Better Life with Steem|| The Diary Game||18 july 2025||
আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তবে একটা বিষয় নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা হয় আমার, ইদানিং হঠাৎ করে বুকের বাম পাশটা তে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং এ ব্যথাটা আমি আগে কোনদিন অনুভব করিনি হঠাৎ হঠাৎই এই ব্যথাটা হয়।
আমি বুঝতে পারছি না ব্যথাটা কিসের তবে এই ব্যথাটা নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা এবং অনেক টেনশন করি , আল্লাহ মাফ করুক বড় কোন সমস্যা যেন না হয়। গতকাল রাতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করছিলাম এত ব্যাথাটা আবার দীর্ঘ সময় থাকে না যখন ওঠে তখন ৫-৬ মিনিট এরপরে আবার চলে যায়।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে, হাতমুখ ধুয়ে সকালে কিছু কাজকর্ম শেষ করে, সকাল তোমন কিছু রান্না করে নি, যেহেতু দুজন মানুষ এখন, তাই ঘটা করে বেশি কিছু রান্না করতে যায়নি। চা বিস্কুট ও নুডুলস রান্না করে খেয়েছিলাম। এ দিয়ে সকালের নাস্তা টা শেষ করি,,সকালের নাস্তা করার পর আমি একটু টক দই খেয়েছিলাম টক দই আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকারী তবে, আমি দেখেছি টক টা অনেকে এই খেতে পারে না। তাই আপনাদের কে বলছি প্রতিদিন অল্প করে হলে ও টক দই খাবেন।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে,এরপরে ফোন হাতে নিয়ে কিছু সময় খবর দেখছিলাম বর্তমানে আমাদের জেলার যে অবস্থা তা মোটামুটি সবাই জানেন, নিহত সহ বেশ কয়েক জন এই আমাদের বাড়ির আশেপাশে, আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি আছেন , বর্তমানে এখানের পরিস্থিতি খুবই খারাপ,,।
পরে কিছু থালা বাসন ধুয়ে নিলাম দুপুরের জন্য রান্না গুছিয়ে নিলাম,রান্না করার আগে সবকিছু গুছিয়ে নিলে রান্না করতেও সুবিধা হয় এবং সহজেই করা যায়, পরে দুপুর রান্নাটা শেষ করেছি, আজ দুপুর রান্না করেছিলাম মুরগির মাংস, করল্লা ভাজি ও কালোজিরা ভর্তা। রান্না শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে পরিষ্কার করে রাখলাম।
এরপর মেয়েকে নিয়ে দুপুর বেলা গোসল টা শেষ করলাম, যোহরের নামাজ আদায় করে, সবাই মিলে একসাথে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেশ খানিক একটু সময় রেস্ট নিয়েছিলাম।আমি যতই কাজ করি না কেন দুপুর বেলা যদি একটু না ঘুমাতে পারি তাহলে শরীর প্রচন্ড দুর্বল তা কাজ করে।
আমি ঘুমানোর জন্য এসেছি আর আমার মেয়ে তার পুতুল নিয়ে খেলা শুরু করছে তার নাকি আজ ঘুম আসতেছে না। প্রতিদিন দুপুর বেলা ঘুমানোর একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ওর তবে, আজকে দুপুর বেলা ঘুমাতে এসে সে পুতুল নিয়ে খেলতে খেলতে বেশ সময় কাটিয়েছে।
ও খেলা দেখে মাঝে মধ্যে আমি আমার ছোটবেলায় ফিরে যাই। ওর মত আমিও এরকম পুতুল দিয়ে খেলতাম, আমার অনেক গুলো পুতুল ছিলো এখন ও পর্যন্ত একটা পুতুল আছে স্মৃতি হিসেবে। শুধু পুতুল না আমার ছোট বেলার খেলনা হাড়ি পাতিল এখন আছে,,।এখন মাঝে মধ্যে দেখে হাতে নিয়ে বেশ হাসি আর সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে।
বিকাল বেলা শাশুড়ি মায়ের আবদারে থানকুনি পাতার বড়া বানিয়ে ছিলাম,বিকেলবেলা সে উঠিয়ে এনেছে এবং বলল এগুলো দিয়ে বড়া তৈরি করার জন্য। এরপর তার কথা মতো আমিও ধুয়ে পরিষ্কার করে বড়া তৈরি করে নিলাম এবং সবাই মিলে একসাথে বিকালের নাস্তা হিসেবে খেয়ে নিলাম।
এইতো এই করতে করতে কোন ফাঁকে যেন সন্ধ্যায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো,মাগরিবের নামাজ আদায় করে মেয়ে কে পড়তে বসিয়ে ছিলাম। মেয়েকে পড়ানো শেষ করে হাজবেন্ডের সাথে কথা বললাম,,,।এর পরে রাতের বেলা খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলো, আর আমি তখন পিসিটা অন করে বসেছি পোস্ট লেখার জন্য।
এইতো এভাবে কেটেছে আমার আজকের দিন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।। এবং আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।। আল্লাহ হাফেজ।
You have been supported by the Team 04: