এলোমেলো, পছন্দের কিছু ফটোগ্রাফি।

in Incredible India19 days ago

আসসালামু আলাইকুম, আমি karobi amin বলছি।আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি, আজ বিকালে শুয়ে শুয়ে ফোনের গ্যালারি টা দেখছিলাম।বিশেষ করে আমি তখনই ফোনের গ্যালারি ঘাটি, যখন ফেসবুক, ইউটিউবে ঢোকা যায় না, যখন কারেন্ট চলে যায় তখন ফোনে আমি গ্যালারি দেখি।

ঠিক তেমনি আজ সময় পেয়েছিলাম তাই ফোনটা হাতে নিয়ে,, পুরানো ছবিগুলো দেখছিলাম। তবে হ্যাঁ, এই ছবিগুলো বেশি পুরনো নয়, তিন চার দিন হবে। ফোনের গ্যালারিতে অনেক ছবি থাকে যেগুলোর প্রয়োজন হয় না রেখে দেই, তাই আজ ভাবছিলাম যেগুলো অপ্রয়োজনীয় ছবি সেগুলো ডিলিট করে দিবো। কিন্তু এরই মাঝে আমার পছন্দের কিছু ছবি চোখে পড়ে গেলো,, তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করা,, কারণ, আমি মনে করি এই প্ল্যাটফর্ম টা আমার স্মৃতি গুলো আটকে রাখার জায়গা।

প্রথম ছবি আমার রাজকন্যা,"

বৃষ্টির পরে মেয়েকে নিয়ে হাটতে বের হওয়া, কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছিলো, এর মধ্যে একদিন বৃষ্টি শেষে, আমি এবং আমার মেয়ে গিয়েছিলাম হুজুরের খাবার দিতে প্রতিমাসে একবার মসজিদের হুজুর কে আমাদের খাওয়াতে হয়। যেহেতু আমাদের বাড়ি থেকে মসজিদ খুবই কাছে হেঁটে গেলে ৫ মিনিটের মত লাগে,তাই আমি এবং আমার মেয়ে গিয়ে খাবারটা দিয়ে আসছিলাম।

যাওয়ার পথে তার যে কত গল্প ওর সাথে হাত ধরে হাঁটতে আমার ভীষণ ভালোই লাগে, মেয়েটা দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই পিছন থেকে একটা ছবি তুলছিলাম। সাংসারিক হাজারো ব্যস্ততার মাঝে মেয়েকে নিয়ে একটু বের হওয়া, গল্প করা আর ওর হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। এটা যে কত বড় একটা ভালোলাগা কাজ করে তা বোঝানো অসম্ভব। তাইতো এই সুন্দর সময় আমি ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে ভুলি নি।।

দ্বিতীয় ছবি টা আমাদের পুকুরের কৈ মাছ।

আমাদের অনেক গুলো পুকুর তার মধ্যে একটা পুকুর আছে ওই পুকুরের মাছ আমরা কখনোই বিক্রি করি না, বিভিন্ন রকমের মাছ পুকুরটা তে চাষ করা হয়,,যখন জাল দিয়ে মাছ ধরা হয় তখন আমরা অনেক ধরনের মাছ একবারে উঠাতে পারি,,।এটা আমাদের জন্য বেশ সুবিধা জনক।

কিন্তুু কিছুদিন আগে বৃষ্টি হলো টানা এক সপ্তাহের মতো,পুকুরের পানি অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিলো সেই সাথে পুকুরে যতগুলো কই মাছ ছিলো একা একা হেটে পারে উঠে এসেছিলো,যখন মেঘে ডাক দেয় তখন কৈ মাছ আর পানিতে থাকতে পারে না। তখন আমাদের অনেক কৈ মাছ এদিক ওদিক চলে গিয়েছে,,।

কিছুই করার ছিল না, আমাদের বাসায় যে খালাম্মা টা কাজ করে উনি আমাদের অনেক কৈ মাছ ধরে এনে দিয়ে ছিলো,এতগুলো কই মাছ একসাথে কি করা যাবে তাই ডিপ ফ্রিজে রাখা ছাড়া কোন উপায় নেই ,, তাছাড়া প্রথম দিন অনেক গুলো কৈ মাছ ভাজা হয়েছিলো। যেমন টা দেখতে পারছেন, আমি একাই কতগুলো নিয়েছি খাওয়ার জন্য সেদিন মনে হয় শুধু কৈ মাছ খেয়েছি। প্রত্যেক টা কৈ মাছের পেটের ভিতর ডিম একদম ভরা ছিলো,,জানিনা কে কেমন কৈ মাছ পছন্দ করে তবে, আমি এই দেশি কৈ মাছটা বেশ পছন্দ করি।

তৃতীয় ছবি টা শাশুড়ি মায়ের আবদারের রোস্ট রান্না।

তো সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল হঠাৎ আমার শাশুড়ি আম্মা বললো বৃষ্টির মধ্যে একটু ভালো-মন্দ খাওয়া যাক। এরপর আমি বললাম বলেন আপনার কি খেতে মনে চায়, ইচ্ছে তো কোনোভাবে এই বলবে না কিন্তু আমি তো তার পেট থেকে কথা বের করেই ছাড়বো। সে শুধু বলতে ছিলে তুমি কি খাবে সেটা বলো,এরপর কথার একপর্যায়ে গিয়ে সে বলল আচ্ছা সাদা পোলাও সাথে রোস্ট রান্না করো,আমি আবার কিছু পারি আর না পারি রোস্ট রান্নাটা ভালোভাবে এই করতে জানি।

বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিলো আর আমি খাবার ঘরে বসে রোস্টা রান্না করছিলাম। রোস্ট রান্নায় বেশ মসলার প্রয়োজন তাই আমি সব সময় সবগুলো একসাথে গুছিয়ে নেই , এতে আমার খুব সহজেই রান্না হয়ে যায় সেই সাথে খেতে ভীষণ মজার হয়েছিলো,,যদিও মাঝে মধ্যেই খাওয়া হয় কিন্তু এই ছবিটা দেখতে আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় লাগছিলো তাই রেখে দিয়েছি।

সর্বশেষ ছবি কেকের ক্রিম বিট করার সময়।

এই ছবিটা কিছুদিন আগের, আমি যখন সর্বপ্রথম কেকের ক্রিম বিট করি, বহুবার কেক তৈরি করেছি তবে ক্রিমটা কখনো বের করা হয়নি,, ভিতরে ভিতরে আমি খুবই এক্সাইটেড ছিলাম এটা কেমন হবে দেখতে আমি কি পারবো কিনা।এরপর আমি করেছি, এবং কেক টা খুব সুন্দর ভাবে হয়েছে। কেক আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে একটি,
যাইহোক সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।

Sort:  
Loading...