Incredible India monthly contest of May #1| How do we control the loneliness of our parents?

in Incredible Indialast month

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি। এখনকার দিনে এই কনটেস্টের বিষয়বস্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ মা-বাবাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিভাবে তারা সন্তানের জন্য আকুল হয়ে ওঠে প্রায়শই দেখা যায়। আজকে নিজের চোখে দেখা কিছু মা বাবার একাকীত্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। চলুন নিজের মতো করে প্রশ্নগুলি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি।

IMG_20250515_192916.jpg

Do you hold the view that, over time, parents develop a longing for the presence of their children? Please elaborate.

একটা সন্তান পৃথিবীতে আসার পর প্রত্যেক মা-বাবা তাদের সর্বস্ব দিয়ে সন্তানকে লালন পালন করে। ছোট থেকে তার সমস্ত চাওয়া পাওয়া পূরণ করেন ।তবে সন্তানের পিছনে বেশিরভাগ সময়টা মা দিয়ে থাকেন। মায়েদের সমস্ত শখ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে সন্তানের পিছনে সর্বস্ব দিয়ে পরিশ্রম করে। সন্তানকে ঘিরে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন থাকে। সন্তান বড় হয়ে বড় চাকরি করবে কিংবা ভালো মনের মানুষ হয়ে ভালো কাজ করবে ।এটা প্রত্যেক বাবা মায়ের একটা স্বপ্ন থাকে। তাদের সন্তান বিদেশে পড়তে যাবে বড় চাকরি করবে বাবা মায়ের নাম উজ্জ্বল করবে ।এটাই সর্বদা প্রত্যেক বাবা-মা চেয়ে থাকেন। কিন্তু একটা বয়সে পর এসে সন্তান যখন বিদেশে চাকরি পেয়ে চলে যায় কিংবা বিবাহ করে বিদেশে সংসার পাতে। ঠিক তখনই মা-বাবা সন্তানের অভাব বুঝতে পারেন। তখন তাদের উপস্থিতির জন্য আকুল হয়ে ওঠে। তাদের সারা জীবনের পরিশ্রম দিয়ে সন্তানকে বড় করে তোলার পর সে মা-বাবাকে ছেড়ে যখন আলাদা থাকে তখন প্রত্যেক বাবা-মায়ের বুকের ভিতর হা হা করে।

এইরকম ঘটনা চারিদিকে শোনা যায়। একটা বয়সের পর নিজের সন্তান যখন বাবা-মাকে সময় দিতে পারে না তখন বাবা-মায়ের ভিতরটা আকুল হয়ে তো উঠবেই। তাদের সমস্ত পরিশ্রমের উপার্জন দিয়ে তাদের যখন বড় করে তোলে কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে যদি সন্তানকে পাশে না পায়। তাদের দুঃখ কষ্টের সঙ্গী যদি না হয়ে ওঠে তাহলে তাদের মধ্যে সবসময় আকুল হয়ে উঠবে। কোন সন্তান যদি বিদেশে কাজ করে তার ফেরার কথা শুনলে কখন তার সন্তানকে মা-বাবার কাছে পাবে তার জন্য অনেক বাবা মা অধীর আগ্রহে বসে থাকে। আমি ছোট থেকে মামার বাড়িতে বড় হয়ে উঠেছি। ছোট থেকে দিদাকে দেখেছি মামাদের পিছনে প্রচুর পরিশ্রম করতে। কিন্তু সেই সন্তানরা যদি মা কে কটু কথা বলে কিংবা কষ্ট দেয় তার মায়ের যে কতটা কষ্ট হয় সেটা অনুভব না করলে বোঝা যায়।

মামারা যদি কাজ থেকে আসতে একটু দেরি করে দিদা অধীর আগ্রহে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন ।মায়েরা সবসময় মনে পড়ে তার সন্তান তার কাছে ছোট। তাই যতদিন পর্যন্ত পারে ততদিন সন্তানকে আগলে রাখার চেষ্টা করে। সন্তানদের একটা বয়সের পর তাদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়, তাদেরও সন্তান হয় তখন মায়েদের প্রতি দায়বদ্ধতা একটু কমেই যায়। তখন সেইসব সন্তানরা নিজেদের পরিবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় মা কি করছে? কি খাচ্ছে? খোঁজ নিতেই ভুলে যাই। এমনও অনেক সন্তান রয়েছে আমি নিজের চোখে দেখেছি বয়স্ক বাবা-মা কে খেতে দেওয়ার জন্য দুটো ভাত দেয় না। কিন্তু সেই বাবা মা অফুরন্ত পরিশ্রম দিয়ে তার রক্ত জল করা পয়সা দিয়ে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলেছিল।

কিন্তু বাবা আজও পেনশন পায় সংসারে টাকা দিলে ও সেই বাবা মায়ের জন্য কটা ভাত দেওয়ার ক্ষমতা হয় না । আমাদের আসে পাশে এই রকম বহু মা-বাবা রয়েছেন। যারা বৃদ্ধ বয়সে অবহেলিত হয়ে বেঁচে আছে।সেই বাবা মায়ের ভাত আসে হোম ডেলিভারিতে। এই রকম ঘটনা যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে। আমাদের পাড়াতে প্রচুর রয়েছে। অবহেলা সহ্য করতে করতে অনেকে মারা গেছেন।এমন কিছু সন্তান দেখেছি তারা বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবাকে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহার করে নিজের কাছে রেখে দেয়। অবশেষে তারা মানসিক রোগী হয়ে বেঁচে থাকে। এইরকম একটা ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। বাবা মায়ের দুটো মাত্র মেয়ে ।দুজনেরই বিয়ে দিয়ে দিয়েছে চাকুরিওয়ালা পরিবারে। এমনকি নিজেরাও চাকুরি জীবি।তাদেরও একটা করে সন্তান রয়েছে। কিন্তু তারা হয়তো এক জায়গায় চাকরি করে আর তাদের মেয়েকে পড়তে পাঠাবে বিদেশে। সেখানে লোক রাখলে প্রচুর খরচ তাই মা-বাবাকে অনেক সময় বাধ্য করে তাদের সন্তানের কাছে গিয়ে থাকতে। তারা নিজের বাড়ি ঘর ছেড়ে একদমই যেতে চান না। কারণ তারা বদ্ধ পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবে না।তবুও তাদের ব্ল্যাকমেল করে পাঠানো হয় অবশেষে যখন তার সন্তানের পড়া শেষ হয়ে যায়। তখন তারা নিজের বাড়িতে এসে মানসিক রোগীতে পরিণত হয়। এইরকম ঘটনা তো সাক্ষী আমি নিজে হয়েছি। কিছু আগে বৃদ্ধ বয়স্ক লোকটি মারা গেছেন।

IMG20241111140729.jpg

How do we control the loneliness of our parents?

সমস্ত সন্তানদের মা-বাবাকে সময় দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। মা-বাবার থেকে এই পৃথিবীতে শুভাকাঙ্ক্ষী আর কেউ হতে পারে না। সমস্ত সন্তানদের মা-বাবাকে বৃদ্ধ বয়সে ভালো রাখার দায়িত্ব নেওয়া দরকার। তারা কোনটা করতে ভালোবাসে। কি খেতে ভালোবাসে। তবে তাদের শারীরিক অসুস্থতা দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার দরকার। যেসব সন্তান তার দূরে থাকে তারা প্রত্যেক দিন মা-বাবাকে নিয়ে একবার হলেও ফোন করে খোঁজ নেওয়া। সন্তানের একটা ফোন পেলেই মা-বাবা মন এমনিই ভালো হয়ে যায়।

এখনকার দিনে প্রত্যেক মা-বাবার একটা খুব জোর দুটো করে সন্তান থাকে। আর সেই সন্তানরা বড় হয়ে নিজের দেশকে ছেড়ে সব সময় বিদেশে কাজের সূত্রে থাকেন। অনেক সন্তান যদি নিজের দেশেই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। তাহলে তারা তো খুব সহজেই তার মা বাবার একাকীত্ব দূর করতে পারবেন। উন্নত প্রযুক্তির যুগে এখন সকলের হাতে স্মার্টফোন তাই বেশিরভাগ সময়টাই মানুষের ফোন দেখেই কেটে যায়। আশেপাশের প্রতিবেশীর সাথে বসে অনেকটা সময় তাদের কেটে যায়। এছাড়াও যারা দূরে থাকেন ছুটি পেলেই মা-বাবার কাজে আসলে মা বাবার মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। অনেকে আবার টিভি দেখে সময় কাটান ।আমার বাড়িতে যেমন আমার শ্বশুরমশাই চাকরি থেকে রিটায়ার হয়ে গেছে ওনারও বাড়িতে একদমই সময় কাটতে চায় না।

গ্রামের বাড়িতে থাকলে সকলের সাথে গল্প করে ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটাতেন ।কিন্তু শহরের বেড়াজালে তার একদমই সময় কাটে না। তাই সময় কাটানোর জন্য আবারো অফিসে জয়েন করেছেন। উনি কৃষ্ণনগর থেকেই অফিসে যাতায়াত করে থাকেন ।ছুটির দিনে বাড়িতে খবরের কাগজ পড়ে সময় কাটান। এছাড়াও ওনার একাকিত্বের সঙ্গী আমি অনেকটা হই ।কারণ যখন উনি একা থাকেন গল্পে গল্পে উনার সময় আমি কাটিয়ে দিই। শাশুড়ি মা টিভি দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন তাই উনি টিভি দেখেই সময় কাটিয়ে ফেলেন। আমরা দুজনেই উনাদের প্রচুর সময় দিয়। আমার বর শুধুমাত্র মা-বাবাকে ছেড়ে যাবে না বলে দূরে কোন চাকরি করেনি।

IMG_20250515_193025.jpg

What are the main reasons behind the loneliness of parents?

আমার তো মনে হয় বাবা-মায়ের একাকিত্বের পিছনে অনেক সময় সন্তানরাই দায়ী হয়। কারণ বেশিরভাগ সন্তানরা বড় হয়ে তার বাবা-মায়ের কোন কিছুই পূরণ করতে চাই না। বাবা মায়ের যত বয়স বাড়ে তখন তারা ছোট বাচ্চাদের মতো আচরণ করে। বয়স্ক বাবা-মা তারা সবসময়ই নাতি নাতনিদের পেলেও তাদের অনেকটা সময় কাটে। কিন্তু এখনকার যুগে নাতি-নাতনিরা ও ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই দাদু ঠাকুমাকে সময় দেওয়ার মতো সময় তাদের কাছে থাকে না।বৃদ্ধ বয়সে অনেক বাবাকেই দেখা যায় বিকেল হলেই চায়ের দোকান কিংবা কোন বৈঠকখানা, লাইব্রেরীতে গিয়ে সময় কাটাতে। বাড়ির মায়েদের দেখা যায় সৎসঙ্গ কিংবা কোন আশ্রমে সাথে যুক্ত, এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিকের সাথে কাজের সাথে যুক্ত হয়ে তারা তাদের সময় কাটায়। বৃদ্ধ বয়সে সমস্ত কাজ করার জন্য তাদের আরও উৎসাহ দিতে হবে। যাতে তারা বাকি জীবনটা খুব ভালোভাবে কাটিয়ে দিতে পারে।

বাবা মায়ের একাকিত্বের পিছনে প্রধান কারণ হলো সন্তানদের ব্যবহার। এমন কিছু সন্তান রয়েছে এই পৃথিবীতে তারা মা-বাবার কাছে থেকেও তারা মা বাবার মূল্য বোঝেনা। বাবা মাকে দুটো খেতে দেওয়ার ভয়ে মা-বাবার সাথে যোগাযোগ রাখে না ।এমনকি তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে দূরে থাকে। মা-বাবাকে খেতে দেওয়ার অর্থ তাদের জোগাড় হয় না, কিন্তু স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য অর্থ তাদের জোগাড় হয়ে যায়। তারা কখনো ভাবেনা যে তারা ও একদিন বৃদ্ধ হবে। এইরকম করে কত বাবা-মা, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে ।কিন্তু মারা যাওয়ার পর তাদের সৎকার সমস্ত কাজকর্ম খুব ধুমধাম করে পালন করে। যেন মনে হয় মা-বাবাকে কতই না ভালোবাসতো।।

একটা বয়সে পর এসে পৃথিবীর সকল মা বাবা শুধু সন্তানের ভালোবাসা টুকু পাওয়ার জন্য বসে থাকে। কারণ তারাও জানে তাদের অনেক একটা বয়সে এসে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। ওই বয়সে এসে শুধু ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই তাদের পাওয়া থাকেনা। কিছু কিছু পরিবার রয়েছে হয়তো ছেলে বৌমা দুজনেই চাকুরীজীবী। কিন্তু তাদের শ্বশুর-শাশুড়িকে সময় দেওয়ার মতো কোন সময় নেই। কিছুদিন আগেই আমাদের বাড়ির কাছে একটা ফ্ল্যাটে এইরকম ঘটনা ঘটেছে। শেষে ওদের শশুর মশাই মানসিক রোগী হয়ে ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেলেন। যত দিন যাচ্ছে সন্তানদের জন্য এই সব ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আমার ঠাকুমা শাশুড়ি রয়েছে তার বয়স ১০০ ছুঁই ছুঁই।গ্ৰামের বাড়িতে সকলেই ব্যস্ত। তাই উনি সবসময় একাকীত্বে ভোগেন। বহু বার ওনাকে আমাদের কাছে আনার চেষ্টা করেছি উনি আসতে চায় না।ওই যে পুরোনো দিনের মানুষ বাড়ি ছেড়ে কোথাও থাকতে পারে না। সবশেষে বলবো সমস্ত সন্তানদের মানসিকতা পরিবর্তন করে বৃদ্ধ বয়সে মা -বাবার পাশে থাকার চেষ্টা করুন। তাদের মনের কথা শোনা। তাদের কথায় গুরুত্ব দেওয়া। তাহলে মা-বাবার একাকীত্ব দূর হবে।


এইখানেই শেষ করছি। জানিনা সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পেরেছি কিনা। আমার তিন জন বন্ধুকে কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @isha.ish,@pinki.chak,@piya3.

Sort:  
Loading...
 29 days ago 

বাবা-মা তাদের ইচ্ছা খুশি ভালোবাসা দিয়ে একটা সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসে অনেক যত্ন করে বড় করে তোলে যখন তারা বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন তখন তাদের সন্তান বড় হয়ে যায় তখন কিন্তু তারা অসহায় হয়ে পড়ে তারা নিজেদেরকে অনেক বেশি একা মনে করে।

আমার কাছে মনে হয় একটা সন্তান চাইলেই কিন্তু তার বাবা-মাকে ভালো রাখতে পারে বাবা মা কখনোই আপনার কাছে দামি কোন গিফট আশা করে না। সব সময় চেষ্টা করে আপনারা যেন তাদের কাছে থাকেন তাদের ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নেন তারা বৃদ্ধ বয়সে যেন তাদের নাতি নাতনিদের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে পারে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।