সারপ্রাইজ প্ল্যান

in Incredible India16 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।

IMG_20250705_185607.jpg

আজ ৫ ই জুলাই শনিবার। আজকে আমার মেজ বোনের মেয়ের জন্মদিন। বোনের মেয়ে আমাদের সকলেরই ভীষণ আদরের। চার বোনের ও একটা মাত্রই আদরের মেয়ে। ছোট থেকেই আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি। এ বছরে ও জন্মদিনটা আমার মায়ের বাড়ি অর্থাৎ বাপের বাড়িতে পালন করার কথা হয়েছিল। প্রথম থেকে মা বোন আমাকে সকলে বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমি প্রথম থেকে একদমই যেতে রাজি হয়নি। কারণ এত দূর জার্নি করে যেতে আমার একদম ইচ্ছে করে না। ওদের বাড়িতে বোনের জা, ননদ কেউ বোনের মেয়ের জন্মদিন নিয়ে গুরুত্ব দেয় না ।তাই প্রত্যেক বছরই বোন খুবই কষ্ট হয়। তাই এ বছরে আমরা বলেছিলাম বাপের বাড়িতে এসে জন্মদিন পালন করার জন্য। ওরা রীতিমতো তিনজনে সকাল সকাল বাপের বাড়িতে এসে পৌঁছে গিয়েছিল।

IMG20250705143350.jpg

আমাকে বেশ কিছুদিন ধরে আসার জন্য অনুরোধ করছিল। কিন্তু প্রত্যেকবারই আমি না না করে গিয়েছি। হঠাৎ করে আজকে সকাল বেলায় মনে হল ওদেরকে গিয়ে আমি সারপ্রাইজ দেব। তাই বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম সকাল সকাল সেরে নিয়েছিলাম। দুপুর বারোটার পর একা একাই বেরিয়ে পড়েছিলাম বাপের বাড়ি আসবো বলে। আমি একাই সব প্ল্যান করেছিলাম।দিদাকে পর্যন্ত বলিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে একটা কেকের দোকানে চলে গিয়েছিলাম।সেখান থেকে কেক কিনে নিয়েছিলাম পছন্দ মত। তখন সবে মাত্র কেকের দোকান খুলেছিল।এরপর চলে গিয়েছিলাম বোনের মেয়ের জন্য একটা গিফট কিনব বলে। একা একা রাস্তায় যাতায়াত করা অভ্যেস একদমই নেই। আর আমার ভালো লাগেনা। তবে আজকের ওয়েদার টা ভীষণ ভালো ছিল ।একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল ।তাই বেরিয়ে পড়েছিলাম। সব মেয়েরাই বাপের বাড়ির কথা শুনলে ভীষণ আনন্দ পায়। আমিও মায়ের অনুরোধ ফেলতে পারিনি। আবারো অনেকদিন পর চার বোনে একসাথে অনেক মজা করব ।সেই আনন্দে আমার যাওয়া।

IMG20250705122338.jpg

কৃষ্ণনগর থেকে একা একাই সমস্ত জিনিসপত্র কিনে নিয়েছিলাম ।কেনার পর বাসে উঠে পড়েছিলাম বাপের বাড়ি আসবো বলে। কৃষ্ণনগর থেকে আমার বাপের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। সেখান থেকে নেমেও প্রায় দু কিলোমিটার ভিতরে আসতে হয়। রাস্তা দিয়ে আসার সময় দেখছিলাম কত বাড়িঘর প্রায় জলে ডুবে গিয়েছে ।এমনকি বাড়ির সামনে প্রচুর জল জমে রয়েছে। বাসে করে আসার সময় মনে মনে ভাবছিলাম আমরা জানালায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করি। ঠিক তেমনি অন্য মানুষের পক্ষে বৃষ্টি খুবই দুঃখের।অনেক দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে হয়।যাই হোক এরপর বেলা আড়াইটে নাগাদ বাপের বাড়ির কাছে পৌঁছেছিলাম ।ওখান থেকে আবার টোটো ধরে অনেকটা রাস্তা। আস্তে আস্তে মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো দুপুরের খাবার সকলেরই খাওয়া হয়ে যাবে।

প্রথমে এসে আমাকে দেখে সকলে চেঁচিয়ে উঠেছিল।তবে আমাকে দেখে বাড়ির সকলে সত্যিই সারপ্রাইজ হয়েছিল। আমাকে দেখে সকলে ভীষণ খুশি হয়েছিল। আমিও সকলকে সারপ্রাইজ দিতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। বোনের মেয়ে বড়ো মাসিকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিল। আমি এসে নিজের হাতে সমস্ত কিছু আয়োজন করেছিলাম।অন্য পোস্টে শেয়ার করে নেব।


আজ এই পর্যন্তই। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Sort:  
Loading...

Thank you for sharing quality content on Steemit.
You have been supported by the Team 04:

Captura de pantalla 2025-06-30 202646.png

Curated by: @fantvwiki

 16 days ago 

Thank you 🙏