Better Life with Steem||The Diary Game|| 10th July 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
এখন বাংলাদেশ সময় ১০:৩০, একটু অলসতার কারণেই বিলম্ব হলো লেখা শুরু করতে। আশাকরি, সকলেই ভালো আছেন। WiFi এর সাময়িক সমস্যার কারণেই আজ যেন সব কাজ থেকেই একটু পিছিয়ে। যাইহোক, এখন আমি আমার আজকের দিনের সকল কার্যাবলী আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলে এসেছি।
![]() |
---|
![]() |
---|
সকালের ঘুম ভেঙেছিল সকাল ১১:৩০ এর দিকে, ঐ যে অন্যান্য দিনের মতোই কাজ প্রাতঃকৃত্য শেষ করে সকালের খাবার খেয়েছিলাম। পুচকুর যন্ত্রণায়ই সকালে আরামের ঘুমটা ভেঙেছিল, নচেৎ ঘুম ভাঙ্গার কোনো সুযোগই ছিল না।
আজ পূর্ণিমা, অন্যদিকে আবহাওয়া ও দীর্ঘদিন ধরে আবহাওয়া ও ঠিক নেই যে কারণে পুঁচকুর আজ স্নান বন্ধ। কিন্তু সে তো নারাজ, তাঁকে স্নান করতেই হবে। অবশেষে তেল মেখে খাটের ওপর বসের আমার সাথে দুষ্টামি করতে শুরু করেছি। কিছুক্ষণ আগেই ঘুমে পড়েই যাচ্ছিল কিন্তু স্নান করার জন্যই এই দুষ্টামি।
WiFi নেই তিন দিন ধরে, মাথাই কাজ করছিল না। ইতিমধ্যে কাজ ঠিক রাখার জন্য ডাটা ক্রয় করেছিলাম, না হলে তো অফলাইন ই থাকতে হতো। শারীরিক অবস্থা কথা চিন্তা করেই দুপুর একটার দিকে আমিও স্নান সেরে নিয়েছিলাম। সকালের খাবার খেতে খেতেই প্রায় দুপুর হয়ে আসছিল, তাই আর স্নানের পরে কিছু খেতেই ইচ্ছে করছিল না।
![]() |
---|
স্নান শেষে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আমার বিছানায় গিয়েছি তখনই ছোটভাই কল করে রাস্তায় বেরোতে বললো। কারণ WiFi এর ছেলেরা আসতেছিল। আমি বিলম্ব না করে যদিও রাস্তায় বেরিয়েছিলাম তবে আমিও একবার ওদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। তখন শিওর হলাম যে ওরা সন্ধ্যার দিকে আসবে।
কি আর করা, তবে আমার বাজারে একটু কাজ ছিল তাই ভাইকে বললাম আমার সাথে বাজারে যাওয়ার কথা। আমাদের এখানে আবার আজ ফয়লার সাপ্তাহিক বাজার, ছোট ভাইয়ের বাজার করা ও ওষুধ কেনার দরকার ছিল। ওদের বিলম্ব দেখে ভাই ও বাজারের জন্য রেডি হয়ে বেরোলো। তারপর আমরা আমাদের বাজার অবধি গেলাম একসাথে। আমার বাজারের কেনাকাটা শেষ করেই আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
![]() |
---|
তবে বাড়িতে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারলাম না। যেহেতু, ছোটভাই বাড়িতে নেই তাই WiFi নিয়ে একটু দুশ্চিন্তাই হচ্ছিল। কারণ আমার WiFi এর বিষয়ে পূর্বের তেমন কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। মন্দিরের মাঠের পূর্ব পাশের ভাঙ্গা কলপাড়ে বসেই ছেলে গুলোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
![]() |
---|
ইতিমধ্যে, পাশের বাড়ির এক দাদা কলপাড়ে এসে বসেছিল। দাদুর শরীর দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ্য , সম্প্রতি খুলনা সিটি মেডিকেলের ডাক্তার দেখানোর পরে একটু সুস্থ্য। সাথে আশেপাশের কিছু শিশু ও এখানে খেলার জন্য এসেছিল। আমার এক দিদা এবং মাসিমণি ও উপস্থিত হয়েছিল।
আমরা সবাই দাদুর কাছে ডাক্তার দেখানোর ঘটনা শুনছিলাম। দাদুকে না কোনো একটা মেশিনের মধ্যে ঢোকানো হয়েছিল যেটা খুব ঠান্ডা। প্রকৃতপক্ষে, দাদুর এম আর আই করানো হয়েছিল। গ্রামের মানুষ কোনো কিছু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ভালো ডাক্তারের কাছে যায় না কিন্তু যখন যায় তখন অনেকটা বেশি হয়ে যায় ঐ শারীরিক সমস্যাটা।
![]() |
---|
গল্পের আসর ভেঙে গেলো একটু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আগমনে । দেখুন বৃষ্টির জল কতোদূর পর্যন্ত উঠেছে। জোয়ার ভাটা যদি না থাকতো তাহলে হয়তো আমাদের ঘরের বারান্দায় ই জল থাকতো। যাইহোক, অবশেষে প্রতিক্ষার অবসান হলো WiFi এর ছেলেরা চলে এসেছিল।
![]() |
---|
আমাদের এখানে পল্লী বিদ্যুৎ তাই বাগানের মধ্য দিয়েই কারেন্ট লাইন সেখানেই এই WiFi লাইন। এক লোকের তো TG box চেক করতে গিয়ে মোবাইলটা নিচে জলের মধ্যে পড়েছিল। আমি তুলে নিয়ে দ্রুত ব্যাটারি খুলে আলাদা করে রাখলাম।
এরপর আমাদের পুরোনো বাড়ির জল থাকা বাগানে গেলাম, হায়রে মশা! ওখানের TG Box এর ভেতরেই সমস্যা। প্রায় এক ঘন্টার মতো আমরা ৩/৪ জন আজকে হাজারো মশার কামড় সহ্য করেছি। তবে লাইনটা পেয়ে ভালোই লাগলো।
এভাবেই আমি আমার আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।