Better Life with Steem||The Diary Game|| 21th September 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য পোস্ট লেখার সময়ই পাইনি। No risk No gain. ঠিক এমনই একটা কাজের জন্য সেই সন্ধ্যা থেকেই অনেক ব্যস্ত ছিলাম। তবে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। এটার জন্য @sduttaskitchen ম্যামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ যেখানে এই দুঃসাহসটা দেখানো লাগছে সেখানে অনেক ঝুঁকি ছিল। তবে আজ @sduttaskitchen ম্যামের দেখানো পথ অনুসরণ করেছি যে কারণেই সফল হয়েছি।
অন্যদিকে শরীর ও ঠিক নেই, আবার ঠাণ্ডা লাগছে। আমার খুব খারাপ অভ্যাস ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে সাথে সাথে খাওয়া এ জন্য এবং বিগত ২/৩ দিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকার কারণেই ঘাম বসে ঠাণ্ডাটা লাগছে। যাইহোক, কাজ শেষ তাই চিন্তা করলাম পোস্ট লেখা বন্ধ করা যাবে না। এখন বাংলাদেশ সময় রাত ১২:১৫ , কতো রাত এটা ব্যাপার না যদি লেখার ইচ্ছে থাকে।
![]() |
---|
![]() |
---|
শরীর ঠিক না থাকার কারণে সারাদিন একটু মনটা খারাপই ছিল। সকালে খাবার খাওয়ার পরে বারান্দায় শুয়েও বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, হঠাৎ ভাবলাম একটু বাজারে যেতে হবে। বাজারে পৌঁছেই দেখলাম ৪০-৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাওয়াই মিঠার প্যাকেট নিয়ে এসেছে বিক্রি করার জন্য। এখাবার মিস করা আর বোকামি করা সমান, তাই বিলম্ব না করেই ৪/৫ প্যাকেট নিয়ে নিলাম। পাশেই একটা অটো পেয়ে বাড়িতে ফিরে এলাম, কারণ মাথায় পেইন হচ্ছিল।
![]() |
---|
বাড়িতে ফিরে ঘরে ও থাকতেও ভালো লাগছিল না। পথে বের হতেই দেখলাম ঐ হাওয়াই মিঠা বিক্রেতা আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাতে চলে এসেছেন। আমার সামনে পাড়ার কয়েকটা ভাই-বোন ছিল আর পকেটে ও টাকা ছিল, তাই বিলম্ব না করে ৩ প্যাকেট নিয়ে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
তারপর সবাই মিলে ঐ হাওয়াই মিঠা নিয়েই রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিল। আমি কিনে দিয়েছি আবার শরীর ও ঠিক নেই তাই আমি যুদ্ধ থেকে বিরত ছিলাম। আশেপাশের পুচকুরাও এটার খবর পেয়ে দৌড়ে এসেছিল। শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম কিছু সময়ের জন্য। এই হাওয়াই মিঠা এখন আর দেখা যায় না।
হাওয়াই মিঠা মানে শীতের সময়ের মেলা, বৈশাখী মেলা, পাড়ার মন্দিরের দূর্গা পূজা যেখানে নাগোরদোলা আর নিচেই হাওয়ার মিঠার দোকান। যে দিনগুলো এখন শুধু মাত্র স্মৃতি হয়েই রয়েছে। এখনকার শৈশবে থাকা শিশুরা এগুলোকে গল্পই মনে করে, হয়তো এটা বোধ হয় কাল্পনিক।
এখনকার শিশুরা উন্নত প্রযুক্তির সংস্পর্শে চলে আসছে সেই জন্ম থেকেই। আমার কাছে যে বিষয়টা একদমই ইতিবাচক বলে মনে হয় না। কারণ এই এখনকার শিশুরা অন্যদের সাথে মিশে খেলাধুলা, গল্প এগুলো কি সেইটা জানেই না। আমরা ঘুরে ফিরে এটাই বলি যে মানবিকতা নেই।।।।।
কেন?
এটার জন্য তো আমরাই দায়ী। কারণ আমরা শৈশবেই শিশুদের ঐ মোবাইলে সীমাবদ্ধ করে রাখছি। যে কারণে ঐ ঘরের কয়েকজন সদস্য এবং মোবাইলটাই ওদের প্রকৃত বন্ধু।
যাইহোক, এরপর বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে বারান্দায় শুয়ে ছিলাম মায়ের সাথে। শরীর খারাপ লাগলেই মা-বাবার সাথে বেশি সময় অতিবাহিত করা হয়। যদিও মায়ের শরীর ও ঠিক নেই তবে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল যে কারণে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
![]() |
---|
আমাদের পুচকু ভিডিও কল দিয়েছিল সেই শব্দেই ঘুম ভেঙ্গেছিল যখন সন্ধ্যা সাতটা বাজে। সে দই খাচ্ছিল খুব মনোযোগ দিয়ে। তবে আমাকে দেখাতে হবে তাই খাওয়ার মধ্যেও কল দিয়েছিল।
এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Hello there, you have posted a great quality post and we are happy to support you, stay up with good quality publications
Curated by heriadi