জন্মাষ্টমী
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজ শুভ জন্মাষ্টমী ।সকলকে শুভ জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার পোস্ট শুরু করছি। প্রত্যেক বছর ভাদ্র মাসে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। কিন্তু এ বছরে তিথি অনুযায়ী সময়টা একটু এগিয়ে এসেছে। আজ ৩০ শে শ্রাবণ ইংরেজি ১৬ ই আগস্ট শনিবারে জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে। জন্মাষ্টমী হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালনের উৎসব। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই পূর্ণ তিথি অনুযায়ী এই দিনটিতে সারাদেশে সনাতন ধর্মের মানুষ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালন করেন। পুরানে কথিত আছে, যখনই পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে যায়, সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই দুষ্টের দমন করার জন্য ঠিক তখনই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতার রূপে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন।
এই দিনটিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজা সহ আরো নানা ও আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়। বিশেষ করে এই দিনটিতে বৃন্দাবনে বিশেষ আয়োজন করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কাহিনী পড়ে জানা যায়, একদিন কংসের আদরের ছোট বোন দেবকী আর তার স্বামী বাসুদেব কে নিয়ে রথে চড়িয়ে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় দৈব বাণী অনুযায়ী শুনতে পায় কংসের ছোট বোন দেবকির অষ্টম সন্তান হবে কংসের মৃত্যুর কারণ। এই কথা শোনা মাত্রই কংস তার ছোট বোনকে হত্যা করতে গিয়েছিলেন ।কিন্তু তার স্বামী কংসের হাতে পায়ে চেপে ধরে বলেছিলেন তাদের দুজনকেই যেন কারাগারে আটকে রাখা হয়। আর তাদের যখনই সন্তান হবে তখনই সন্তান গুলোকে কংসের হাতে তুলে দেওয়া হবে। শিশু গুলোর জন্মের পর শিশু গুলোকে কংস নিজে হাতে হত্যা করবে। এইভাবে কংস নিজে প্রাণ সংশয় থেকে মুক্তি পাবে।
দেবকীর স্বামীর এই প্রস্তাব শুনে কংস রাজি হয়ে গিয়েছিল ।এরপর দেবকী আর বাসুদেবকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কারাগারের সামনে বেশ কড়া পাহারা রেখে ছিল। এরপর দেবকী আর বাসুদেবের ছয়টি সন্তানকে পরপর কংসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ছয়টি সন্তানকেই কংস নিজের হাতে হত্যা করেছিল। সপ্তম সন্তানটিকে হাতে নিয়ে হাসতে হাসতে শূন্যে ভেসে ছিলেন। তখনই কংস কে তার মৃত্যুর জন্য সাবধান হতে বলে ছিল। এরপর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির রাতে জন্ম নিয়েছিল দেবকী ও বাসুদেবের অষ্টম সন্তান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। এই প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির রাতে সেদিন কারাগারে কোন পাহারাদার ছিল না। কারাগারে দরোজা আপনা আপনি খুলে গিয়েছিল। এই সময় দেবকী স্বামী বাসুদেব ঝড়-ঝঞ্ঝা কে উপেক্ষা করে শ্রীকৃষ্ণকে গোকুলে মা যশোদার কাছে রেখে এসেছিলেন। এই থেকেই এই দিনটিতে খুব ধুমধাম সহকারে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন হিসাবে পালন করা হয়।
প্রত্যেক বছরের মত এ বছরেও ঈশা দের বাড়িতে ছিল জন্মাষ্টমীর পূজা। গতকাল রাত থেকেই দুজনে মিলে পূজোর সমস্ত আয়োজন এর ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু সকালবেলায় হঠাৎ শরীরটা ভালো না থাকার জন্য পুজোর কাজকর্ম করে উঠতে পারিনি। কিন্তু পুজো শুরু হওয়ার সময় গিয়েছিলাম পুজো দেখার জন্য। ঈশা সমস্ত কিছু নিজের হাতে আয়োজন করেছিল। এমনকি পুজোটা ও নিজেই করেছিল ।গোপালকে স্নান করানো থেকে শুরু করে সমস্ত আয়োজন। খুব ভালো ভাবে পূজা সম্পন্ন হওয়ার পর আবার বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। আজকে জন্মাষ্টমীর সুন্দর মূহুর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
আজ এই পর্যন্তই। আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।