Better Life with Steem|| The Diary Game||19 - July-2025||

in Incredible India24 days ago (edited)
Untitled design (3).png
Made by Canva

Hello,

Everyone,

আমাদের ফেলে আসা দিনগুলো সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। যত সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি আমাদের জীবনটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে । আমাদের পুরনো সম্পর্কগুলো আস্তে আস্তে হালকা হয়ে যাচ্ছে ।এটার জন্য সবার কর্মব্যস্ততা দায়ী হবে, না অন্য কোন কারন আছে। আগের দিনের মানুষ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চিন্তা করত। কিন্তু বর্তমান সময় ১০ জনকে সুখী করাটা ভীষণ কঠিন বিষয় তাই মানুষ অন্যদের সুখের চিন্তা না করে শুধুমাত্র নিজের সুখের চিন্তাটাই করছেন। তাইতো মানুষের সম্পর্ক গুলো হালকা হয়ে যাচ্ছে।

IMG_20250719_181231.jpgIMG_20250719_215326_784.webp

আজ আমার শ্বশুর বাবার কিছু পুরণ দিনের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।হঠাৎ বাবার কথা মনে পড়ল তারও একটি কারণ আছে। আজ আমাদের বাসায় আমার এক জা এসেছেন ।”জা” মানে আর্মি বাবুর পিশাতো ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আসবেন। তারা পিসির ছেলেমেয়ে হলেও আমাদের পরিবারের সদস্য মতোই ছিল । পিসিমণি দুটি ছেলে সন্তান নিয়ে অল্প বয়সে স্বামীকে হারায়, তখন আমার শ্বশুর বাবা তার বোনকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। সেই ছেলেদেরকে পড়াশুনা করিয়াছেন, নিজের হাতে বিয়ে দিয়েছেন। এমনকি শ্বশুর বাবা তার পাঁচ ছেলের জন্য যে পরিমাণে সম্পত্তি দিয়েছেন সেই সমপরিমাণে তার বোনের দুই ছেলেকে দিয়েছেন।

শাশুড়ি মা ও শ্বশুর বাবা কখনো নিজের সন্তান কিংবা বোনের সন্তানের ভিতর পার্থক্য দেখেননী। এখন সবাই বড় হয়ে গেছে।সবার ছেলে-মেয়েও বড় হয়ে গেছে। সবাই যার যার মত সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন । কর্মসূত্রে আজ একত্র থাকতে পারেনি তাই বিভিন্ন জায়গাতে সবাই চলে গেছেন । ছোট দিদিভাই তিনিও একজন সরকারি হাসপাতালের সুপারভাইজার ছিলেন । কর্মজীবনে অনেক ব্যস্ততার মাঝেও সংসারের সবার প্রতি সমানভাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন ।তার মুখে বাবার অনেক প্রশংসা শুনেছি এবং আমার শাশুড়ি মায়ের কাছে অনেক গল্প শুনেছি।

IMG_20250719_150907.jpg

সবাই বলেন, ননদ ও বৌদির দাগ-কুমড়া সম্পর্ক থাকে কিন্তু আমার শাশুড়ি মা এবং তার ননদের মধুর সম্পর্ক ছিল। আমার শাশুড়ি মা তার ননদকে খুবই সম্মান করতেন এবং শ্রদ্ধা করতেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে আমার শাশুড়ি মায়ের বিয়ে হয়েছে। ননদ তাকে সংসারের সমস্ত কিছু শিখিয়েছেন।

বর্তমান সময়ে ননদ এবং ভাইয়ের বউ দুজন দুজনকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই হয় । বড় দিদিভাই তিনি তার ছেলের বাসাতেই থাকেন ঢাকা শহরে আর ছোট দিদিভাই তিনি গ্রামের বাড়ি বরিশাল থাকেন। বড় দিদিভাই অনেক দিন থেকে অসুস্থ আছেন তাই ছুটি দিদিভাই তাকে দেখতে ঢাকা এসেছে।

বাসায় গেস্ট আসলে আমার ভালো লাগে কারণ আমি রান্না করতে পছন্দ করি। হয়তো কাজে অনেক ব্যস্ততা থাকে ।আমি চেষ্টা করি অতিথিদের নতুন কিছু উপহার দিতে। নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করি। যখন সেই খাবারগুলো খেয়ে প্রশংসা করে তখন আমার খুবই ভালো লাগে। তখন মনে হয় যে আমার কষ্ট সফল।

IMG_20250719_151014.jpgIMG_20250719_151030.jpg

খুব সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রার্থনা সেরে রান্নাঘরে চলে আসি। আজকে অনেক কিছু রান্না করবো। প্রথমে নারিকেল দিয়ে চিংড়ি মাছ ভাপা করেছি ,রুই মাছের ঝোল করেছি ,খাসির মাংস করেছি, বেগুন ভাজি, পটল ভাজি, আর চিংড়ি মাছ এবং কাঁচা কলা দিয়ে একটি পাকোড়া করেছিলাম। পায়েস এবং পিঠার গতকাল রাতে তৈরি করে রেখেছিলাম । দিনের বেলা রান্না করার সময় এগুলো করতে পারবোনা। একার হাতে সবকিছু করতে হয় ।আমি সব সময় চেষ্টা করি অতিথি আসার আগের রাতে কিছুটা কাজ এগিয়ে রাখতে।

রান্না শেষ করতে আমার দুপুর ২ টা বেজে যায় । রান্নার শেষে টেবিল সাজিয়ে সবাই একত্রে বসে পড়লাম। দুপুরের খাবার খেতে খেতে তাদের সেই পুরনো দিনের গল্প গুলো দিদির মুখে শুনছি।গল্পগুলো শুনতে খুবই ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ে আপন ভাই বোনের সম্পর্কটা তত ভালো থাকেনা সেখানে তো পিসির ছেলে-মেয়ে ।

IMG_20250719_181232.jpgIMG_20250719_215404_874.webp

ভাই বোনের সাথে এত গভীর সম্পর্ক বর্তমান সময়ে কখনোই পাবো না । আনন্দের কাটানোর সময় গুলো দ্রুত চলে যায়।দুপুরের খাবার শেষে অনেক সময় গল্প করলাম। বিকেলের নাস্তা দিলাম। দিদি শারীরিকভাবে অনেক ভেঙ্গে পড়েছেন। তিনি দুইবার মিনি স্ট্রোক করেছেন। তারপরেও দিদি আমাদের বাসাতে আসতে পেরেছেন এটাই সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ ।

IMG_20250719_151032.jpgIMG_20250719_151037.jpg

আমাদের কাছের মানুষগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। দিদি অনেকটা নরম হয়ে গেছে, তারপরও তার মনের জোর অনেক।সকলে দিদির জন্য আশীর্বাদ করবেন দিদি সুস্থ থাকেন। গল্প শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেল , ওরাও চলে যাবে কারণ রবিবার বাচ্চাদের আবার স্কুল আছে তাই আর্মি বাবু তাদেরকে এগিয়ে দিয়ে আসল ।

অতিথি আসলো, খাওয়া দাওয়া হল, কথাবার্তা হল ,অতীতে চলেও গেল কিন্তু আমার যে কাজগুলো জমা হলো সেগুলো করতে করতে আজ আমি অনেক ক্লান্ত । রাত সাড়ে বারোটা বাজে তখন আমি সমস্ত বাসনপত্র গুলো পরিষ্কার করছিলাম এবং গুছিয়ে রাখলাম। রবিবারে মামনির পরীক্ষা আছে তাই ওকে নিয়ে সকালবেলা আবার ছুটতে হবে ।

IMG_20250719_235729.jpg

যত রাত হোক কাজগুলো আমাকে গুছিয়ে রাখতে হবে ।আবার পরের দিন আমার বাবা-মা আসবেন । বাবা মা অসুস্থ তাদেরকে ডাক্তার দেখাতে হবে ।এই নিয়ে আমার ব্যস্ততম দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছে। আশা করি আপনাদের দিনগুলো ভালোভাবে কেটে যাচ্ছে ।সবাই ভালো থাকুন ,সুস্থ থাকুন এবং পরিবারকে ভালোবাসুন ।আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি।


◦•●◉✿ শুভ রাত্রি✿◉●•◦

Thank You So Much For Reading My Blog📖

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPmPayXPfM22kXaj3xKw37oQ9tua3JfrnuMRWWqGHfhuyA1UYheY5qjiFbP3BW...JWNUaLb1UAxtVkvpEzFvrbCpiTVHr2qys8cnVHpyrfv38wVPMc1Luya71X8AzcNNuKjF1rHwqMTUWN8r39rGXHzGTLWtLUbqpNh6DHaWG6eK2zUkgnx8ShFKdg.png

Sort:  
Loading...

SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.

Thank you for your valuable efforts! Keep posting high-quality content for a chance to receive more support from our curation team.

1000006091.png


 23 days ago 

Thank you, Sir @memamun.