পরীক্ষার ছুটিতে মাতৃভূমির উদ্দেশ্যে গমন।
প্রিয় পাঠক
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি আমি আমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে মাতৃভূমির উদ্দেশ্যে গমন করতেছি।
আমার গতকালকে পরীক্ষা শেষ হয়েছে দুপুরের সময়। গতকালকে আমি চলে আসতাম কিন্তু শীতের দিন আসতে আসতে ঠান্ডা পড়ে যাবে অর্থাৎ সন্ধ্যা হয়ে যাবে এ কারণে আর ওই দিনই তাড়াহুড়া করে আর আসা হয়নি। একটু সময় নিয়ে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করে আজকে সকালবেলায় রওনা দিলাম। সবকিছু বুঝলাম না এবং বন্ধুদের সাথে মুলাকাত করে বিদায় নিয়ে আসলাম মাতৃভূমির উদ্দেশ্যে।
যাইহোক এখন আমি হোস্টেল টাইপ করে আমি কলেজের কিছু বকেয়া ছিল যেমন হোস্টেল বাকি রয়েছে এবং সেমিস্টার ফিও কিছু বাকি রয়েছে একই সাথে ক্যান্টিন রয়েছে এগুলো সমস্ত কিছুই পরিশোধ করার জন্য আবার কলেজে চলে গেলাম অ্যাকাউন্ট নিয়ে সমস্ত টাকা পরিশোধ করে কলেজ থেকে বাহির হলাম। কলেজ থেকে আমার রাস্তা একই সাথে অর্থাৎ রাস্তার পাশেই আমার কলেজ তাই গাড়ির জন্য বেশি দেরি করতে হয় না। রাস্তাতে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই একটি সিএনজি আসলো সিনজি করে আমি বনানীতে চলে গেলাম।
বনানী থেকে একটি বাস নিলাম। বাসে ওঠার পরে বেশ কয়েকটি সিট ফাঁকা ছিল একটি সিটিং বসে পড়লাম। বাসে করে সেই স্ট্যান্ডে অর্থাৎ ধনুট মোড়। ধনুক মার্ থেকে একটি সিএনজিতে উঠলাম সেই মেগায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
অনেক সময় বসে থাকতে হলো কারণ লোক সংখ্যা হলে সিএনজি স্টার্ট দেয় না। সিএনজি ভাড়া ৮০ টাকা নিয়েছে। বিগত এক বছর আগে এই সিএনজি ভাড়া ৫০ টাকা মধ্যে ছিল সবকিছুর দাম বেশি একই সাথে রাস্তা ভালো না হওয়ার কারণে তাদের ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিএনজি পথে আসার সময় অনেক মনোরম দৃশ্য অর্থাৎ কৃষকদের ফসল ফলানো দেখে মন ভরে যায়। আবার এই সিএনজি পঠের রাস্তার মেরামতের কাজ চলতেছে এই কারণে অনেক উঁচু-নিচু এ কারণে অনেক সময় লেগেছে এবং অনেক ধুলা বালুর মধ্য দিয়ে আসতে হয়েছে। এই ধুলাবালুর মধ্যে থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখার জন্যই একটু প্রচেষ্টা করলাম নিজের নাকে মাক্স লাগিয়ে। কিছু কিছু জায়গায় অনেক ধূলাবালের মধ্যে দিয়ে আসতে হয়েছে আবার একটু সামনে গেলেই সেই সরিষা ফুলের ঘ্রাণ যখন নাকে আসে তখন মনটা ভরে যায়। এভাবে ধুলাবালু এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য সরিষা ফুলের ঘ্রান এর মধ্য দিয়ে চলে গেলাম সেই যমুনা খাটে।
এরপর আমি সেই মেঘাই স্ট্যান্ড থেকে যমুনা খাটের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাদের সেই যমুনা ঘাটে চলে গেলাম। আপনাদের সাথে এই যমুনা ঘাট নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে, সাথেই থাকুন কোন একদিন আসবে এই পোস্ট। যাই হোক অবশেষে নৌ কাতে চলে গেলাম আমাদের মাতৃভূমি নাটুয়ার পাড়ায়।
আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা ছাড়াই আল্লাহর রহমতে মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছাতে পেরেছি।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16M Dual camera |
Location | Banglad |
Short by | @jakaria121 |
আশাকরি আপনার পরীক্ষা ভালো হয়েছে, অনেক আগাম শুভেচ্ছা ভালো ফলাফলের জন্য, আসলে ভাড়া বেড়ে যাবার বিশটি এখন সব দেশেরই সমস্যা। ভারতেও একই অবস্থা, বাংলাদেশের মতন। আপনার যাত্রার বিবরণ ভাগ করে নেবার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ আমার এই মাতৃভূমিকে আরো বোনের বিবরণটি উপভোগ করার জন্য এবং ভাড়ার বিষয়টিও আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে (@sduttaskitchen) ধন্যবাদ আরো একবার।
যমুনা নদীর ছবিটি দেখে মন ভরে গেলো, বাংলাদেশের প্রতি একটা অজানা টান সবসময কাজ করে, অনেক গল্পো শুনেছি বাবার্ভকাচ থেকে তাই হয়তো এই অনুভূতি আগমন। ভালো থাকুন সবসময়।
আমাদের বাড়ি যমুনা নদীর তীরেই অবস্থিত। ইনশাল্লাহ আগামীতে অবশ্যই যমুনা নদীর এবং আমাদের অনেক কিছু নিয়ে আপনাদের সাথে উপস্থাপন করব।