Better Life with Steem|| The Diary Game||04 - 08-2025||
![]() |
---|
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় নতুন একটি দিন শুরু করার সুযোগ পেলাম। অনেক ব্যস্ততার মাঝে দিনগুলো কিভাবে পার হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। প্রতিদিনই ভাবি আবার ল্যাপটপ নিয়ে বসবো, আর কিছু না পারি আমার ব্যস্ততম দিনলিপি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।
বাচ্চাদের পরীক্ষা , অসুস্থ বাবা-মা এসেছেন, তাদের নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া, বাসায় রান্না করা, সব নিয়ে যেন চলন্ত ট্রেনের মতো আমি চলছি ।কখন থাকবো তার কোন নির্দিষ্ট সময় খুঁজে পাচ্ছি না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি , সুন্দরভাবে যেন আমার সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে পারি, আমাকে যেন সুস্থ রাখে এবং আমাকে শক্তি দেয় ।
![]() | ![]() |
---|
৪ তারিখ মামনির Chemistry পরীক্ষা ছিল তাই খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলাম। সকালের নাস্তা তৈরি করলাম । মা দুপুরবেলা কি রান্না করবে সেগুলো গুছিয়ে দিয়েছিলাম এবং স্নান করে প্রার্থনা করেনিয়েছি । আমি আর সকালের খাবার সময় পাইনি। সবকিছু গুছিয়ে নিতে নিতে সকাল আটটা বেজে যায় তাই না খেয়ে মেয়েকে নিয়ে ছুটলাম পরীক্ষার হলে।
মা অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও দুপুরে রান্নাটা করে রাখবে । দুপুরের রান্না আমি সাধারনত আগের দিন রাতেই করে রাখি কিন্তু বাবা-মা আগের দিনের রাতের রান্না করা খাবার খেতে পারে না তাই মা রান্না করবে। আমরা নির্দিষ্ট সময় পরীক্ষার হলে চলে আসি ।ভাবীগন চলে আসেন। তাদের সাথে গল্প করি ।
তবে এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা উন্নত হচ্ছে না অবনতি হচ্ছে বুঝতে পারছি না । এক ঘন্টা যেতে না যেতেই দেখি অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে আসছে । প্রথমে আমি ভেবেছি, তাদের প্রশ্ন কমন পড়েছে তাই তারা বেরিয়ে এসেছে। কিছুক্ষন পরে দেখি আরো কিছু শিক্ষার্থী হল থেকে বেরিয়ে এসেছে ।
![]() |
---|
কৌতূহল বসে ওদের কাছে গেলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম যে, তোমরা এত তাড়াতাড়ি কেন বেরিয়ে আসলে। তিন ঘন্টার পরীক্ষা, তোমরা ১ ঘন্টা ১৫ মিনিটের ভিতরে কেন বেরিয়ে আসলে। তখন তারা বলল যে, তাদের প্রশ্ন কমন পড়েনি তাই তারা বেরিয়ে আসল। আমি বললাম , তোমাদের সহপাঠীদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে লিখতে, কিছু তো লিখতে পারতে, পাস করার মতো লিখে আসতে।
শিক্ষাথীর কথা শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো। সে বলল, ”আমাদের বন্ধুরা কেউ প্রশ্নের উত্তর পারছে না, তাই শুধু নাম এবং রোল নাম্বার লিখে চলে এসেছি, আবার দিতে হবে পরীক্ষা” । তাদের পোষাক এবং তাদের দেখে মনে হয় না যে তারা সাধারণ ঘরের ছেলে মেয়ে। অবশ্যই তারা পড়াশোনা করার মতো পরিবার থেকে এসেছে , তাদের সমর্থ্য আছে। তারা বাবা-মায়ের টাকাগুলো এভাবে নষ্ট করছে, সময় গুলো নষ্ট করছে।
![]() | ![]() |
---|
একটি বছর নষ্ট করা ,তারা এখন কিছুই মনে করছে না কিন্তু এই একটি বছর তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ন তা তারা বুঝতেছে না । তারা তিন ঘন্টা এখানে বসে আড্ডা দিচ্ছে । তারা আবার প্রাইভেটকার করে এসেছে ।আমি ভাবতে পারছি না বাবা-মায়েরা এই সন্তানের কাছ থেকে ভবিষ্যতে কি ফলাফল পেতে পারে ।
একভাবী তার ছোট মেয়েকে নিয়ে এসেছিল। এত মিষ্টি একটি মেয়ে মনে হচ্ছে ,সৃষ্টিকর্তা ওকে নিজ হাতে অনেক যত্ন করে তৈরি করেছেন । ওর কথা বলা, ওর চাহনি, সমস্ত কিছুই আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকেই বলেন, মেয়েরা হল জান্নাতের ফুল। মানে ,যে পরিবারে মেয়ে আছে সেই পরিবারে পিতা-মাতার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায় ।ওর জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া ।
![]() | ![]() |
---|
যাই হোক, নির্দিষ্ট সময় পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল। মেয়েরাও পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে আসলো এবং তাদের পরীক্ষা মোটামুটি ভালই হয়েছে। আমরা বাসায় চলে আসি ।বাসায় আশার পরে প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল তাই ঘুমিয়ে পড়ি ।মেয়ে অনেকদিন থেকে বায়না করছিল বিকেলবেলা চটপটি রান্না করার জন্য । এখন এতটাই ব্যস্ত থাকতে হয়, বিকেলবেলা টিফিন বাসায় তৈরি করার মত সময় পাচ্ছি না ।বাইরে থেকে আনা হয়। কিন্তু মেয়ে আমার হাতে তৈরি করা খাবার গুলো বেশি পছন্দ করে।
সন্ধ্যার পরে প্রার্থনা শেষে চটপটি রান্না করে দিয়েছিলাম । বাসার সকলেই পছন্দ করেছে ।নিজের হাতে রান্না করা খাবার গুলো যেমন ফ্রেশ থাকে তেমনি অনেক সুস্বাদু থাকে ।আমার মা ও মেয়ে খুব মজা করে খেয়েছে এবং বলেছে আজ রাতের খাবোরে অন্য কিছু দিতে হবে না।
বাবাকে নিয়ে সকালবেলা ছুটতে হবে ডাক্তারের কাছে তাই এখন আর বেশি রাত জাগতে পারি না । আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবে কেটে যাচ্ছে আমার ব্যস্ততম দিনগুলো। সবাই আমার বাবার জন্য আশীর্বাদ ও দোয়া করবেন । আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভাল থাকেন ,সুস্থ থাকেন ।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟