Better Life with Steem||The Diary Game|| 20th July 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
এখন বাংলাদেশ সময় রাত আটটা ঘড়ির কাটাতে, বোন সবেমাত্র বাড়িতে এসেছে। সারাদিন পর মা'কে পেয়ে আমাদের পুচকু তাঁর মা'কে একদম ছাড়ছেই না। আজ তো সারাদিন বাবার সাথে ঘোরাঘুরি করেছে, সন্ধ্যায় আমাকে ঘুম থেকে টেনে তুলে নিয়ে রাস্তায় ও গিয়েছিল। এখন আমি আপনাদের সাথে আমার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম তুলে ধরবো।
![]() |
---|
সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতেই প্রায় সাড়ে দশটা বেজেছিল, উঠেই প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়েছিলাম। তারপর গরম গরম এক গ্লাস দুধ খেয়েই পুচকুকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। মোবাইল হাতে রাখা মুশকিল, তাই কোনোরকম একটা ছবি তুলেই মোবাইল পকেটে রেখে দিয়েছিলাম।
যদিও বোন পুচকুকে কয়েকবার বলেছে পরীক্ষার কথা তবুও ছোট তো মা'কে যেতে দেখলেই কান্না শুরু করবে। এ কারণেই আমি পুচকুকে নিয়ে আমাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশের মন্দিরের মাঠে গিয়েছিলাম। ওখানে আমার এক পিসির মেয়ে আছে আমাদের পুচকুর বয়সী ওখানে অনেক্ষণ খেলাধুলা হয়েছিল। বোন চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আমরা বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
পুকুর স্নান শেষে আমার মায়ের সাথে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আমিও সেই সুযোগে স্নান সেরে এসে খাবার খেয়েছিলাম। যেহেতু সকালে ভাত খাওয়া হয়নি, তাই অনেক খিদে পেয়েছিল। পাশাপাশি দুপুরের খাবারে ছিল গরম গরম ইলিশ মাছ ভাজি, সেই মজা হয়েছিল।
![]() |
---|
![]() |
---|
এরই মধ্যে দেখলাম স্কুল থেকে কাকুর ছেলে বাড়িতে এসেই লাঠি নিয়ে পেয়ারা তুলতে এসেছে। এটাই ভালো ছাদের তালা লক না হলে ঐ ছাদের ওপর গিয়েই বল দেখানো শুরু করে এই ছোট ভাই গুলো যেটা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া আজ কাকু ও কাকিমা স্কুলে এ কারণে আরো বেশি সমস্যা।
যাইহোক, আমি পেয়ারা তুলতে একটু সহযোগিতা করলাম। এবার আম না বরং পেয়ারাতে ও পোকা হয়েছে। যে কারণে পেয়ারা শুধু তুললেই হবে না পোকা দেখে খেতে হবে।
![]() |
---|
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে একটু কম্পিউটার টেবিলে বসেছিলাম। পাশে কৌটার রাখা ছিল তপন চানাচুর, একটা প্লেটে নিলাম অনেকটা। চানাচুর খাওয়া শেষ, তারপর আর কিছু সময় কাজ করেই কম্পিউটার বন্ধ করেছিলাম। অন্যদিকে আমাদের পুচকুর আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল। চোখ মুছতে মুছতেই মায়ের কথা জিজ্ঞেস করছিল। এদিকে মা ভাত রেডি করছিল পুচকুর জন্য , যাতে পুচকু মায়ের কথা মনে না করে সেই জন্য বাবা পুচকুকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিল।
![]() |
---|
আমিও রেডি হয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে বাজারে গেলাম। বাইকের বহর নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের আগমন বাজারে, মূহুর্তের মধ্যে যেন বাইকের শব্দে চারিদিকে অন্যরকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি হলো। বাইকের বহরে আমার এলাকার কিছু পরিচিত ছেলেরা ও ছিল।
![]() |
---|
আমার ভীষণ ঘুম ঘুম পাচ্ছিল, তাই বিলম্ব না করে দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আমি বাড়ি ফিরেই বারান্দায় পাখা ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।ওহ! আর ঘুম হলো না বাবা পুচকুকে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিল। আমার কাছে পুচকুকে ছেড়ে দিতেই সে আমাকে টেনে টুলে তুলেই থেমেছিল।
আমি বিছানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়েছিলাম ও টিউবওয়েলে গিয়ে হাত-পায়ে জল লাগিয়ে ঘরে ফিরে এসেছিলাম। চোখটা যেন ভারী ভারী লাগছিল ঘুম ভালোই না হওয়ার কারণে।
![]() |
---|
সন্ধ্যায়ই আমি পোস্ট লেখার জন্য বসেছিলাম কিন্তু তখনই পুচকু এসে হাজির হয়েছিল। তাঁর সাথে খেলতে হবে ও কার্টুন দেখতে হবে। আমি নিরূপায় মোবাইলটা রেখে অন্য আর একটা মোবাইল নিয়ে কার্টুন দেখলাম কিছু সময়। এরপর বোন আসতেই যেন আওয়াজ পেয়ে খাট থেকে লাফিয়ে পড়ার উপক্রম। তারপর বোনের কাছে পুচকুকে দিয়ে আবার পোস্ট লেখার জন্য বসলাম।
এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।