দিদার কাছে থেকে শোনা গল্প
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই ভালো আছে। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের সাথে একটি অলৌকিক ঘটনা শেয়ার করছি। আপনাদের বিশ্বাস না হতে পারে।কিন্তু ঘটনাটি একদম সত্য ঘটনা। ঘটনাটি আমার জন্মের অনেক বছর আগের ঘটনা। আমাদের মামার বাড়ির সামনে একটি শিব মন্দির রয়েছে। অনেক পোস্টেই আপনাদের মাঝে এই মন্দিরের কথা শেয়ার করি। তবে মন্দিরে পুরো কাহিনী কখনো শেয়ার করা হয়নি। সেটা অন্য একটা পোস্টে শেয়ার করে নেব। প্রত্যেকটা মন্দিরকে ঘিরেই কিছু না কিছু কাহিনী থেকেই যায়। সেই মন্দিরেই ঘটে যাওয়া একটি গল্প আপনাদের মাঝে আজকে শেয়ার করব। আগেকার দিনে রাস্তাতে খুব একটা আলো ছিল না ।তখন বাড়িতে বাড়িতে ইলেকট্রিক লাইনের ব্যবস্থাও ছিল না। সময়টা তখন ১৯৯০ সাল নাগাদ হবে। গল্পটা আমার দিদার মুখ থেকে শোনা কথা। এই ঘটনাটা দিদার সাথেই ঘটেছিল।
তখন আমার ছোট মামা মাত্র এক বছরের কোলে। তখন দিদাদের মাটির ঘর ছিল। সেদিন ছিল প্রায় অনেকটা রাত। বলতে গেলে তখন প্রায় গভীর রাত। রাত্রি অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল দাদু তখনো কাজ থেকে বাড়ি ফেরেনি ।এদিকে দিদার আরেক জা আছে। উনার স্বামীও কাজ থেকে বাড়ি ফেরেনি। দাদু আর ওনার স্বামী দুই ভাই ছিল। তাই অত রাত্রি বেলা মাটির বাড়িতে বারান্দাতে ছোট মামাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে দিদা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল।মা,বড়ো মামা, মেজ মামা সকলে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছিল।শিব মন্দিরটি মামাদের বাড়ির সামনে । মামার বাড়ি মন্দিরের পাশে পড়ে। মন্দিরের পিছনে রয়েছে রাস্তা। আগেকার দিনে সামনে ছিল একটি বাগান । এখন অবশ্য সেখানে আর বাগান নেই। অত রাত্রি বেলা দিদাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দিদার জা এসে বলেছিল তুই ওখানে দাঁড়িয়ে আছিস। তোর ভাসুর ও এখনো বাড়ি ফেরেনি।তখন দিদার বড়ো জা ওনার ও ছোট ছেলেকে দিদার কোলে দিয়ে বলল তুই এখানে দাঁড়িয়ে থাক আমি ওদের দেখে আসি।
তখন ওনার বাচ্চা ছোট উনার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দিদা সেই মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে । দিদা পথ চেয়ে বসে থাকে স্বামী বাড়িতে আশায় অপেক্ষায়। ঠিক তখনই আমাদের শিব মন্দিরের চূড়া থেকে কেউ যেন বলে উঠেছিল "তুই রাস্তা থেকে সরে দাঁড়া"তুই যার জন্য অপেক্ষা করছিস সে একদম ঠিকঠাক রয়েছে। যাই হোক এই কথা শুনে দিদা আতকে উঠেছিল। খানিকক্ষণ ভয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে কাউকেই দেখতে পায়নি ।কিন্তু ওনার কথামতো দিদা সরে গিয়েছিল। অত রাত্রি বেলায় এই কথা শুনে দিদা এখন ভয় পেয়ে গিয়েছিল। আসলে ভয় পাওয়ার মতই বিষয়। এর ঠিক খানিকক্ষণ পরেই দাদু আর দাদুর দাদা দুজনে মিলে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরে এসেছিল। যখন ওরা সকলে বাড়ি ফিরে আসে সমস্ত ঘটনা ওদের খুলে বলেছিল ।তখন ওরাও ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিল।
অনেকে বলে আমাদের শিব ঠাকুর ভীষণ জাগ্রত। এই মন্দিরের সামনে রয়েছে দুটি বেল গাছ। সেই বেল গাছ থেকে ব্রহ্মদৈত্য রাতের বেলায় মহাদেবকে পুজো করার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করে।আর আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে রয়েছে নদীতে যাবার রাস্তা । ব্রহ্মদৈত্য নদী থেকে স্নান করে রাতের বেলায় বাবা মহাদেবের পূজা করে। এইরকম ঘটনার মুখোমুখি অনেকেই হয়েছে । সেই ঘটনা গুলি অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব। তবে ঘটনা গুলো একদম সত্য ঘটনা।
আজ এই পর্যন্তই। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Thank you 🙏