Better Life With Steem | The Diary game ,june , 23 , 2025।
Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা,আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে, দেখতে দেখতে দুই মাস পার হয়ে গিয়েছে ঢাকা থেকে এসেছি, কত সুন্দর ছিল এই দিনগুলো,এখনো যে বড্ড খারাপ দিন যাচ্ছে তা কিন্তু না। তবে এখন এর তুলনায় ওই দিনগুলো আমার কাছে অন্যরকম ছিলো।
আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই সেই দিন গুলোর কথা মনে করছিলাম, যাই হোক আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধরে সকালে নাস্তা তৈরি করেছিলাম। রুটি এবং আলু ভাজি,প্রতিদিন তুলোনায় আজ সকালে নাস্তা টা একটু তাড়াতাড়ি তুলে নিয়েছি আমি এবং শাশুড়ি আম্মা।
কারণ একজন লোক কাজে নেওয়া হয়েছে,ধান থেকে চাল বের করার জন্য আমরা কিছুদিন আগে ধান সিদ্ধ করে ধানগুলো ভাঙ্গানো হয়েছিলো,কিন্তু সেই ধান থেকে তুস পরিষ্কার করে চাল বের করা হয়নি, তাই আজ সকাল সকাল একজন লোক নেওয়া হয়েছে প্রায় ছয় মনের মত ধান উড়িয়ে চাল বের করা হবে।
এরপরে সেই ফুফু আসলো, সে আমাদের সম্পর্কে ফুফু হয়। মাঝেমধ্যে এই ফুফু আমাদের কমবেশি কাজ করে দেয়। সে আসার পরে আমি তাকে প্রথমে খাবার দিলাম,এরপর প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র এনে দিলাম। ধানে বস্তা গুলো সে একাই এনেছে আমি ফ্যান এনে চালু করে দিলাম, কারণ, ফ্যানের সাহায্য নিলে তিনি খুব তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ করতে পারবে।
সে কাজ করতে ছিলো,আমি অন্য দিকে একটু মেশিনে বসে ছিলাম, গত পোস্টে দেখেছেন মেয়ে জামাটা তৈরি করছি তবে, একদম সম্পূর্ণ হয়নি নিচে একটা সেলাই বাকি ছিলো তাই সেলাই টা দিয়ে জামাটা সম্পূর্ণ রেডি করলাম। এরপর দুপুর বেলা শাশুড়ি আম্মার সাথে দুপুরের রান্নার কাজ করলাম।
আজ দুপুরে রান্না করা হয়েছিলো দেশি মুরগির ঝোল, সেই সাথে আমার পছন্দের কালোজিরা পোলাও চাল, এই পোলার চালটা খেতে ভীষণ মজা তার পাশাপাশি অসম্ভব সুন্দর একটা ঘ্রান,এই চাল আমার ননদ পাঠিয়েছে আমাদের বাড়িতে, এই চালটা নিজেদের জমিতে চাষ করা হয়েছিলো, প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদেরকে অনেক খানি দিয়েছে।
কাজ শেষে দুপুরে গোসল করে, সবাই কে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেশ খানিক টা সময় রেস্ট নিয়েছিলাম। এরপরে মেয়ে ঘুম থেকে উঠেছে ঘুম থেকে ওঠার পরে, তার কিছু একটা খেতে হবে তাই। তাকে মাছের একটা মাথা দিয়ে বললাম খাওয়ার জন্য।কিন্তুু সে খেতে রাজি না ,,ও যখন একদম আরো ছোট ছিলো তখন একটা মাছের মাথা দিলে খুঁটে খুঁটে সুন্দর ভাবে খেতো। আর এখন মাছের মাথা যেন দেখতেই পারে না। তাই কি আর করার আমি নিজের হাতে সময় নিয়ে খাইয়ে দিলাম। কারণ, সন্তানরা একটু তৃপ্তি করে খেলে,মায়ের যে কি ভালো লাগা কাজ করে, তা এখন মা হওয়ার পরে বুঝতে পারছি।
এই করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, সন্ধ্যার পরে মেয়েকে পড়তে বসিয়ে ছিলাম।সেই সাথে নিজেও একটু দেখছিলাম চতুর্থ বছরে কি কি সাবজেক্ট গুলো আছে, এ বছরে আমার প্রচুর পড়া সেই টেনশন যেন এখনই মাথার মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। কি যে হবে জানিনা।।
এরপরে সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। মোটামুটি প্রতিদিনই রাতের খাবার খাওয়ার পরে সবাই এক কাপ গরম দুধ খাই, কিন্তুু আজ আমার খেতে মনে ছিল না তাই, পোস্ট লিখতে লিখতে দুধ টা খাওয়া সম্পূর্ণ করলাম । আজকের দুধ টা ভালো জল করা হয়েছিল যার জন্য খেতেও ভীষণ মজা হয়েছিলো।
এইতো এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম, আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। তো সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।।