দার্জিলিং এ প্রথম দিন ঘোরাঘুরি
নমস্কার বন্ধুরা ,সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলের ভালো লাগবে।
আপনাদের মাঝে বেড়াতে এসে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর মুহূর্তটুকু শেয়ার করে নিয়েছিলাম। আজকে এর পরের মুহূর্তটুকু আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।মানে প্রথম দিনের একটু ঘোরাঘুরি মুহূর্ত ।যেদিন আমরা পৌঁছেছিলাম সেদিন ছিল রবিবার। সেদিন সকলেই ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম। তাই সেদিন বেশিদূর যাবার কোন সুযোগ পাইনি। আমাদের পৌঁছাতে প্রায় দুপুর গড়িয়ে গিয়ে ছিল। বিকেলে সকলে রেডি হয়ে যেতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে যাবে।পাহাড়ি এলাকায় সন্ধ্যায় কোথাও না যাওয়ায় ভালো। তাই কাছে পিঠে কোথাও ঘোরাঘুরি করবার জন্য সকলে ঠিক করেছিলাম ।সকলে মিলে পায়ে হেঁটে ঘোরাঘুরি করব। আমি প্রথমেই বলেছি আপনাদের আমরা অনেকে মিলে গিয়েছিলাম। সেদিন দুপুরবেলায় খাওয়া- দাওয়া করার পর সকলেরই বিশ্রাম নিতে নিতে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে গিয়েছিল। এরপর হুটো পাঠা করে একজোট হয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েছিলাম কাছের মার্কেট গুলোতে। ঘোরার জন্য প্রথমেই শুনেছিলাম দার্জিলিঙে নাকি শীতের জিনিসপত্রের দাম কম ।তাই গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করব বলে।
কেনাকাটা করতে বেরিয়ে যে যার মত হারিয়ে গিয়েছিলাম ।কারণ যে যার বাড়ি লোকেদের জন্য জিনিস কেনাকাটা করবে তাই সকলেই আলাদা হয়ে গেছে। আমরা মার্কেটের মধ্যে দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে প্রায় অনেকটা পথ চলে গিয়েছিলাম। সব জায়গাতেই যেতে হলে উঁচু পাহাড়ের মত রাস্তা দিয়ে উঠতে হয়। তাই ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। আমাদের হোটেল থেকে মার্কেট পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ।কষ্ট হলেও ঘোরার জন্য এসেছিলাম ।তাই একটু ঘোরাঘুরি করেছিলাম। আমরা হাঁটতে হাঁটতে প্রায় অনেক দূরে মার্কেটে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে জিনিসপত্রের দাম প্রচন্ড। ওরা যে দামটা বলছে সেটা দিয়েই নিতে হবে। নয়তো দেবে না বলছিল। বেশ কিছু জিনিস পছন্দ হয়েছিল ।দাম শুনে নেওয়া হয়নি। কারণ আমাদের কৃষ্ণনগরেও একই দাম। ওত দূর থেকে টেনে নিয়ে যাওয়ার থেকে কৃষ্ণনগর থেকে কিনে নেওয়া ভালো। তাই বিশেষ কিছু নেওয়া হয়নি।
কিন্তু আমাদের সাথে যারা গিয়েছিল তারা প্রচুর জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছিল ।এর পরে সকলকে খুঁজতে খুঁজতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। শেষে সকলের মধ্যেই রাগারাগি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া কোথাও গেলে ছবি তোলার ফ্যাশনটা মানুষের লেগেই রয়েছে। তাই ছবি তুলতে গিয়ে খানিকটা সময় কেটে যায়। তবে শহরের চারিদিকে ঘুরে লম্বা মার্কেটে ঘুরে নতুন নতুন প্রচুর জিনিস চোখে পড়েছে। মার্কেটে বিক্রি হওয়া সমস্ত নিত্য নতুন জিনিসের গুলো চোখে পড়ছিল। যেমন আমাদের এখানে সবজি যেমন বিক্রি হয়। ওখানে বিভিন্ন রকমের নতুন নতুন ধরনের সবজি সেগুলো হয়তো নামও জানি না ।এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফুল বিক্রি হচ্ছিল।
পুরো মার্কেট টা ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালোই লাগছিল কিন্তু উঠার সময় যতটা কষ্ট হচ্ছিল যে মনে হচ্ছিল নেমে হোটেলে ফিরে যায়। সেদিন মার্কেটে ভালোই ভিড় ছিল। ওখানকার স্থানীয় মানুষজন মার্কেট করতে ব্যস্ত। এ ছাড়া বিকেল বেলায় যে যার মত একটু ঘুরতে বেরিয়েছে। ওখানে মানুষ যেন সময় কাটানোর জন্য বেশ ভালো ভালো জায়গা রয়েছে। সেখানে সকলে বসে যে যার মত করে সময় কাটাচ্ছিল ।প্রত্যেকদিন হয়তো এই ভাবেই তাড়া তাদের জীবন যাপন করে। তবে ওদের জীবনের মুহূর্তগুলো থেকে ভীষণ ভালো লাগছিল। এরপর যে যার মত একটু খাওয়া -দাওয়া করে নিয়েছিলাম। দার্জিলিংয়ের মোমো খেতে ভীষণ ভালো ।তাই আমিও রাতের বেলায় একটু মোমো খেয়ে নিয়েছিলাম ।এরপর যে যার মত আবারও নিজেদের হোটেলে ফিরে এসেছিলাম। হোটেল থেকে রাতে দার্জিলিং শহরটাকে দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগছে। দার্জিলিং শহরটিকে দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছিল। পাহাড়ের ধাপে ধাপে ছোট ছোট বাড়িগুলো রাতের বেলাতে লাইটের আলোয় কি অপূর্ব লাগছিল।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবারো নতুন কোন মুহূর্ত নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।