Better Life with Steem|| The Diary Game||30 - July-2025||
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।এখন বর্তমান সময়ে সুস্থ থাকাটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ দিন যত যাচ্ছে ততই সময় কঠিন হয়ে যাচ্ছে ।আমি এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি তা আমার বিগত পোস্টগুলো পড়ে আপনারা সবাই অবগত আছেন।
তাইতো আগের মত পোস্ট করতে পারছি না ।কমিউনিটিতে খুব সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতা হচ্ছে, তাতেও অংশগ্রহণ করতে পারছি না ।আমার কাজ যেন থেমে যাচ্ছে । মনের মাঝে অপূর্ণতা রয়ে যাচ্ছে। সংসারের যতই কাজ করি না কেন আমার প্রিয় প্ল্যাটফর্মে দু’কলম লেখতে পারছিনা তাই ভালো লাগছে না। মনে হচ্ছে, কোন কাজ যেন অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি এই প্লাটফর্মে একটি পোস্ট করার। মেয়ের পরীক্ষা চলছে, বাবা-মা এসেছেন ,তাদেরকে ডাক্তার দেখানো ,বাসায় রান্নাবান্না করা, সব নিয়ে অনেক ব্যস্ততায় দিনগুলো পার করছি। আজ মেয়ের পরীক্ষা আছে, তার সাথে বাবাকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
দুটো বিষয়ে আমি কিভাবে যে সামলাবো তাই বুঝতে পারছি না। আবার, মা বাসায় একা থাকবেন । তিনিও ততটা সুস্থ নয়। বাবাকে নিয়ে আর্মি বাবুকে যেতে বলবো ,তাও পারছি না কারণ তিনি অনেকটাই ব্যস্ত থাকেন অফিস নিয়ে।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম। মা বাসায় রান্না করবে তাই রান্নার আইটেম গুলো গুছিয়ে রাখলাম।
গতকাল রাত্রে আমি সবকিছু গুছিয়ে রেখেছিলাম। চেষ্টা করছি আরো কিছু যদি গুছিয়ে রাখা যায় ,তাহলে মায়ের অনেক উপকার হবে। স্নান করে ঠাকুর পূজা দিয়েছি । আমি কোন কাজে বা কোথাও যাবার আগে, আমার গোপাল সোনাকে ঘুম থেকে তুলে, তাকে প্রসাদ দিয়ে ,তারপরে বাহিরে যাই। সকলের জন্য সকাল বেলার নাস্তা তৈরি করে রাখি এবং মা কি কি রান্না করবে তাও গুছিয়ে রাখি।
বাসার কাজের মাসী এসে কি কি কাজ করবেন তাও মাকে বুঝিয়ে দিয়ে যাই। অবশ্য আর্মি বাবু বাবাকে নিয়ে সকাল সাতটায় বেরিয়ে পড়েন । আজকে চোখের ডাক্তারের কাছে প্রথমে নিয়ে যাবে। আমি মেয়েকে পরীক্ষার হলে রেখে, বাবার কাছে যাব।
বাসায় সবকিছু গুছিয়ে রেখে সকাল ৮ টা ৪৫মিনিটে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।মেয়েকে পরীক্ষার হলে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আবার বাবার কাছে ছুটলাম। আমি আসার পরে আর্মি বাবু অফিসে চলে গেলেন। ডাক্তার সাহেব প্রথম একবার দেখলেন । চোখে ড্রপ দিয়ে ৬০ মিনিট অপেক্ষা করতে বললেন ।ডাক্তার আংকেল বাবাকে দেখে বললেন, যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে তাহলে অপারেশন করা যাবে” ।
অনেকগুলো পরীক্ষা দিলেন। এক ঘন্টা চোখে ড্রপ দিয়ে বসে থাকতে হবে । এর মাঝে পরীক্ষা গুলো করে নিব। চোখের আলট্রাসন, চোখের পেশার মাপা, এবং রক্তের কিছু পরীক্ষা দিলেন, সেগুলোও দিলাম। আমরা সবগুলো রিপোর্ট এখনো সংগ্রহ করতে পারিনি। এখানে চোখের সমস্যা নিয়ে আনেক রোগী ছিল ।
![]() |
---|
বাবাকে ৬০ মিনিট পরে আবার ডাক্তার দেখার কথা ছিল কিন্তু প্রায় ২ ঘন্টার বেশি হয়ে গেল তারপরও দ্বিতীয়বার ডাক্তার দেখানো সিরিয়াল পেলাম না। এরই মাঝে মেয়ের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল ।ভাবী ফোন পাওয়ার সাথে সাথে আমি রিক্সা নিয়ে ছুটলাম ।বাবাকে ডাক্তারের চেম্বারের সামনে রেখে মেয়েকে নিয়ে আসলাম। বাবাকে দ্বিতীয়বার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই ।
তিনি ECG এবং চোখের প্রেসার দেখে সামনের সপ্তাহে অপারেশনের ডেট দিলেন । বাবার বয়স যেহেতু ৭০ প্লাস তাই তার রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বললেন । খালি পেটে বাবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে পেলাম 6.6 এবং খাবার পরে 11.2। আমি তো খুবই ভয় পেয়ে গেলাম যে,খাবার পরে 11.2 তবে অপারেশন করলে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকবেন। ডাক্তার সাহেব বললেন, ”কোন সমস্যা নেই, বারো পয়েন্টে পর্যন্ত চোখের অপারেশন করানো হয়,যেহেতু এটা হালকা অপারেশন”।
ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে আমি অনেকটা চিন্তামুক্ত হলাম। দুপুর হয়ে গেলো, সকলের ক্ষুধা লেগেছিল তাই আমরা আসার পথে কিছু হালকা খাবার খেয়ে নিয়েছি । একটি সিএনজি করে বাসায় চলে আসি্। বাবাকে দেখে আজ মনে হচ্ছে ,ভবিষতে এমন দিনে আমাদের শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধবে।
তবে তারা যতটা সুস্থ আছেন, আমরা মনে হয় ততটা সুস্থ থাকতে পারবো না ।কারণ বর্তমান সময়ে খাবার-দাবারে যে ভেজাল থাকে , মানসিক টেনশন থাকে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে না যে আমরা তাদের মত অত বছর ভালোভাবে বাঁচতে পারব । সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি ,আমার বাবা-মাকে সুস্থভাবে ১০০ বছর বাঁচার সুযোগ দিবেন।
আমার মায়ের ঠাম্মা ,তাকেও আমরা দেখেছিলাম । বুড়ামা ১০৫ বছরের বেশি বেঁচে ছিলেন এবং তিনি খুব সুস্থ ছিলেন। তখনও তিনি ভালই চোখে দেখতেন। তার কোন চশমা লাগতো না ।এমনকি আমার শাশুড়ি মা, তিনিও ৯৫ বছর বেঁচে ছিলেন। তার চুল তেমন পাকেনি। আমার কিছু কিছু চুল পেকে গেছে ।
খুব ভালো ছিলেন আমার শাশুড়ি মা। চশমা ছাড়া তিনি সবকিছু ভালো দেখতেন কিন্তু আমি চশমা ছাড়া ভালো গীতা পাঠ কিংবা বই ভালো পড়তে পারি না।খালিচোখে বেশিক্ষণ বই পড়তে পারি না ।
![]() |
---|
আমদের বাসায় আসতে দুপুর তিনটা বেজে গেল । অনেকটা ক্লান্ত ছিলাম তাই বিকেল বেলা ঘুমিয়ে পড়লাম ।কখন যে সন্ধ্যা হলো কিছু বুঝতে পারলাম না। মায়ের বাজানো শঙ্খ ধ্বনি শুনে ঘুম ভেঙে গেল ।সাধারণত দিনের বেলা আমি ততটা ঘুমাই না , এতটাই ক্লান্ত ছিলাম তাই মা আর আমাকে ডাকলেন না ।
এভাবেই কেটে গেল আমার আর একটি ব্যস্ততম দিন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন। শুভ রাত্রি ।
ব্যস্ততা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ আমরা চাইলেও কিন্তু এটাকে ত্যাগ করতে পারবো না এটাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের চলতে হয় সবকিছু সামাল দিতে দিতে একটা সময়ের পরে নিজেকে আর সময় দেয়া হয় না আজকে আপনি আপনার বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন।
ডাক্তার দেখাতে যাওয়া আর বসে বসে নিজের জীবনটাকে শেষ করে দেয়া একই কথা আমার কাছে মনে হয় কেননা ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালের মধ্যে বসে থাকা কতটা কষ্টকর সেটা আমি কিছুটা হলেও অনুধাবন করতে পারছি তার উপরে আপনার মেয়ের পরীক্ষা যাই হোক আপনি সব কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো এভাবেই নিজের পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করুন এবং নিজের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।