কার্টুন ড্রইং
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি একটি কার্টুন গাড়ির ছবি। আমি অনেকদিন ধরেই ছবি ছাড়ছি না, কারণ আমি ঠাকুর দেখতে যাচ্ছি, আর আমাদের বাড়িতে একটি পিসি আর দাদু আসায়, আমি তাদের সঙ্গে কথা আর মজা করতে করতে ,আর আমার দিদি আর পিসির সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে ,আমি আর মাঝে সময় পাচ্ছিলাম না।
আর আমার দিদিও কদিন আগে বলছিল যে তুই আর ছবি আঁকছিস না কেন। তাই আমি আজকে একটি ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আর এই ছবির পেছনে একটা কারণ আছে। সেই কারণটি হল আমি যেহেতু আপনাকে বলেছিলাম যে আমার দিদি অনলাইন থেকে দুটি কিউব অর্ডার করেছিল, আর আমার একটি বড়ো কিউব কালেকশনও আছে। যেটির মধ্যে আপাতত আটটা কিউব হয়েছে। আগে ছিল ছটা।
যে কিউব টি অর্ডার করা হয়েছিল। সেটা আজকে দিয়ে গেল।আর আমি সেই কিউব আসার আগে ছিলাম একটি পিসির বাড়ি। আমার একটি যে পিসি বা তাকে দিদিও বলতে পারো, সে এসেছে, তার বাবা অর্থাৎ আমার দাদু এসেছে। তারা আমার বাকি পিসিদের বাড়িতে যাবে। তাই আমি একটা একটা করে সব পিসির বাড়ি ওনাদের নিয়ে যেতে লাগলাম।
লিংক
কারণ উনি তো জানে না কার বাড়ি কোথায় ,কোথাও যদি হারিয়ে যায় ।তাই আমি গাইডের মতন ওনার সঙ্গে ঘুরছিলাম। তারপর ঘুরে টুরে যখন বিকেলবেলা হয় ,তখন আমি আমার একটি দাদার সঙ্গে বাড়ি চলে আসি। কারণ আমার মা বলেছিল যে পাঁচটার সময় তুই বাড়ি চলে আসবি। কারণ দাদুকে বাকি সব পিসিরা বিসর্জন দেখাতে নিয়ে যাবে।
আর আমি আলাদা হয়ে মায়েদের সঙ্গে যাব। যাইহোক আমি যখন বাড়িতে আসি ,তখন দেখি একটি flipkart এর পার্সেল পড়ে আছে। তারপর আমার মাকে জিজ্ঞেস করি ,যে এটা কিসের , তখন আমার মা বলে যে এটা তোমার জিনিসটি ।তারপর ফটাফট আমি ট্রাইপড নিয়ে সেটিকে খুলতে আরম্ভ করি ।আর আমার দিদি ছবিও তোলে।
তারপর আমি দেখি বের করে যে প্রথম কিউব অর্থাৎ টুইস্টার ,তারপর ম্যাঙ্গামিস যেটা বড় কিউব, সেটা তো অনেক বড় কোম্পানির ।মানে অনেক বড় ব্র্যান্ডের কিউব । এই কিউবটা ময়ূ কোম্পানি অর্থাৎ যেটি পৃথিবীর মধ্যে থার্ড নম্বর ভালো কোম্পানি ।আর সেকেন্ড নম্বরের টা জানিনা ।কিন্তু ফার্স্ট নম্বরটা হলো জ্ঞান কম্পানি, এই জ্ঞান কোম্পানি সব থেকে বড় কিউব কোম্পানি ।
কারণ জ্ঞানের কিউব গুলোর যেমন দাম হয় ,তেমন স্মুত এবং ভালো হয়। যাই হোক আমি কিউবটা আসার পর দুটো কিউব সলভ করেছি। প্রথম টা তো আমার সল্ভ করতে দেরি লাগে নি ,কারণ সেটির সূত্র গুলি আমি আগে থেকেই জানি ।কারণ সেটিকে আমি আগেও সল্ভ করেছি। যাই হোক আমি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সল্ভ করে দিলাম ।অনেকদিন ধরে সল্ভ করিনি। তাও কয়েক সেকেন্ড লাগলো করতে।
তারপর আমি গেলাম মেগামিক্সে। আমি এই কিউবটার সূত্র কিছুই জানিনা, তাও আমি নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে প্রায় তিনটে দিক ,এগারোটা দিক একদম ভালোভাবে সলভ করলাম। তারপর লাস্ট লেয়ার যেটা, সেটাকে আমার সলভ করতে youtube-এর সাহায্য নিতে হয়েছে। কারণ সব কিউব সল্ভ করার আগে 3×3 সল্ভ করা জানতেই হবে ।না হলে কোন কিউব সলভ করা যায় না।
আমি মেঘামিক্স টি রিভাইট এর মতন সলভ করে, লাস্ট লেয়ারটাও রিভাইস এর মতন সলভ করেছি। কিন্তু তিনটে কর্নার পিস তিনদিকে হলে ,কিভাবে সলভ করব তাই ইউটিউবের সাহায্য নিলাম। কারণ ২/২ এর সূত্র টা লাগিয়েও কিছু হচ্ছিল না । এখন এই কিউবটি একদম মাখনের মতন চলছে ।আর কিউবের ভালো আওয়াজ হচ্ছে ।প্রথমে তো কেমন বেঁধে বেঁধে যাওয়ার মতন হচ্ছিল ।কিন্তু এখন যখন সলভ করেছি, তারপর থেকে ভালোই চলছে। আর বলে দিই যে আমার সব কিউবই স্টিকার less ব্যতিক্রম মিরার কিউব ।
যাইহোক এবার আমি ছবি আঁকায় ফিরে আসি। আজকে আমি ধাপে ধাপে ছবিগুলো দেখাচ্ছি। কিন্তু লেখার মাঝে মাঝে ছবিগুলো শেয়ার করলাম। লেখাটা অনেক বড় লিখে ফেলেছি। আর যেহেতু ছবি আঁকার স্টেপগুলো প্রত্যেকদিনের মতন সেম। পেন্সিল তারপরে ব্ল্যাক পেন, তারপরে রঙের কাজ। তাই আলাদা করে স্টেপ দিলাম না। আর প্রত্যেক দিনের মতো আজকেও আমি ভিডিও লিংক এখানে দিয়ে রাখছি।