নবমীর সন্ধ্যায়
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলের ভালো লাগবে।
দুর্গাপুজো কেটে গেছে বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। দেখতে দেখতে লক্ষী পূজো কেটে গেছে। আর মাত্র কিছুদিন পর কালীপুজো। বাঙ্গালীদের পুজোর শেষ নেই। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব দুর্গা পুজোতে নবমী সন্ধ্যায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত। বেশ কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে পোস্টে শেয়ার করে নিয়েছিলাম নবমীর দুপুর বেলাতে ঠাকুর দেখতে গিয়ে আমরা রাজবাড়ী ঠাকুর দেখতে পাইনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাকি দিনগুলোতে ঠাকুর দেখতে বের হতে পারেনি। বিকেল বেলাতে আমি আর ঈশা সোজা বেরিয়ে পড়েছিলাম রাজবাড়ী উদ্দেশ্যে সাথে একটা ভাইও ছিল। তাই ভাইয়ের বাইকে করে চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক রাজবাড়ীতে পৌঁছানো মাত্রই দেখি প্রচন্ড ভিড়। দুপুরবেলায় যেহেতু রাজবাড়ী বন্ধ ছিল তাই সমস্ত মানুষজন রাতের বেলাতে ভিড়ে ঠাকুর দেখতে শামিল হয়েছেন। তবে দিনের বেলার থেকে রাতের বেলায় দৃশ্য দেখতে সত্যি অপূর্ব লাগে।
আমরাও তিন জন ভিড়ের মানুষের পিছন পিছন দিয়ে সোজা চলে গিয়েছিলাম রাজবাড়ীর ভিতরে। যে কোন অকেশন পারপাসে রাজবাড়ীটা সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়।এ ছাড়া রাজার যাবতীয় সমস্ত জিনিসপত্র সেগুলো বের করা হয়। আমরা যখন রাজবাড়ীতে পৌছালাম তখন চলছিল নবমীর সন্ধ্যা আরতি। বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা আরতি উপভোগ করেছিলাম। এখনকার দিনে ঠাকুর দেখা থেকে আগেই ছবি তোলার ধুম লেগে যায়। তাই যেতে যেতেই বেশ কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম ।সাথে যখন ভালো ছবি তোলার লোক থাকে ।তখন ছবি না তুলেও পারা যায় না। জীবনে হয়তো ভালো দিনগুলো কেটে যাবে এই সুন্দর মুহূর্তের ছবিগুলোই আমাদের কাছে থেকে যায়। এই জন্যই ছবিগুলো তোলা।
রাজবাড়ীতে পুজো উপলক্ষে অনেক মেলা বসেছিল । ওই রাজবাড়ির প্রাঙ্গণটা যে কোন পূজোতেই বেশ জমজমাট থাকে। মানুষ ওখানে গিয়ে ভিড় জমায়। এরপরে আরো কিছু জায়গায় ঠাকুর দেখবার জন্য বেরিয়ে পড়েছিলাম।রাজবাড়ী থেকেই আর খানিকটা দূরেই নীল দুর্গা বাড়ি নামে একটি মন্দির রয়েছে সেখানে ঠাকুর দেখার জন্য বহু মানুষের ভিড়। এতদিন কৃষ্ণনগরে থাকলে নীল দুর্গা বাড়ি নামে কোন দুর্গা বাড়ি আছে সেটা একদমই জানাই ছিল না। বহু বছরের পুরনো পুজো ।কিন্তু এ বছরই দেখছি এমনকি মানুষের মুখে শুনেছিলাম। দুর্গা ঠাকুর টা সম্পূর্ণ অংশটা নীল রঙের দিয়ে তৈরি। তাই প্রতিমার নাম নীল দূর্গা।সেখানে ঠাকুর দেখতে যাওয়া মাত্রই ওখানকার সকলে আমাদের হাতে প্রসাদ দিল। কৃষ্ণনগরের মানুষ হয়েও আমরা ওই দুর্গা বাড়িটা চিনতাম না, ফোনে গুগলে ম্যাপ দেখে তবেই গিয়ে পৌঁছেছিলাম।
এরপরে চলে গিয়েছিলাম আমাদের কোতোয়ালি থানার ভিতরে মহিলারা বিরাট দুর্গাপুজো করেছিল। সেখানকার প্রতিমা দর্শন করেছিলাম। সেদিন বেশি ঠাকুর দেখা হয়নি। কারণ খুব অল্প সময় হাতে নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম ।সঠিক সময়ে বাড়িতে পৌঁছাতে হবে। তাই আর ঠাকুর দেখা হয়নি। সোজা চলে গেছিলাম একটা আইসক্রিম পার্লারে ।সেখান থেকে পছন্দমতো আইসক্রিম খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর চলে এসেছিলাম সরাসরি বাড়িতে। সেদিনের নবমীর সন্ধ্যাটা খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। সেটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আজ এই পর্যন্তই ।আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Thank you 🙏