বোনদের সাথে কাটানো মুহূর্ত
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলের ভালো লাগবে।
গতকাল সারাটা দিন প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে আমার ভীষণ কাজের চাপ ।তাই কোথাও বেরোতে ইচ্ছে একদমই করে না। এদিকে যখনই আমার প্রচন্ড কাজের চাপ থাকবে তখন আমার মা, বোন সকলে এসে হাজির হয়। এদিকে ওদের সময় দিতে না পারলে ওরা ভীষণ রাগ করে। দুই দিক সামলে চলা আমার পক্ষে খুবই চাপের হয়ে যায়।পুজোর আর বেশি দেরি নেই। তাই মাঝেমধ্যেই এখন কোন প্ল্যান ছাড়া বেরিয়ে পড়তে হয়।গতকালকে বিকেল বেলায় পড়ানোর পর ইচ্ছে ছিল সন্ধ্যা থেকে টানা কাজ করবার ।কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেও উপায় থাকে না।কিন্তু এর মধ্যে আমার বোনদের বায়না ওদের নিয়ে বাইরে বেরোতে হবে। আমি তো শুনে ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম ।কিন্তু মা অনেক বোঝানোর পর তবে রাজি হয়েছিলাম।
এদিকে ছোটবোনের বরের শরীরটা ভালো ছিল না। ওই অবস্থায় ওকে নিয়ে একটু বেরোতে হয়েছিল। আমি ,সেজো বোন, ছোট বোন আর ছোট বোনের বর এই কয়জন মিলে প্রায় সন্ধ্যা ৭:৩০ বেরিয়ে ছিলাম একটু ঘুরতে। ছোট বোনের ইচ্ছে ছিল কোন জামা পছন্দ হলে সে কিনবে। সেইমতো চলে গিয়েছিলাম প্রথমে জামা কাপড়ের দোকানে। সেখানে অনেক জামাকাপড় দেখার পর ছোট বোনের জামা একদমই পছন্দ হয়নি। আরো কয়েকটা দোকান ঘুরে ঘুরে জামা কাপড় দেখছিলাম ।কিন্তু কোনটাই ওর পছন্দ হচ্ছিল না ।তাই ও আর জামা নেয়নি ।এরপর সেজো বোনের বায়না ছিল সে একটা ব্যাগ কিনবে। তাই চলে গিয়েছিলাম ব্যাগের দোকান। সেখানে বোন পছন্দমত একটা ব্যাগ কিনে নিয়েছিল।
সকলের সমস্ত বায়না মিটিয়ে আমিও চলে গিয়েছিলাম একটু গয়নার দোকানে। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল কিছু গয়নার কালেকশন দেখবার ।কারণ পুজোতে আমি কোন জামা কাপড় কিছুই নেব না। সকলে জামা কাপড় কেনার টাকা দিয়েছে সেই টাকা দিয়ে ইচ্ছে আছে একটা গয়না নেওয়ার। তাই কাছাকাছি একটা জুয়েলারি দোকানে গিয়ে কিছু গয়নার কালেকশন দেখে গয়নার দাম জিজ্ঞাসা করে এসেছি। সময়মতো গিয়ে নিয়ে আসবো। যাই হোক ওখান থেকে আবার চারজন মিলে হাঁটা শুরু করেছিলাম। পুজোর সময় রাস্তাতে প্রচন্ড ভিড় থাকে। এমনকি সমস্ত দোকানে ভিড় থাকে।তাই রাস্তায় চলাচল একটু একটু সমস্যায় পড়তে হয়। এরপর চলে গিয়েছিলাম ছোট বোনের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখতে ।সেখানেও তার কোন জিনিস পছন্দ হলো না। যাই হোক এরপর বাইরে বেরিয়ে দেখি কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে।
ভেবেছিলাম বৃষ্টি হবে না ।জোর পায়ে হেঁটে বাড়ি চলে যাব। কিন্তু খানিকটা এগোতেই আরো ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আসলো। ভিজতে ভিজতেই গিয়ে একটা পেট্রোল পাম্পের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম ।কারণ বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় আকাশে মেঘ ছিল না । তাই হাতে করে ছাতা নিয়ে যাওয়া হয়নি। সারাদিন যা প্রচন্ড গরম করছিল। রাতে একটু বৃষ্টি দরকারও ছিল। কিন্তু এদিকে আমাকে বাড়িতে এসে কাজ করতে হবে। আমার একটু বেশি তারা ছিল। তাই ওখান থেকে ভিজতে ভিজতে আবার ও খানিকটা এসে একটা দোকানের নিচে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আবারো হালকা বৃষ্টি কমতেই ভিজতে ভিজতে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ি পৌঁছানোর পর দেখলাম বৃষ্টি একদম থেমে গেছে ।বাড়ি ফিরতে প্রায় রাত সাড়ে নটা বেজে গিয়েছিল। কাজের প্রচণ্ড তারা ছিল না হলে হয়তো ভিজে ভিজে আসতে হতো না।
তবে বৃষ্টিতে ভিজতে আমাদের সকলেরই ভীষণ ভালো লাগে। বৃষ্টির মধ্যে দোকানের নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ ভালো লাগছিল। কাজের মাঝেও বোনদের সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে। বোনদের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে নিলাম।
আজ এই পর্যন্তই ।আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।