অপরাজিতা ফুলের ফটোগ্রাফি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে আমার কিছু পরিচিতি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় রংবেরঙের ফুল ফুটতে আমরা দেখি। ফুলের থেকে সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কিছু হতেই পারে না। আমার মত হয়তো পৃথিবীর সকল মানুষ ফুল পছন্দ করে। ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। আমি ছোট থেকে বাড়িতে বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ কিংবা ফলের গাছ মানে সব ধরনের গাছ লাগাতে পছন্দ করতাম। কিন্তু মামার বাড়িতে জায়গার অভাবে সবসময় ছাদে গাছ লাগাতে হতো। তবুও কিছু পছন্দের গাছ লাগাতাম। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ রয়েছে। এর আগে বেশ কিছু ফুলের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে প্রথমে কিছু অপরাজিতা ফুলের ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমরা সাধারণত নীল ,সাদা অপরাজিতা দেখে অভ্যস্ত। সাধারণ মানুষের বাড়িতে এই দুই ধরনেরই অপরাজিতা ফুল ফুটতে দেখা যায়। ছোট থেকে আমরা এটাই দেখে এসেছি।
অপরাজিতা ফুলকে আবার অনেকে নীলকন্ঠ ফুল নামে ও চেনে । আমরা সাধারণত অপরাজিতা ফুল শিব পূজার জন্য ব্যবহার করি। এছাড়া অনেকে নীলকন্ঠ ফুল দিয়ে চা তৈরি করে খান। তবে কিভাবে খাই এটা আমার একদমই জানা নেই। নীলকন্ঠ গাছ লতানো প্রকৃতির গাছ হয়। কান্ডটা খুবই নরম একটু টান লাগলেই অনেক সময় ফুল তুলতে গিয়ে গাছের ডাল ছিড়ে চলে আসে। তবে বেশ কিছু বছর হলো আমার ছোট মামা কোথাও থেকে অপরাজিতা ফুলের বেগুনি রঙের ফুলের বীজ এনেছিল। এই ফুলের বীজ লাগাতেই আমাদের বাড়িতে কিছু দিন পর বেগুনি রঙের অপরাজিতা ফুল ফুটতো। অপরাজিতা ফুল সারা বছরই কমবেশি ফোটে ।তবে বর্ষার সময় বেশি পরিমাণে অপরাজিতা ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে বেগুনি অর্থাৎ কচুরিপানা ফুলের রঙের, সাদা আর নীল এ তিনটে রং ছাড়া আমি অন্য কোন রঙের অপরাজিতা করি দেখিনি। এখনকার দিনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সব জিনিসই করা সম্ভব। আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেকেরই বাড়িতে বিভিন্ন রকমের ফুল গাছ রয়েছে। আমাদের পাশের বাড়িতে মানে ওরা আমাদের আত্মীয় হয় ।তাদের বাড়িতে বেশ রং বেরঙের বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগাই। ফুল গাছের খুব যত্ন করে।
বেশ কিছুদিন আগে দেখছিলাম শশুর বাড়ির কাছে ওই পাশের বাড়ির দিদি টা ফোনে বিভিন্ন রকমের ফুলের ছবি স্ট্যাটাস দিচ্ছিল।হঠাৎ করেই আমার রঙিন অপরাজিতা ফুলগুলো চোখে পড়ল। এছাড়া আরো অন্যান্য ধরনের ও ফুল ছিল। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম ওই ফুলগুলো ওদের বাড়িতে হয়েছে কিনা তখন ওরা বলল হ্যাঁ ওদের বাড়িতে ফুল গাছগুলো লাগানো হয়েছে। এমনকি প্রত্যেকটি গাছে রং বেরঙের ফুল ফুটে রয়েছে। ফুলগুলো দেখতে সুন্দর লাগছে। তাই রঙিন তিনটে অপরাজিতা ফুলের ছবি আমি উনার কাছ থেকে চেয়েছিলাম। তাই সেই ছবিগুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এ বছরে একবারও এখনো শ্বশুর বাড়ি যেতে পারিনি না হলে হয়তো নিজেই গিয়ে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো করতাম।
এখনকার দিনে নার্সারিতে গেলে প্রায় সব ধরনেরই ফুল গাছ পাওয়া যায়। আমি বহুবার নার্সারিতে গিয়েছি। তবে কখনোই এইরকম ফুল গাছ আমার চোখে পড়ে না। হয়তো আমি অপরাজিতা ফুলের খোঁজ করিনি। তাই আমার চোখে পড়েনি। এরকম ধরনের অপরাজিতা ফুলের রং হতে পারে তা আমার একদমই জানা ছিল না। আমার কাছে একদমই নতুন।যাই হোক এবারে ওই সমস্ত ফুলের বীজ সংগ্রহ করে আমিও বাড়িতে সুন্দর করে অপরাজিতা ফুল গাছগুলো লাগাবো।
আজ এই পর্যন্তই। আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল।