মায়ের জন্মদিন

in Incredible India19 hours ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেই ভালো লাগবে।

IMG-20250909-WA0034.jpg

"মা"শব্দটা খুবই ছোট। কিন্তু এই শব্দটার গভীরতা মনের ভেতর সব টুকু জুড়ে থাকে। আপনারা প্রতি দিন যারা আমার পোস্ট করে থাকেন তারা সকলেই জেনে থাকবেন আমি ছোট থেকে মামা দিদাদের কাছে মানুষ হয়েছি। তাই ছোট থেকেই মায়ের সাথে সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। ছোট থেকে সেভাবে মাকে কখনোই কাছে পাইনি। মায়ের ভালোবাসা সেভাবে পাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি ।কারণ আমার পরে আমার আর দুটো ছোট ছোট বোন ছিল। তাদের নিয়ে মা ব্যস্ত থাকত। ছোটবেলায় মায়ের আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েও কিন্তু বড় হয়ে মায়ের প্রতি আলাদা একটা টান তৈরি হয়েছে। ছোটবেলায় দিদা কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। দিদা আমার মা হয়ে উঠেছিল । এখনো আমি দিদাকে ভীষণ ভালোবাসি সম্মান করি স্নেহ করি। দিদার ভালোবাসা হয়তো আমি মায়ের সাথে তুলনা করতে পারব না। কারণ দুজনেই আমার জীবনে গুরুজন মানুষ। তবে একটু দিদাকে আমি বেশি ভালোবাসি।

IMG-20250909-WA0035.jpg

কিন্তু কথাই বলে রক্তের টান। মনের ভিতর কোথাও যেন একটা না পাওয়ার অভাব লুকিয়ে থাকত। কিন্তু বড় হওয়ার পর মাকে কাছে পাওয়ার থেকেও মায়ের সাংসারিক অভাব গুলো ভীষণ চোখে পড়ত। সব সময় মনে হতো মাকে খুশি করার জন্য নিজেকে কিছু করার। সেভাবে কোন কাজ করার চেষ্টা আমি কোনদিনই করিনি। মাকে ছোটবেলাতে যতটা না কাছে পেতে ইচ্ছে করত ।কিন্তু এখন ভীষণ ইচ্ছে করে মাকে কাছে পাওয়ার। কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না। তাই সেই অভাব পূরণ করার জন্য আমি এখনো দিদার কাছে ছুটে আসি। যেকোনো ছোটখাটো আনন্দ মাকে দিতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজকে ছিলো একটা শুভ দিন। আমার মায়ের জন্মদিন। প্রত্যেক বছর মাকে কাছে পাই না। কিন্তু দূর থেকে মায়ের জন্য বোনেদের বলি মায়ের জন্য ছোট্ট একটু আয়োজন করার। আমার সব সময় যাওয়া হয়ে ওঠে না।

আগেকার দিনে মেয়েরা বিয়ের আগে কিংবা বিয়ের পরে কোনরকম কোন সম্মান পেতো না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন সবকিছুই পাল্টে গেছে। আমি যখনই সুযোগ পাই তখনই মায়ের জন্য কিছু না কিছু করবার চেষ্টা করি ।যখনই শুনলাম মা আসবে মামার বাড়িতে। তখনই দিদাকে আগে থেকেই বলে রেখেছিলাম মায়ের জন্য ছোট করে জন্মদিনের আয়োজন করতে। আজকে সকাল থেকেই মায়ের জন্য ছোট্ট আয়োজন করা শুরু হয়েছিল। ঘরোয়া ভাবেই ছোট্ট আয়োজন দেখে মা ভীষণ খুশি হয়েছিল। কোথাও যেন মায়ের আবেগ থেকে চোখে জল বেরিয়ে এসেছিল। আসলে এইসব জিনিসগুলো আমার মা কোনদিনই পাইনি। হয়তো এটা আমার তরফ থেকেই মা পায়। আজকের সমস্তটা আমি নিজের দায়িত্বে করেছিলাম।

আর কোন বোনদের কোন আগ্রহ দেখিনা মাকে খুশি করবার। ছোট থেকেই মামাদের সাথে থেকে থেকে বড় হয়েছে । আমাদের সঠিক শিক্ষাটা সবসময় গ্রহণ করেছি।তাই আমি হয়তো তাদের মতো হওয়ারই চেষ্টা করি। আমরা সকলে মিলে দুপুরে ছোট্ট আয়োজন করেছিলাম। দিদা ধান ,দূর্বা দিয়ে মাকে আশীর্বাদ করল। ইচ্ছে ছিল মায়ের জন্য সন্ধ্যা বেলায় কেক কাটার আয়োজন করব ।কিন্তু মা রাগ করছিল। তাই আর কেক আনা হয়নি। বাঙ্গালীদের শুধুমাত্র পায়েস রান্না করে দিলেই জন্মদিন পালন করা হয়। কিন্তু এখনকার দিনে সমস্ত কিছুতেই কেক কেটে সেলিব্রেশন করা হয়।আমরা সকলে ছোট্ট আয়োজন করতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছি। আমি চাই আমার মা সারা জীবন এইরকম হাসিখুশি ভাবে দিন কাটিয়ে দিক। হয়তো ছোটবেলায় মাকে কাছে পাইনি। কিন্তু বড় হবার পর যতটুকু পারবো মাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করব।


আজ এইখানেই শেষ করছি ।আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল ।সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Sort:  

TEAM - 01


Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.

Curated by: abdul-rakib

Loading...