জন্মদিনের কেক কাটার মুহূর্ত
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আমরা চার বোন সাথে বোনের মেয়ে
কয়েকদিন আগের পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছিলাম বোনের মেয়ের জন্মদিনের দুপুর বেলা। এর মাঝেই অন্যান্য পোস্ট দিতে শুরু করেছিলাম। তাই জন্মদিনের রাতের বেলায় পোস্টটা আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। তাই আজকে জন্মদিনের রাতের বেলার পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। সেদিন দুপুরবেলায় সমস্ত খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন শেষ করতে করতে বিকেল পাঁচটা বেজে গিয়েছিল। এরমধ্যেই মা ভীষণ বকাবকি করতে শুরু করেছিল। কারন আমরা চারজন এক জায়গায় হয়ে আমাদের গল্প যেন শেষ হচ্ছিল না। দুপুরের সমস্ত কাজকর্ম মা একা হাতে সেরে নিয়েছিল।এর মধ্যে শুরু হয়েছিল বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। এদিকে গ্রামের ছেলে মেয়েরা বেশিরভাগ সন্ধ্যা বেলাতে ঘুমিয়ে পড়ে। তাই মা বলেছিল সন্ধ্যা বেলাতে কেকটা যেন আমরা কেটে ফেলি।
কিন্তু ওই যে বলে এক জায়গায় সকলে একত্রিত হলে কোন কাজ সময় মত হয় না। সন্ধ্যার সময় কে কি পোশাক পড়বে, সেই নিয়ে আলোচনা করতে করতেই অলরেডি ৭টা বেজে গিয়েছিল। এদিকে বেলুন ফোলাতে হবে তাই সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এরপর বেলুন ফোলানো হলে ছোট্ট করে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। তবে বাচ্চাগুলো বারবার আসছে আর জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে কখন কেক কাটা হবে। ওরাও বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। তবে কোথাও যেন ওদের ভীষণ আনন্দ হচ্ছিল ।তাই সেদিন ঘুম বাদ দিয়ে আমাদের বাড়িতেই সারাক্ষণ বসেছিল। আবারো কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়েছিল। জন্মদিনের মাঝে আমাকে নতুন মানুষ দেখে সকলেরই কৌতুহল এর শেষ ছিল না। আমাকে গ্ৰামের ছোট থেকে বড় কেউ সেভাবে চেনে না।তবে আমাদের ওখানে সমস্ত বাচ্চাদের শুধুমাত্র তার মায়েরা পায়েস রান্না করে দেয়। কিংবা কারো হয়তো মনেই থাকে না। আমাদের বাড়িতে এই ছোট্ট ডেকোরেশন দেখে ওরাও যেন ভীষণ খুশি হয়েছিল। আমি না গেলে এই সব কিছুই হতো না। আমার বোনেদের ও কখনো সেভাবে জন্মদিন পালন করা হয়নি। বাচ্চাদের সাথে বোনেরা ও খুশি হয়েছিল।
বাচ্চা গুলোর মুখে হাসি দেখে আমারও ভীষণ ভালো লাগছিল ।এরপর রাত আটটার সময় আমরা সকলে রেডি হয়ে নিয়েছিলাম ।কারণ বাচ্চাগুলো আর একদমই ধৈর্য ধরতে পারছিল না। এরপর বোনের মেয়ে সে তো আনন্দে আত্মহারা নিজে নিজেই সেজে গুজে কেক কাটার জন্য অধৈর্য হয়ে গিয়েছিল। এরপর সকলে মিলে একটু ছবি তুলে নিয়েছিলাম। মেজ বোন বারবার বলছিল পরের বছর আবার কখন কোথায় কে থাকবো এর কোন ঠিক নেই। তাই এই ছবিগুলোই আমাদের স্মৃতি হয়ে থাকবে। এ কথা সত্য ।কখন কোন মানুষের কি হয় বলা যায় না। তাই এই স্মৃতি টুকুনি নিয়েই আমাদের সারা জীবন কাটিয়ে দিতে হয়। এরপর কেক কাটা হয়ে গেলে সকলকে কেক কেটে কেটে দেওয়া হয়েছিল। কেকটা সকলেরই ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু ভাগে খুব অল্প করে পড়েছিল। আমার একদমই জানা ছিল না যে মা পাড়ার বাচ্চাদের নিমন্তন্ন করেছে। আমি খুব ছোট্ট দেখে একটা কেক নিয়ে গিয়েছিলাম ।যাতে আমাদের বাড়ির সকলে মিলে খাব বলে।
তবে সকলের সামনে ভীষণ লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম। যখন রাতের বেলায় সকলকেই কেক দেওয়া হচ্ছিল মা রাতে কেকের সাথে পায়েস, মিষ্টি সকলকে দিয়েছিল। তবে বাচ্চারা সকলে বেলুন নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই মা বেলুন গুলো সাথে সাথে তাদের খুলে দিয়েছিল। আবারো সকলে মিলে রাতের বেলায় খুব আনন্দ সহকারে খেয়ে নিয়েছিলাম । এই ছিল আমাদের রাতের বেলায় ছোট্ট কেক কাটার আয়োজন ।
আজ এখানেই শেষ করছি ।আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল।
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Looking so beautiful happy birthday 🎈🎂
Thank you 😊