বাবার বাড়ি গিয়ে আমার কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভালো আছি। গত বুধবারে গিয়েছিলাম বাবার বাড়িতে , আজ শুক্রবার আবার চলে এসেছে।
মাঝখানে এই দুই দিন বেশ আনন্দ কেটেছে, বাকি দিনগুলো যে আমার খারাপ কাটে তা কিন্তু না তবে একটু অন্যরকম আনন্দ তো অবশ্যই আছে, বিয়ের পরে প্রত্যেকটা মেয়ে বাবার বাড়িতে গেলে একটা অন্যরকম শান্তির জায়গা খুঁজে পায়।
তখন তাকে একদম কোন কিছু চিন্তাই করতে হয় না,, নিজেকে কিছুটা সময় দেওয়া যায়, এমন কি বাচ্চাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব টা পর্যন্ত বাবা-মা নিয়ে নেয়।তবে, আমার কাছে মনে হয় অনেক দিন পরে বাবার বাড়িতে গেলে, সর্বনিম্ন একটা সপ্তাহ যদি না থাকা যায় তাহলে মনের ভিতর টা যেন কেমন অসম্পূর্ণ থেকে যায়,,
তবে কি আর করার এই দুই দিন কে আমি হাসি খুশি মনে বরণ করে নিলাম, যাইহোক পরিস্থিতি বুঝতে হবে তাই কখনো কখনো মন কে বলি মন সবকিছু চাইলেই করা যায় না পাওয়া যায় না। এই দুই দিন বেশ ভালো কেটেছে আমার বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা হওয়ার, গল্প করা, ভালো-মন্দ খাবার খাওয়া সুন্দর একটা সময় কাটানো,, ।
এই পোস্টটা আজ আমি শ্বশুর বাড়িতে বসে লিখছি, এই দুইটা দিন যে আমার এত দ্রুত চলে গেল আমি বুঝতেই পারিনি, বিশেষ করে ফোনের কাছ থেকে খুব দূরেই ছিলাম কারণ, আমি দুই টা দিন শুধু আমার কাছের মানুষ গুলোকে নিয়ে কাটিয়েছি।
কারণ জীবনে এই মুহূর্তগুলো আর ফিরে পাবো না, আমাদের বাসার সামনে খুব বড় একটা দিঘী আছে যার, চার পাশে বাড়ি এবং গাছপালা আমাদের বাসার সামনে থেকে খুব সুন্দর একটা দৃশ্য যদি আপনি মনের চোখ দিয়ে দেখেন,,,।
বাড়ির মেয়ে বাড়ি ফিরেছে মায়ের তো হাজার রকমের রান্না থাকবেই, তবে তার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করেছে কোন খাবার টা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের সেটা তৈরি করা।আম্মু জানে আমি দেশী মুরগি ঝাল ঝাল ঝোল বেশ পছন্দ করি, আম্মু সেটাই রান্না করেছিলো,তার সাথে চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, আরো অনেক কিছুই ছিলো,
আমি গিয়েছি বাবার বাড়িতে দুই দিনের জন্য, আর এই দুই দিন আল্লাহ রহমতে অনেক দিয়েছে বৃষ্টি একটু একটু পর পর বৃষ্টি হচ্ছিলো কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মত কোন রকমের অবস্থা ছিল না। তাইতো এই বৃষ্টির তে সবাই মিলে গল্প করতে করতে গরম গরম বেগুনি পেঁয়াজি আলুর চপ এসব খাওয়া হয়েছিল।
কি যে ভালো লাগছিলো কোন কাজকর্ম নেই টেনশন নেই শুধু খাওয়ার ঘুম, এর ভিতরে আবার মেহেদী ও লাগিয়ে ছিলাম, নিজেকে সাজাতে না বেশ পছন্দ করি আমি ছোটবেলা থেকে তবে, মাঝখান দিয়ে আমি যেন নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করাতেই ভুলে গিয়েছিলাম। আর আজ আবার নিজের হাতে নিজে কত বছর পর যে মেহেদী নিলাম হাতে, সেটা সঠিক বলতে পারব না। কেমন হয়েছে?
যদিও কথা ঘুরতে যেতে পারেনি তবে, মা বাবা এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে যে সুন্দর সময় টুকু কাটিয়েছি সে টা সত্যি সুন্দর একটা মুহূর্ত। নিজেকে ভালো রাখার জন্য মাঝে মাঝে এমন সুন্দর সময় কাটানো উচিত ,, যাই হোক আবারো ফিরে এসেছি নিজের গন্তব্য স্থানে আগামীকাল থেকে শুরু হবে আবারো আমার আগের মত রুটিন , যাই হোক সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
"আমার এই পোস্ট টা পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ"
