Farewell এর দ্বিতীয় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আবারো চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার গত পোস্টের বাকি অংশটুকু শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গতকাল আমি আপনাদের সাথে যে পোস্টটি শেয়ার করেছিলাম সেখানে বলেছিলাম, আমাদের কলেজে আমাদের যেহেতু এটাই শেষ বছর ছিল তাই আমাদেরকে ফেয়ারওয়েল দেওয়া হয়েছিল। এগুলোকে সকালের সমস্ত কাজকর্ম ছেড়ে আমি ঠিকঠাক সময়ে কলেজে পৌঁছে গিয়েছিলাম। কলেজে পৌঁছে প্রথমে চলে গিয়েছিলাম আমাদের হলঘরে, যেখানে সমস্ত ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমাদের সমস্ত বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিল। এছাড়াও আমাদের অনেক জুনিয়াররাও সেখানে ছিল। মূলত তারাই সেই দিনের এই অনুষ্ঠানটা আয়োজন করেছিল।
সেখানে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে নাচ আমার খুবই পছন্দের। আর সেই দিন অনেকগুলো নাচের পারফরমেন্স হয়েছিল। নাচ দেখতে দেখতে এতটাই হাড়িয়ে গিয়েছিলাম যে আর কোনো ছবি বা ভিডিও তোলা হয়নি। তবে সবশেষে হয়েছিল স্টুডেন্ট এবং ম্যামেদের একসাথে একটা পারফরমেন্স। সেখানে সকলে ধুনুচি নিয়ে নেচেছিল। আমি আগের পোস্টেই বলেছিলাম যে, আমাদের ফেয়ারওয়েল দেওয়ার পাশাপাশি দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগমনী উৎসবেরও আয়োজন ছিল। আর দুর্গাপূজো মানেই ঢাকের কাঠি আর ধুনুচি নাচ। তাই আগমনী উৎসব তো ধুনুচি নাচ ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ম্যামেরা এবং স্টুডেন্টরা একসঙ্গে খুব সুন্দর নেচে ছিল। সকলেই নাচের খুব প্রশংসা করেছিল। একটা ছোট্ট ভিডিও ছিল সেখান থেকে আমি একটা স্ক্রিনশট আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
এরপরে ছিল গানের প্রোগ্রাম। আমাদের এক জুনিয়র দাদা দারুন গান গেয়েছিল। যতক্ষণ সেজেছিল সমস্ত স্টুডেন্ট এবং স্যার ম্যামেদের মাতিয়ে রেখেছিল। আসলেই স্টেজ পারফর্মারদের এইরকমই হওয়া উচিত। এরপরে একে একে আবৃত্তি ও স্যার ম্যামেদের নানারকমের পারফরম্যান্স হয়েছিল। আমরা সবাই এক জায়গায় বসে অনুষ্ঠানটা উপভোগ করছিলাম। আর তার মাঝে মাঝে কিছু ছবিও তুলছিলাম। আর একসঙ্গে এতগুলো বন্ধুবান্ধব বসলে গল্প গুজব তো চলবেই। তারই মাঝে একটু একটু মন খারাপ করছিল কারণ আর একমাস পরে হয়তো এদের সাথে আর কখনোই দেখা হবে না।
সবশেষে হয়েছিল সবচেয়ে মজার ইভেন্ট। সেটা হল কুইজ প্রতিযোগিতা। আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারেরা আগে থেকেই কিছু কোশ্চেন রেডি করে রেখেছিল। আর সেই ভাবে দলে ভাগ করে কুইজ প্রতিযোগিতা হয়নি। কারন আমরা তো ছুটিতে ছিলাম মানে আমাদের ক্লাস অফ ছিল। তাই আমরা তো কুইজ প্রতিযোগিতাই আগে থেকে নাম দিতে পারিনি। সেই কারণে স্যারেরা কোনরকম দলে ভাগ না করে সকলের জন্যই প্রশ্ন করছিল। আর যারা উত্তর দিতে পারবে বলে মনে করছিল তারা হাত তুলছিল। তারপর স্যারেরা তাদের পছন্দমত ক্যান্ডিডেট কে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছিল। যে উত্তর দিতে পারছিল তাকে একটা করে পেন উপহার দেওয়া হচ্ছিল। এটা আমাদের বেশ মজার লেগেছে। যদিও আমাদের বন্ধুদের মধ্যেও অনেকেই চিটিং করে গুগল থেকে সার্চ করে উত্তর দিচ্ছিল। তবে স্যারেরা সেটা বুঝতেও পারছিল। সেই কারণে উত্তর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্যারেরা আবার তাকে সেই প্রশ্ন সংক্রান্ত আরো একটা প্রশ্ন করছিল। যদি পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তাহলেই তাকে উপহার দেওয়া হচ্ছিল। যার ফলে যারা চিটিং করে উত্তর দিচ্ছিল তাদের আর পেন উপহার পাওয়া হয়নি।।
এইভাবেই আমাদের প্রোগ্রমটা এগিয়ে চলছিল। তবে এই দিনের আরো কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে। তাই আজকেই আমি পুরো গল্প শেষ করতে পারলাম না। আমার পরবর্তী পোস্টে আমি বাকি গল্পটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।