সারা বিশ্বে দিন দিন বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমান বেড়ে চলেছে।


Screenshot_1.jpg
Image Source by pexels

বর্তমান পৃথিবীতে ডিভোর্সের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিভোর্সের পরিমান অবিশ্যাষ্য ভাবে বেড়ে চলছে। বিবাহবিচ্ছেদ একটি জটিল সমস্যা। এর কারণ ও ফলাফল একজন থেকে আরেকজনের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। বিবাহবিচ্ছেদ রোধ করতে হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো, সমস্যা সমাধানের জন্য কাউন্সেলিং করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। তাবে কি কারনে এই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে আমার যুক্তিতে কিছু কারন আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।

প্রথমত বলব নারীরা এখন অতিরিক্ত সচেতনতা বৃদ্ধির নামে নারীরা এখন আর পুরুষের উপর সম্পূর্ন নির্ভরশীল হতে চায়না। তারা নিজেরা কাজ করে স্বাবলম্বি হওয়ার চেষ্টা করছে। যে কারনে নারীরা মনে করে তারা পুরুষের মত সব পারবে এজন্য তাদের মধ্যে আত্ন অহমিকা কাজ করছে যে কারনে ডিভোর্সের পরিমানও বাড়ছে।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বর্তমানে একে অপরের প্রতি অবিশ্বাস বেড়েই চলেছে। তাছাড়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও সমস্যার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে স্ত্রীরা অধিকাংশই তাদের স্বামীর পারিবারকে ইগনোর করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা তো বোঝেনা ঐ নারীই তো কোন না কোন পরিবার থেকে এসেছে। তাছাড়া পারিবারিক হস্তক্ষেপ দাম্পত্য সমস্যার এক অন্যতম কারন হতে পারে।

আমার পরিচিত একজন ডাক্তারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে, বর্তমান কেন ডিভোর্সের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে? তিনি আমাকে বললেন যে, বর্তমানে মানুষের মধ্যে মানুষ্বত্ব, মায়া, মমতা প্রচুর পরিমানে অবনতি হয়েছে। আগে মানুষ মানুষকে চিট করা, প্রতারনা করা অনেক কম হতো। একটা মানুষের সাথে প্রতারনা করার আগে ২বার, ৩বার ভাবতো। সে তার কাছের মানুষকে ঠকাতে চাইতো না। এই সামাজিক অবক্ষয়ের কারনে ডিভোর্সের ঘটনা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

তিন আরও বললেন যে, বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়া অনেক বেশি অপব্যবহারও এর একটা কারন । সোস্যাল মিডিয়ার ভাল এবং খারাপ দুটো দিকই আছে। যেমন একটা চাকু দিয়ে আমরা অপারেশন করি আবার ঐ চাকুদিয়ে মানুষকে মেরেও ফেলা যায় । তাই সোস্যাল মিডিয়ার নেগেটিভ সাইট এত বেশি ওপেন এবং এত মানুষের জন্য অপব্যবহারটা প্রচুর বেড়ে গেছে। এই সোস্যাল মিডিয়ার কারনে অনেক মেয়ে এবং ছেলে ভুল পথে চলে যাচ্ছে বা পরকিয়ার লিপ্ত হচ্ছে। তাই এটাও একটা বড় কারন হতে পারে।



Imae Source

তিনি আরো বলেছেন যে, বিবাহ বিচ্ছেদের আরেক কারন হলো ড্রাগস। ইদানিং ড্রাগসের প্রভাবটা কিন্তু অনেক বেশি। স্কুল, কলেজ সবদিকে ড্রাগস বেশ ছড়িয়ে গেছে। ইদিনিং অনেক অফিসের মধ্যেও ড্রাগস সেবন করছে। তাই দুজনের মধ্যে যদি ড্রাগসের সমস্যা থাকে বা কারো যদি ড্রাগস এর নেশা থাকে কিন্তু সে বিয়ের আগে বুঝতে পারে না আবার কেউ কেউ জানার পরেও মনে করে যে বিয়ের পরে এটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দেখা যায় যে পরবর্তীতৈ সে আর ঠিক হতে পারছে না। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে দুজনে বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে চলে যায়।

তাই আমি বলবো স্বামী-স্ত্রী উভয়য়েরই উচিত পারস্পারিক বোঝাপড়াটা ভাল ভাবে রপ্ত করা এতে করে সংসারে শান্তি ফিরে আসবে।

ধন্যবাদ

Sort:  
 last year 

বর্তমান সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ টা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, এই বিবাহ বিচ্ছেদের অনেকগুলো কারণ রয়েছে, আপনি অনেকগুলো কারণ উল্লেখ করেছেন, অবশ্যই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকলে সংসারে শান্তিময় হয়, যে সংসারের তান শান্তি থাকে সে সংসারটা সুখের স্বর্গ হয়। ধন্যবাদ সুন্দর বিষয়ের উপর পোস্ট করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর মতামাতে জন্য।

 last year 

বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিমাণ অধিক বেড়ে যাচ্ছে। বিবাহ বিচ্ছেদের বেশ কিছু কারণ থাকে তার মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলোঃ

  • নারীদের বেতন অধিক, এবং পুরুষের স্বল্পবেদন।
  • যৌথ পরিবার হলে, শশুর শাশুড়ির অযত্ন।
  • চাকরিজীবী মেয়ে বিবাহ করা ইত্যাদি।

তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা ভালো বুদ্ধি না দিয়ে খারাপ বুদ্ধি দেওয়া।

আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।

Loading...