"রোগ শনাক্ত হওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকা"

in Incredible Indialast month
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বেশ অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে আমার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি এতদিন পোস্ট না লেখার কারণ খুবই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে পোস্ট লিখতে পারি নাই ।সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

একটু সুস্থ হতেই আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। আজকের পোষ্টের বিষয় রোগ শনাক্ত হওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকা।

পায়ের ব্যথার নিয়ে অনেক ডাক্তারের কাছে আসা-যাওয়া কয়েক মাস ধরে লেগেই ছিল কিন্তু ভালো হচ্ছে না। যদি ডাক্তারের ব্যাথার ট্যাবলেট খাওয়া হয় তাহলেই মোটামুটি কিছুটা হাঁটতে পারি আর যদি ব্যথা ট্যাবলেট না খেয়ে থাকি তাহলে বিছানা থেকে উঠতে পারি না।

IMG20250706092159.jpg

এভাবেই তিন থেকে চার মাস যাচ্ছে বাড়িতে ও আশেপাশের পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন সবাই ব্যথা ট্যাবলেট খাওয়ার বিপক্ষে। অতিরিক্ত ব্যথা ট্যাবলেট খেলে শরীরের অনেকটা সমস্যা ক্ষতি হবে তা নিয়ে সবাই চিন্তিত।

এই অসুস্থতার কারণে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না, কিছুদিন ধরে মনের মধ্যে একটা চিন্তা আসে ডাক্তার দেখানোর আগে ব্যথার ট্যাবলেট খেয়ে মোটামুটি সুস্থ হয়ে ডাক্তার দেখানো হয়। আমার মনে হয় ডাক্তার এতটা গুরুত্ব ভাবে দেখে না।

আর মূলকথা এত ডাক্তার দেখিয়েছি ,ডাক্তারের নির্দিষ্ট অনুসারে রোগ সনাক্ত করতে পারে না ।এক ডাক্তার থেকে অন্য ডাক্তারের কাছেই ট্রান্সফার করে চলছেই আমার চিকিৎসা। কিন্তু সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছি না।

যতদিন যাচ্ছে ততই ব্যথার পরিমাণ বাড়তে চলেছে, বাড়ি থেকে সিদ্ধান্ত নেই হসপিটালে ভর্তি করে রোগ সনাক্ত করার। ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে যদি না রোগ সনাক্ত না হয়। তাহলে ঢাকা আর যদি ঢাকা ভালো করতে না পারে এরপরে ইন্ডিয়া নেওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়ে হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হয় কিছু পরীক্ষা দেয় সেগুলো করানোর পর দেখানোর পর কোন রোগ ধরতে পারে নাই ।বাড়িতে ব্যাথার ট্যাবলেট খেয়ে ব্যথা কমিয়ে রাখা হতো কিন্তু হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শেই এখন চলতে হবে তাই এখন একদিন ধরে ব্যাথার ট্যাবলেট খাওয়া হয় না তাই ব্যথার পরিমাণটা বেড়েই চলেছে।

IMG20250704184858.jpg

এই ব্যথা থাকায় অবস্থায় আরো কিছু পরীক্ষা দেয় সেগুলো করানো হয় এর পাশাপাশি ব্যথা ট্যাবলেট দেয় হাসপাতাল থেকেই কম পাওয়ার থাকার কারণে ব্যথাটা বাড়তেই থাকে।

কয়েকটি ডাক্তার এসে আমাকে ভালোভাবে চেকআপ করে ভালো করেই পরীক্ষাগুলো দেখে, ডাক্তার পরামর্শেই আমি যে ব্যাথা টেবলেট খেয়ে ব্যথা কমানো হয় ব্যথার ট্যাবলেট খাওয়ার অনুমতি দেয় এরপর ব্যথার একটু কন্ট্রোলে আসে।

IMG20250706092333.jpg

প্রথম কয়েকদিন রোগ শনাক্ত করতে অনেকটাই দেরি হয় আব্বু পরিবারের সবাই হাসপাতালে কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়ায়।তিন থেকে চারদিন পর রোগের নাম আব্বুর কাছে বলে, রোগের নাম হলো বাত ব্যথা।

ওই হাসপাতাল থেকেই আমাদের ময়মনসিংহের সবচেয়ে বড় বাত ব্যথার ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ দেয় এরপরই কিছুটা সুস্থ থাকি এর পরের দিন হসপিটাল থেকে রিলিজ করে দেয়।

বাড়িতে এসে দুইদিন রেস্টে থাকি আর হাসপাতাল থেকেই কম হাঁটার জন্য বলে দেয়। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি।

আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন ।

আল্লাহ হাফেজ

Sort:  
Loading...