Better Life with Steem|| The Diary Game|| 2 August 2025|
আসসালামু আলাইকুম , প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভাল আছি। আমি করবী আমিন। আছি আপনাদের সাথে, শেয়ার করবো আমার আজকে সারা দিনে কার্যক্রম আমি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ইদানিং প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে দেখা যাচ্ছে ভোর রাত্রে বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়, যেমন টা আজও হয়েছিলো তখন প্রায় তিনটা বাজে আমার ছেলের এই অবস্থা ওর চোখ দেখে কি মনে হয় ও ঘুমিয়ে ছিলো, আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম, তবে আমার একটা অভ্যাস আছে আমি অল্প শব্দ পেলেই আমি উঠে পড়ি। গ্রাম বাংলায় একটা কথা আছে কান সজাগ। উঠে দেখে আমার ছেলে খেলতেছে এরপর মোবাইলে ফ্লাশ জ্বালিয়ে একটা ছবি নিলাম।
আমার চোখে এত ঘুম কিন্তু ওকে তো ঘুম পড়ানো যাচ্ছে না। ও খেলার জন্য একদম প্রস্তুত আর এই রাতে ওকে একা রেখে ঘুমিয়ে যাওয়াটা ও কিন্তু বিপদ জনক। যদি খাটের পাশ দিয়ে পড়ে যায়, যদি ওর গায়ে কাপুড় দিয়ে নিজের মুখটা ঢেকে ফেলে, এরপরে যদি আর শ্বাস নিতে না পারে। মানে হাজারো প্রশ্ন অন্যদিকে চোখ ভরা ঘুম আমার। ও দিব্যি হাসতেছে আর আমার যে কি বিরক্ত লাগছিলো।
আরো এত ছোট যে ওকে যদি বলি ঘুমাও তাও তো বুঝবে না, আর ঘুম না আসলেই বা কিভাবে ঘুমাবে। এরপরে কি আর করার পায়ের উপরে নিয়ে অনেক কষ্ট করে ঘুম পাড়িয়েছি আর তখন মনে করছিলাম আমার মা হয়তো এরকম কষ্ট করেছে। শুধু আমার মা না পৃথিবীর সব মায়েরা এরকম কষ্ট করে কিন্তুু আমরা সন্তানরা বড় হয়ে তার মূল্য কতটুকু দিতে জানি না, আমার জানা নেই।
এরপরে সকাল বেলা উঠেছিলাম একটু দেরি হয়ে করে, ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ঘর ঝাড়ু দেওয়া, থালা-বাসন পরিস্কার করা, অনেক ভেজা কাপড় ছিল সেগুলো রোদে শুকাতে দেওয়া,বাবুকে খাবার খাওয়ানো, এর পরে খাবার ঘরে গিয়ে,সকালের নাস্তা খেয়েছিলাম গরম দুধ আর পাউরুটি, রুটি খেতে ভীষণ মজার ছিল সাথে ছিল তালের পিঠা।
সকালের নাস্তা শেষে ঘরের কিছু কাজ করছিলাম, এরপরে শাশুড়ি আম্মা বলল কিছু পান তোলার জন্য। এই পান গাছটা বেশ কিছুদিন আগে লাগিয়ে ছিলো তিনি। আর এখন মাশআল্লাহ্ অনেক জায়গা জুড়ে হয়েছে। এখান থেকে পান ছিড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে মাঝেমধ্যে এই আমি তাকে ছিড়ে দেই খাওয়া জন্য। সত্যি কথা বলতে কি নিজেদের গাছের যে কোনো জিনিসই তো অনেক ভালো লাগে আর এর আনন্দটা অন্যরকম। সে সাথে একটু ছোট ভিডিও করেছিলাম আমার শাশুড়ি আম্মার পান গাছের।
এরপরে বাসায় এসে দুপুরে রান্নার ব্যবস্থা করি, ঐ তো শুরুতেই বলছিলাম হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি আসে তাই আজ বৃষ্টির মাঝে রান্না করেছিলাম বিরিয়ানি। শাশুড়ি আম্মা বলছিল এই বৃষ্টিতে ভালো কিছু রান্না করা যাক তাই আবদার রান্না করেছিলাম।
আমার কাছে মনে হয় পরিবারে প্রত্যেক টা সদস্য কথায় অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার, কারণ পরিবারের মানুষ গুলো যদি ভালো থাকে তাহলে আমরা মানসিক ভাবে শান্তিতে থাকতে পারি। তাই আমি চেষ্টা করি আমার সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে ভালো রাখার, জানিনা কতটুকু পেয়েছি এই যাবত তবে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সর্বদাই কারণ আমার কাছে মনে হয়,আমার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা হচ্ছে আমার পরিবার পরিবারটা কে যদি ভালো রাখতে পারি তাহলে শান্তি, কারণ আমি দেখেছি দিন শেষে বাইিরের মানুষ কাছের পাওয়া যায় না পরিবারটাই পাশে দাঁড়ায়।
এরপরে দুপুর বেলা রান্না শেষে গোসল করে,যোহরের নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে, বেশ খানিক টা সময় রেস্ট নিয়ে ছিলাম।এরপরে বিকেল বেলা হালকা নাস্তা করেছিলাম এবছরের প্রথম তাল খেয়েছিলাম আজকে তালের সাথে নারকেল, দুধ জাল করে , ক্ষীরের মতো তৈরি করা হয়েছিল। খেতে ভীষণ ভালো লাগছিলো তার সাথে ছিলো মুড়ি সবাই মিলে হালকা বিকালে নাস্তা করেছিলাম তাল মুড়ি দিয়ে।
এরপরে সন্ধ্যার পরে বেশ কিছুটা সময় কথা বললাম আমার আম্মার সাথে, বাবার বাড়ির সবার খোঁজ খবর নিলাম। এভাবে আমার আজকের দিনটা কেটে ছিলো,রাতে খাবার দাবার পরে আমি পোস্টটা লিখতে বসেছিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।