চকলেট দিবি না। আসলে ফ্রিজে আধখানা ডেয়ারি মিল্ক পড়েছিল।

ও যখন আমাকে গোটা দুটো চকলেট হাতে ধরিয়ে দিল আমি এত খুশি হয়েছি। যতই হোক আদরের ভাই বলে কথা ,ও যে আমার জন্য ভেবে কোন এক সময় আমার জন্য চকলেট কিনেছে ,সেটা ভেবেই আমার আনন্দে মন ভরে যাচ্ছিল।

এবার এখানে একটা টুইস্ট আছে। সেটা পরের দিন শেয়ার করব। আজকে এখানেই শেষ করছি।

Sort:  
Loading...
Loading...