জুয়েলারির রিভিউ
নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে চলে এসেছে আপনাদের সাথে আমার গত কালকের পোস্টটির বাকি অংশটুকু শেয়ার করার জন্য।
গতকালকে পোস্টে আমি আপনাদের জানিয়েছিলাম যে, প্রি ওয়েডিং ফটোশুটের জন্য আমি আমার কেনা শাড়ির সাথে ম্যাচ করে একটা জুয়েলারি আমার কলেজের এক বান্ধবীর কাছে বানাতে দিয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের পরীক্ষা ছিল তাই আমি মাঝে আর খোঁজ নিইনি, জুয়েলারি টা তৈরি হয়েছে কিনা। যেহেতু ওরও পরীক্ষা ছিল তাই আমি জানতাম, পরীক্ষা শেষ হলে ও নিশ্চয়ই আমার জিনিসটা আগে বানিয়ে দেবে। সেই মতো জিনিসটা অর্ডার দেবার পর আমি প্রায় ভুলেই গেছিলাম আমার কবে জিনিসটা নেওয়ার কথা ছিল।
রবিবারে পরীক্ষা দিয়ে আসার পর থেকে মনে হচ্ছিল মাথা থেকে একটা বোঝা নেমে গেল। এই কয়েক মাস ধরে পরীক্ষাটা জন্য একটুও শান্তিতে কোনো কাজ করতে পারছিলাম না, সারাদিনই পরীক্ষার চিন্তা মাথায় ঘুরছিল। তাই পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে এসে বেশ অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম। তারপর রাতে যখন মোবাইলে ভিডিও দেখছিলাম তখন দেখলাম একটা এস.এম.এস এল। এস.এম.এসটা করেছিল আমার সেই বান্ধবী। সেখানে ও আমাকে আমার তৈরি করতে দেওয়া জুয়েলারিটার দুটো ছবি পাঠিয়েছিল। আর সেই সাথে লিখেছিল,"তোমার অর্ডার রেডি দি।" ও আমাকে দিদি বলেই সম্বোধন করে কারণ আমরা ডি.এল.এড এ একই ব্যাচের স্টুডেন্ট হলেও ও আমার থেকে এক বছরের ছোটো। এই কলেজে গিয়ে আমি ইতিমধ্যেই অনেকের দিদি হয়ে উঠেছি। মানে,আমি বয়সে ওদের থেকে বড়ো তাই ছোটরা সবাই আমাকে দিদি বলেই ডাকে।
ছবিগুলো দেখার পর আমার তো খুব পছন্দ হয়েছিল। আমি ওকে Meesho থেকে একটা এরকম জুয়েলারি ছবি পাঠিয়েছিলাম এবং যেহেতু আমি ওকে আগে থেকেই বলেছিলাম যে পুরোপুরি কপি করার প্রয়োজন নেই, তাই ও খানিকটা মডিফাই করে নিজের মতো করে বানিয়ে দিয়েছিল। আবার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। আর আমি যে শাড়িটা পরতে চলেছি, তার সাথে এই জুয়েলারি টা খুব ভালোভাবে ম্যাচ করছে। তাই আমার খুব ভালো লেগেছিল। ও ফুলের পাতাগুলোর স্টাইল কিছুটা পরিবর্তন করেছে, সেটাও আমাকে জানিয়েছিল।
সমস্ত কিছু পছন্দ হলেও আমি পরে ওকে আরো সামান্য একটু চেঞ্জ করতে বলেছিলাম। তেমন বিশেষ পরিবর্তন কিছু নয়, শুধু ফুলের মধ্যে দিয়ে গোলাপি আভা রয়েছে এটা আর একটু ছড়িয়ে দিতে বলেছিলাম। আমি যেটা চাইছিলাম সেটা ও খুব ভালোভাবে বুঝেছিল, তাই বলেছিল আমি যেদিন ওর কাছ থেকে জিনিসটা নেব তার আগে আর একবার জানাতে তাহলে ও করে রাখবে।
যদিও আমি এখনো পর্যন্ত জিনিসটা সংগ্রহ করতে পারিনি। কারণ ওর বাড়ি কলেজের পাশেই। আর আমাদের কলেজ আমাদের বাড়ি থেকে বাসে করে ৩০ মিনিটের রাস্তা। তাই ওকে জানিয়ে রেখেছিলাম যেদিন আমি কলেজ যাব, সেদিন আমি জিনিসটা ওর কাছ থেকে নিয়ে নেব। আর আগামীকালই আমি কলেজ যাব। তখন আমি জিনিসটা পেয়ে যাব। ছবির মতোই জিনিসটাও যে অনেকটা সুন্দরভাবে সেটা আমি ভালোই বুঝতে পারছি। কারণ এর আগেও আমি ওর কাছ থেকে জুয়েলারি তৈরি করেছি, তাই জানি ও খুব সুন্দর ভাবে জিনিসটা তৈরি করে রাখবে। সেই সাথে ও প্যাকেজিংটাও খুব সুন্দর ভাবে করে।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।